ডিভিসি-র জলে বিপদে বর্ধমান, আতঙ্কে রাত কাটছে বাসিন্দাদের

- আপডেট : ২৭ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার
- / 133
সফিকুল ইসলাম : ডিভিসির একের পর এক জল ছাড়া এবং টানা বৃষ্টির জেরে দামোদর নদ ক্রমশ ফুলে উঠছে। ফলে পূর্ব বর্ধমান জেলার দক্ষিণ দামোদর লাগোয়া বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, জলের তোড়ে নদীর পাড় ভেঙে পড়ায় আতঙ্ক আরও বেড়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি গ্রামে জল ঢুকেছে। ঘরবাড়ি ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি চাষের জমি তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
গত কয়েকদিন ধরে পূর্ব বর্ধমানে টানা বৃষ্টিতে মাঠঘাট জলে ভর্তি। তার ওপর দামোদর নদেও জলের পরিমাণ আগের চেয়ে বহুগুণ এর মধ্যে মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে ডিভিসি-র লাগাতার জলছাড়া পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। খণ্ডঘোষ ব্লকের শশঙ্গা পঞ্চায়েতের গৈতানপুর চর মানার গ্রামে জলের প্রকোপে ভয়াবহ অবস্থা।
গত মঙ্গলবার বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ডিভিসির জলে বানভাসি মানুষের সংখ্যা বাড়ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। একই সুরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ অপার্থিব ইসলাম। তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘ডিভিসির খামখেয়ালী জলছাড়ার জন্যে প্রতি বছর দক্ষিণ দামোদর লাগোয়া মানুষজনকে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। শুধু ঘরবাড়ি নয়, চাষের জমিতেও ধানচারা পচে যাচ্ছে।’ তিনি সতর্ক করেছেন, নদীর পাড় বাঁধাইয়ের ব্যবস্থা না করলে আরও ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে। এ ব্যাপারে তিনি সেচ দফতরের মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।
অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েষা রানী জানান, ‘গৈতানপুরে নদীর পাড় ভাঙনের খবর পেয়েছেন তিনি। খুব শীঘ্রই ওই এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে বাঁধাইয়ের কাজ শুরু হবে। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, আগেও ভাঙন রোধে বোল্ডার ফেলা হয়েছিল, কিন্তু সেগুলো নদীর জলে তলিয়ে গেছে। ফলে নতুন করে ভাঙন তাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে গোটা গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।