১৩ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইলন মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমেরিকা পার্টি’

চামেলি দাস
  • আপডেট : ৬ জুলাই ২০২৫, রবিবার
  • / 80

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: এবার সরাসরি রাজনীতিতে প্রবেশ এলন মাস্কের। আমেরিকায় নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা করলেন ধনকুবের, টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান ইলন মাস্ক। শনিবার এক্স হ্যান্ডবলে পোস্টে নতুন দলের কথা জানান তিনি। নতুন দলটির নাম হবে ‘আমেরিকা পার্টি’। তিনি লেখেন, “আপনাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে আজ আমেরিকা পার্টির জন্ম হল।”

 

আরও পড়ুন: ইলন মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা ‘হাস্যকর’, তীব্র সমালোচনায় ট্রাম্প

মাস্কের এই ঘোষণার পর মার্কিন রাজনীতিতে হইচই শুরু হলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প বা হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: অবশেষে মহাকাশে পাড়ি শুভাংশু শুক্লার, ৪১ বছর পর ফের ইতিহাসের দোরগোড়ায় দেশ

 

আরও পড়ুন: মহাকাশযানে প্রযুক্তিগত ত্রুটি! অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেল মহাকাশ যাত্রা

এর আগে মাস্ক এক্সে একটি সমীক্ষা চালান যেখানে প্রশ্ন ছিল, “যুক্তরাষ্ট্রে কি নতুন রাজনৈতিক দল দরকার?” দুই-তৃতীয়াংশ উত্তরদাতা নতুন রাজনৈতিক দলের পক্ষে মত দেন। সেই ফলাফলের ভিত্তিতেই তিনি ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।

 

গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নামে পরিচিত করছাড় ও ব্যয়বৃদ্ধির বিল আইনে পরিণত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মাস্ক এই নতুন দল তৈরি করতে চলেছেন বলে অনেকের মত। তিনি বিলটিকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য “দেউলিয়াত্বের দিকের ধাক্কা” বলে মন্তব্য করেন।

 

ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে অতীতে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা মাস্ক দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে ট্রাম্পের সরকারি দক্ষতা বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং তাঁর নির্দেশে অর্থসাহায্যও করেছিলেন। তবে সাম্প্রতিক বাজেট পরিকল্পনা নিয়ে মতবিরোধের জেরে দু’জনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। মাস্ক হুঁশিয়ারি দেন যে, তিনি ট্রাম্পকে সমর্থন করা আইনপ্রণেতাদের নির্বাচনে হারাতে বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করবেন।

 

এই বিরোধের জেরে ট্রাম্পও পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেন, মাস্কের বিভিন্ন কোম্পানি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে যে ভর্তুকি পায়, তা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।

 

বিশ্লেষকদের মতে, এই দ্বন্দ্ব রিপাবলিকান পার্টির অভ্যন্তরীণ বিভাজন আরও বাড়াতে পারে এবং ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইলন মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমেরিকা পার্টি’

আপডেট : ৬ জুলাই ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: এবার সরাসরি রাজনীতিতে প্রবেশ এলন মাস্কের। আমেরিকায় নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা করলেন ধনকুবের, টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান ইলন মাস্ক। শনিবার এক্স হ্যান্ডবলে পোস্টে নতুন দলের কথা জানান তিনি। নতুন দলটির নাম হবে ‘আমেরিকা পার্টি’। তিনি লেখেন, “আপনাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে আজ আমেরিকা পার্টির জন্ম হল।”

 

আরও পড়ুন: ইলন মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা ‘হাস্যকর’, তীব্র সমালোচনায় ট্রাম্প

মাস্কের এই ঘোষণার পর মার্কিন রাজনীতিতে হইচই শুরু হলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প বা হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: অবশেষে মহাকাশে পাড়ি শুভাংশু শুক্লার, ৪১ বছর পর ফের ইতিহাসের দোরগোড়ায় দেশ

 

আরও পড়ুন: মহাকাশযানে প্রযুক্তিগত ত্রুটি! অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেল মহাকাশ যাত্রা

এর আগে মাস্ক এক্সে একটি সমীক্ষা চালান যেখানে প্রশ্ন ছিল, “যুক্তরাষ্ট্রে কি নতুন রাজনৈতিক দল দরকার?” দুই-তৃতীয়াংশ উত্তরদাতা নতুন রাজনৈতিক দলের পক্ষে মত দেন। সেই ফলাফলের ভিত্তিতেই তিনি ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।

 

গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নামে পরিচিত করছাড় ও ব্যয়বৃদ্ধির বিল আইনে পরিণত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মাস্ক এই নতুন দল তৈরি করতে চলেছেন বলে অনেকের মত। তিনি বিলটিকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য “দেউলিয়াত্বের দিকের ধাক্কা” বলে মন্তব্য করেন।

 

ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে অতীতে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা মাস্ক দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে ট্রাম্পের সরকারি দক্ষতা বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং তাঁর নির্দেশে অর্থসাহায্যও করেছিলেন। তবে সাম্প্রতিক বাজেট পরিকল্পনা নিয়ে মতবিরোধের জেরে দু’জনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। মাস্ক হুঁশিয়ারি দেন যে, তিনি ট্রাম্পকে সমর্থন করা আইনপ্রণেতাদের নির্বাচনে হারাতে বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করবেন।

 

এই বিরোধের জেরে ট্রাম্পও পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেন, মাস্কের বিভিন্ন কোম্পানি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে যে ভর্তুকি পায়, তা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।

 

বিশ্লেষকদের মতে, এই দ্বন্দ্ব রিপাবলিকান পার্টির অভ্যন্তরীণ বিভাজন আরও বাড়াতে পারে এবং ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।