ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে ভোট, জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

- আপডেট : ৯ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার
- / 15
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।শনিবার বিকেলে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এই তথ্য জানান।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, আগের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যাঁরা যুক্ত ছিলেন তাঁদের বাদ দিয়ে নতুন লোককে দায়িত্বে আনা হবে। ভোটের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। সিইসি-র বক্তব্য, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, ততই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে। পাশাপাশি, আগের সময়ে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত ব্যক্তিদের যথাসম্ভব সরিয়ে নতুনদের যুক্ত করা হবে। দেশের কাছে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেই নির্বাচন কমিশন কাজ করছে।
নাসির উদ্দিন জানান, নির্বাচনী প্রচারে এআই ব্যবহারের বিষয়টিও নজরে রাখা হচ্ছে এবং তা মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভোটের দিন ঠিক হওয়ার অন্তত দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। এর আগে, ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারিতে রোজা শুরুর আগে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছিলেন। বুধবার ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা শুরুর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দফতর।
চিঠিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা অবিলম্বে সমস্ত প্রস্তুতি ও প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন শুরু করার কথা বলেছেন। বিগত ১৫ বছরে নাগরিকেরা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে আগামী নির্বাচন যেন এক মহা-আনন্দের ভোট উৎসব হয়ে ওঠে, সে জন্য জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর ভাষণে আশা প্রকাশ করেছেন যে নির্বাচন আনন্দ-উৎসব, শান্তি-শৃঙ্খলা, ভোটার উপস্থিতি, সৌহার্দ্য এবং আন্তরিকতায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে। নির্বাচনী প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার এবং একটি সুষ্ঠু, অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে বলেও তিনি নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্ত করেছেন।