হাতিয়াড়া জামে মসজিদে Eid ul-Fitr-এর নামাজ

- আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৫, সোমবার
- / 112
রমিত বন্দ্যোপাধ্যায় : সোমবার হাতিয়াড়া জামে মসজিদে ২ দফায় ঈদ-উল-ফিতর-এর (Eid ul-Fitr) নামাজের আয়োজন করা হয়। এই মসজিদের ইমাম নাদভি মুহাম্মদ কুতুবউদ্দিন সরদার প্রথম নামাজ সকাল ৭:৩০ এবং দ্বিতীয় নামাজ সকাল ৮:৩০ পড়ান। বাগুইহাটি ,হাতিয়াড়া, জ্যাংড়া এবং রাজারহাট সংলগ্ন বহু বাসিন্দা নামাজ পড়ার জন্য আসেন এই মসজিদে। এই বছর প্রায় ৩০০০ থেকে ৩৫০০ মানুষ ঈদ-উল-ফিতর-এর (Eid ul-Fitr) নামাজ আদায়ে এই স্থানে উপস্থিত হন। হাতিয়াড়া জামে মসজিদ বহু বছরের ঐতিহ্য এবং রীতি বাহন করে চলেছে। মুসলিমরা যাতে সুষ্ট ভাবে নামাজ পড়তে পারেন তার জন্য প্রতি বছরের মতো এইবছরও আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়।ভিড় সামলাতে এবং নামাজ পড়ার সুবিদার্থে মসজিদের সাথে লাগোয়া হাতিয়াড়া এফ পি (ফ্রি প্রাইমারি) স্কুলের মাঠে শতরঞ্জি এবং চাদরের ব্যবস্থা করা হয় ।
হাতিয়াড়ার ৭৪ বয়সের এক প্রবীণ বাসিন্দা মুহাম্মদ মিনার আলি মন্ডল জানান “আমি পেশায় প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক ছিলাম। ১৯৬১ সাল থেকে এই মসজিদ দেখে আসছি। হাতিয়াড়া অঞ্চলে জামে মসজিদ সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সময় এই অঞ্চলে আরো অন্যান্য মসজিদ গড়ে উঠলেও এই জামে মসজিদের ঐতিহ্য এবং মাহাত্ম্য এখানকার বাসিন্দাদের আলাদা একটা পবিত্রতা অনুভব করায়। আনুমানিক ১০০ বছরের ওপর এই মসজিদ।”
মুহাম্মদ মতিয়ার রহমান এলাকার বাসিন্দা এবং হাতিয়াড়া জামে মসজিদের সেক্রেটারি জানান, “এই মসজিদে আমরা সর্ব ধর্মের মানুষের মধ্যে ঐক্যতার বার্তা দিয়ে আসি। এই এলাকাটা খুব শান্তির। মানুষের তুলনায় আমাদের জায়গার অভাবের কারণে বেশ কিছু বছর ধরে দু দফায় ঈদ-উল-ফিতর-এর (Eid ul-Fitr) নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়।” এই মসজিদের তরফ থেকে নানান সামাজিক কর্তব্য এবং দায়িত্ব পালনের কথাও উঠে আসে মানুষের মুখে। এই দিন প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা ছিল উল্লেখযোগ্য। যানজট সামাল দিতে ও মানুষের সুবিদার্থে পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ পোস্টিং করা হয় এই মসজিদ সংলগ্ন এলাকায়।