৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ত্রিপুরায় ১০০টি উপজাতি হস্টেলে শিক্ষা দুর্নীতি, মিলছে না স্টাইপেন্ডও

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শুক্রবার
  • / 111

আগরতলা, ৭ ফেব্রুয়ারিঃ ত্রিপুরার উপজাতি ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে রাজ্যের বিজেপি সরকার ছেলেখেলা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজাতি ছাত্র-ছাত্রীদের নামে কেন্দ্রের বরাদ্দ অর্থের দেদার লুঠপাট চলছে উপজাতি কল্যাণ দফতরে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে রাজ্যের লক্ষাধিক উপজাতি অংশের পড়ুয়াদের। এর মূলে রয়েছে সাইন বোর্ডে পরিণত রাজ্যের উপজাতি কল্যাণ দফতর। ত্রিপুরা সরকার ও উপজাতি কল্যাণ দফতরের ব্যর্থতার কারণে উপজাতি পড়ুয়ারা লেখাপড়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

বিত্ত নিগমের ভোকেশনাল বোর্ডের চেয়ারম্যানের হলেন রফিকুল আলম

আরও পড়ুন: নীতিশিক্ষা হারিয়ে যাওয়ার ফলেই কি এত অপরাধ এত দুর্নীতি?

https://puberkalom.com/rafiqul-alam-appointed-as-chairman-of-wbmdfc-vocational-board/

আরও পড়ুন: নির্বিচারে গাছ ও পাহাড় কাটার অভিযোগ, ত্রিপুরার পাহাড়ে বড়সড় ফাটলে আতঙ্কে বাসিন্দারা

অভিযোগ, রাজ্য সরকারের নীরবতার সুযোগে উপজাতি উন্নয়নে বরাদ্দ কোটি কোটি টাকা লুঠপাট অব্যাহত রয়েছে। এই সীমাহীন দুর্নীতির জন্য রাজ্য সরকারের ১০০টি উপজাতি হস্টেলে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রী সর্বক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীরা স্টাইপেন্ডও পাচ্ছে না। অথচ এ নিয়ে কোনও তাপ-উত্তাপ নেই রাজ্য সরকারের।
উপজাতি পড়ুয়াদের এই বঞ্চনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মন। তিনি বলেন, উপজাতি ছাত্র-ছাত্রীরা স্টাইপেন্ড পাচ্ছে না, ১০০টি হস্টেলের পড়ুয়ারা অন্যান্য সুবিধা থেকেও বঞ্চিত। এর বিহিত হওয়া দরকার।

আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি কেরলে, জারি লাল সতর্কতা, বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

মহাকরণ সূত্রে খবর, ২০২৪ সালের মার্চ মাসে রজ্যের এক ভুঁইফোঁড় কোচিং সেন্টারকে ১০০টি উপজাতি হস্টেলের পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাস এবং তাদের লেখাপড়ার মান উন্নয়নের জন্য প্রায় ৫ কোটি টাকা দিয়েছিল রাজ্য উপজাতি কল্যাম দফতর। এছাড়াও কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্ট টিভি, মেমাবাইল-সহ আরও অনেক প্রযুক্তি সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছিল।

 

অথচ ১০০টি হস্টেলে ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইনে ক্লাস করার মতো কোনও পরিকাঠামোই দেওয়া হয়নি। ফলে কোনও অনলাইন ক্লাসও হয়নি। প্রশ্ন উঠছে, পূর্ব অভিজ্ঞতা ও কোনও সুনামহীন এক ভুঁইফোঁড় কোচিং সেন্টারকে কেন এই গুরুদায়িত্ব দেওয়া হল? তাছাড়া হস্টেলগুলিতে অনলাইন ক্লাসের পরিকাঠামো না গড়ে এমন উদ্যোগ নিল উপজাতি কল্যাণ দফতর- এর কোনও জবাব মেলেনি।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ত্রিপুরায় ১০০টি উপজাতি হস্টেলে শিক্ষা দুর্নীতি, মিলছে না স্টাইপেন্ডও

আপডেট : ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শুক্রবার

আগরতলা, ৭ ফেব্রুয়ারিঃ ত্রিপুরার উপজাতি ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে রাজ্যের বিজেপি সরকার ছেলেখেলা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজাতি ছাত্র-ছাত্রীদের নামে কেন্দ্রের বরাদ্দ অর্থের দেদার লুঠপাট চলছে উপজাতি কল্যাণ দফতরে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে রাজ্যের লক্ষাধিক উপজাতি অংশের পড়ুয়াদের। এর মূলে রয়েছে সাইন বোর্ডে পরিণত রাজ্যের উপজাতি কল্যাণ দফতর। ত্রিপুরা সরকার ও উপজাতি কল্যাণ দফতরের ব্যর্থতার কারণে উপজাতি পড়ুয়ারা লেখাপড়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

বিত্ত নিগমের ভোকেশনাল বোর্ডের চেয়ারম্যানের হলেন রফিকুল আলম

আরও পড়ুন: নীতিশিক্ষা হারিয়ে যাওয়ার ফলেই কি এত অপরাধ এত দুর্নীতি?

https://puberkalom.com/rafiqul-alam-appointed-as-chairman-of-wbmdfc-vocational-board/

আরও পড়ুন: নির্বিচারে গাছ ও পাহাড় কাটার অভিযোগ, ত্রিপুরার পাহাড়ে বড়সড় ফাটলে আতঙ্কে বাসিন্দারা

অভিযোগ, রাজ্য সরকারের নীরবতার সুযোগে উপজাতি উন্নয়নে বরাদ্দ কোটি কোটি টাকা লুঠপাট অব্যাহত রয়েছে। এই সীমাহীন দুর্নীতির জন্য রাজ্য সরকারের ১০০টি উপজাতি হস্টেলে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রী সর্বক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীরা স্টাইপেন্ডও পাচ্ছে না। অথচ এ নিয়ে কোনও তাপ-উত্তাপ নেই রাজ্য সরকারের।
উপজাতি পড়ুয়াদের এই বঞ্চনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মন। তিনি বলেন, উপজাতি ছাত্র-ছাত্রীরা স্টাইপেন্ড পাচ্ছে না, ১০০টি হস্টেলের পড়ুয়ারা অন্যান্য সুবিধা থেকেও বঞ্চিত। এর বিহিত হওয়া দরকার।

আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি কেরলে, জারি লাল সতর্কতা, বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

মহাকরণ সূত্রে খবর, ২০২৪ সালের মার্চ মাসে রজ্যের এক ভুঁইফোঁড় কোচিং সেন্টারকে ১০০টি উপজাতি হস্টেলের পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাস এবং তাদের লেখাপড়ার মান উন্নয়নের জন্য প্রায় ৫ কোটি টাকা দিয়েছিল রাজ্য উপজাতি কল্যাম দফতর। এছাড়াও কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্ট টিভি, মেমাবাইল-সহ আরও অনেক প্রযুক্তি সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছিল।

 

অথচ ১০০টি হস্টেলে ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইনে ক্লাস করার মতো কোনও পরিকাঠামোই দেওয়া হয়নি। ফলে কোনও অনলাইন ক্লাসও হয়নি। প্রশ্ন উঠছে, পূর্ব অভিজ্ঞতা ও কোনও সুনামহীন এক ভুঁইফোঁড় কোচিং সেন্টারকে কেন এই গুরুদায়িত্ব দেওয়া হল? তাছাড়া হস্টেলগুলিতে অনলাইন ক্লাসের পরিকাঠামো না গড়ে এমন উদ্যোগ নিল উপজাতি কল্যাণ দফতর- এর কোনও জবাব মেলেনি।