ভুয়ো ভোটার কার্ড দেখিয়েই কি তৈরি হচ্ছে পাসপোর্ট, সিইও-র কাছে তথ্য চাইল ইডি

- আপডেট : ৯ জুন ২০২৫, সোমবার
- / 74
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পাসপোর্ট জালিয়াতি মামলায় বিরাটি থেকে ধৃত পাকিস্তানি নাগরিক আজাদ মল্লিককে কীসের ভিত্তিতে ভারতীয় ভিসা দেওয়া হয়েছিল, সে ব্যাপারে বিদেশ মন্ত্রকের কাছে তথ্য জানতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। ধৃত আজাদ মল্লিকের ব্যাপারে তদন্তে ইডি-র আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন,পশ্চিমবঙ্গের দু’জায়গায় ভোটার তালিকায় তাঁর নাম থাকলেও আদতে তিনি পাকিস্তানের নাগরিক।
আজাদের নাম কীভাবে রাজ্যের ভোটার তালিকায় উঠল তার তদন্তে নেমে আরও ৩০ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তির সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়ে ইডি-র পক্ষ থেকে তালিকা পাঠানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে।
ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, সন্দেহভাজন ওই ৩০ জনের কেউই ভারতীয় নন। রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য তাঁরা জন্মের শংসাপত্র সহ যেসব নথি জমা করেছিলেন, তার সবগুলিই ভুয়ো।
নির্বাচনী আধিকারিককে পাঠানো তালিকায় মূলত উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ জেলার ভোটার তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিরাই রয়েছেন। ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে ড্রাইভিং লাইসেন্স, ব্যাঙ্ক পাসবই, পাসপোর্ট, নাকি অন্য কোনও নথি জমা দেওয়া হয়েছিল? ভোটার তালিকায় ওই সন্দেহভাজনদের বাবা বা মায়ের নাম রয়েছে কি না। বয়সের প্রমাণপত্র হিসেবেই বা কী নথি পেশ করা হয়েছিল, তারই বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে ইডি।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, রাজ্যের ভোটার তালিকায় সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম থাকার অভিযোগে ইডি ছাড়াও ফরেনার রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও) থেকেও প্রায় প্রতিদিনই চিঠি আসছে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে।
এ ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল জানিয়েছেন, ‘গত এক মাসে ফরেনার রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস থেকে অন্তত একশোটিরও বেশি চিঠি এসেছে। সে ক্ষেত্রে এপিক কার্ডের বৈধতা পরীক্ষার জন্য সরেজমিনে তদন্ত করতে সংশ্লিষ্ট জেলার ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের (ইআরও) কাছে পাঠানো হয়েছে। বেশিরভাগ রিপোর্টেই স্বীকার করা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আসলে বাংলাদেশি নাগরিক।’ রিপোর্টের ভিত্তিতেই অবৈধদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানান রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।