১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৯৩ কোটির প্রতারণা, দিল্লির দম্পতির অভিযোগে মুকুন্দপুরে ইডির হানা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার
  • / 199

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: কলকাতার একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)। সঙ্গে ছিল সিআরপিএফ। শুক্রবার সকালে মুকুন্দপুরের একটি অভিজাত আবাসনে বিনা নোটিশেই ঢুকে পড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

মুলত সেবি বা দেশের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতেই দিল্লির এক আর্থিক প্রতারণা ঘটনায় কলকাতায় তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। এদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ওই আবাসনে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে ED অফিসে হাজিরা দিলেন মিমি চক্রবর্তী

দিল্লির এক দম্পতি সেবি বা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া-র কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। তাঁদের দাবি, কলকাতার সংস্থা বিআরএইচ ওয়েলথ ক্রিয়েটর-র তরফে একাধিক ফোন পান সম্প্রতি।

আরও পড়ুন: ইডির হাতে গ্রেফতার জীবনকৃষ্ণ

সেখানকার কর্মীরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মোটা অঙ্কের লাভের আশ্বাস দিয়ে নির্দিষ্ট কিছু শেয়ার কেনার জন্য প্ররোচনা দেন।এই সংস্থার মূল কর্ণধার মুরুগেশ দেবসারিয়া। কোম্পানিটি ২০০৪ সালে রেজিস্টার করা হয়, যার অফিস ছিল কলকাতার তপসিয়া এলাকায়।

আরও পড়ুন: SSC Scam Probe: কলকাতা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূমে ইডির অভিযান

মূলত, ফোন নম্বর জোগাড় করে ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীদের নিশানা করে চলে একটি চক্র। পরে এই দম্পতি বুঝতে পারেন, তাঁরা চক্রটির শিকার।

অভিযোগে দম্পতি জানান, সংস্থাটি তাঁদের কাছ থেকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে তদন্তে উঠে আসে, শুধু তাঁদেরই নয়, এই একইভাবে বাজার থেকে প্রায় ৯৩ কোটি টাকা তছরুপ করেছে সংস্থা।

এই প্রতারণার পুরো প্রক্রিয়া চলত একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে। সেই ব্যাঙ্কে উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন অভিযুক্ত অ্যান্থনি, যিনি মূলত আর্থিক লেনদেন এবং বিনিয়োগের ক্ষ্মফেসক্ষ্ম হিসেবে কাজ করতেন।

মূল অভিযুক্ত মুরুগেশ দেবসারিয়াকে গুজরাতের বরোদা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ ও ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই গা-ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। আরেক অভিযুক্ত অ্যান্থনির খোঁজে কলকাতার মুকুন্দপুরের একটি ফ্ল্যাটে এদিন অভিযান চালায় ইডি।

সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ও ডিজিটাল তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। তবে অ্যান্থনিকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা যায়নি। ঘটনায় সেবি এবং ইডি যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছে। অ্যান্থনিকে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে আশাবাদী আধিকারিকরা।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৯৩ কোটির প্রতারণা, দিল্লির দম্পতির অভিযোগে মুকুন্দপুরে ইডির হানা

আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: কলকাতার একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)। সঙ্গে ছিল সিআরপিএফ। শুক্রবার সকালে মুকুন্দপুরের একটি অভিজাত আবাসনে বিনা নোটিশেই ঢুকে পড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

মুলত সেবি বা দেশের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতেই দিল্লির এক আর্থিক প্রতারণা ঘটনায় কলকাতায় তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। এদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ওই আবাসনে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে ED অফিসে হাজিরা দিলেন মিমি চক্রবর্তী

দিল্লির এক দম্পতি সেবি বা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া-র কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। তাঁদের দাবি, কলকাতার সংস্থা বিআরএইচ ওয়েলথ ক্রিয়েটর-র তরফে একাধিক ফোন পান সম্প্রতি।

আরও পড়ুন: ইডির হাতে গ্রেফতার জীবনকৃষ্ণ

সেখানকার কর্মীরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মোটা অঙ্কের লাভের আশ্বাস দিয়ে নির্দিষ্ট কিছু শেয়ার কেনার জন্য প্ররোচনা দেন।এই সংস্থার মূল কর্ণধার মুরুগেশ দেবসারিয়া। কোম্পানিটি ২০০৪ সালে রেজিস্টার করা হয়, যার অফিস ছিল কলকাতার তপসিয়া এলাকায়।

আরও পড়ুন: SSC Scam Probe: কলকাতা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূমে ইডির অভিযান

মূলত, ফোন নম্বর জোগাড় করে ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীদের নিশানা করে চলে একটি চক্র। পরে এই দম্পতি বুঝতে পারেন, তাঁরা চক্রটির শিকার।

অভিযোগে দম্পতি জানান, সংস্থাটি তাঁদের কাছ থেকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে তদন্তে উঠে আসে, শুধু তাঁদেরই নয়, এই একইভাবে বাজার থেকে প্রায় ৯৩ কোটি টাকা তছরুপ করেছে সংস্থা।

এই প্রতারণার পুরো প্রক্রিয়া চলত একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে। সেই ব্যাঙ্কে উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন অভিযুক্ত অ্যান্থনি, যিনি মূলত আর্থিক লেনদেন এবং বিনিয়োগের ক্ষ্মফেসক্ষ্ম হিসেবে কাজ করতেন।

মূল অভিযুক্ত মুরুগেশ দেবসারিয়াকে গুজরাতের বরোদা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ ও ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই গা-ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। আরেক অভিযুক্ত অ্যান্থনির খোঁজে কলকাতার মুকুন্দপুরের একটি ফ্ল্যাটে এদিন অভিযান চালায় ইডি।

সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ও ডিজিটাল তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। তবে অ্যান্থনিকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা যায়নি। ঘটনায় সেবি এবং ইডি যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছে। অ্যান্থনিকে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে আশাবাদী আধিকারিকরা।