০২ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা কমাতে ইইউ-ইসরাইল-মিশর গ্যাস চুক্তি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৮ জুন ২০২২, শনিবার
  • / 55

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপ জ্বালানি সমস্যার মুখোমুখি। এই সংকট নিরসনে ইসরাইল, মিশর এবং ইইউ-র মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তিতে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে এই তিন পক্ষ পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল থেকে ইইউ এলাকায় প্রাকৃতিক গ্যাসের স্থিতিশীল সরবরাহের বিষয়ে কাজ করবে।

 

আরও পড়ুন: গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪১, মোট প্রাণহানি ৫৮ হাজার ৬৬০ ছাড়াল

চুক্তিটি আমাদের জ্বালানি সুরক্ষায় অবদান রাখবে এবং ভবিষ্যৎ জ্বালানির জন্য উপযোগী অবকাঠামো তৈরি করবে।’ এ দিকে ওই চুক্তির ফলে ইসরাইল-তুরস্কের চলমান সম্পর্কে কোনও বাধা আসতে পারে কি না, তা নিয়ে কথা উঠেছে। ইসরাইলি ইন্সটিটিউট ফর রিজিওনাল ফরেন পলিসির ফেলো মাইকেল হারারি বলছেন, ইইউ ও মিশরের সঙ্গে গ্যাস চুক্তি তুরস্ক- ইসরাইল আলোচনার ক্ষেত্রে বাধা হবে না। চুক্তির মাধ্যমে ইসরাইলি প্রাকৃতিক গ্যাস মিশরে পাঠানো হবে। সেখানে তা তরল করে এলএনজি আকারে ইউরোপে পাঠানো হবে। ইউরোপে যে গ্যাস যাবে, তা সীমিত। এটি তুরস্ক ও ইসরাইলের আলোচনার সঙ্গে বিরোধপূর্ণ নয়। হারারি বলছেন, গ্যাস চুক্তিটি এমন কোনও চুক্তি নয় যা তুরস্ক-ইসরাইল সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

আরও পড়ুন: তালিবান সরকারকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া, আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বার্তা

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলকে ৪৩৬৫ কোটি টাকার অস্ত্র দিচ্ছে আমেরিকা, দেওয়া হবে ‘বম্ব গাইডেন্স কিট’ও

বর্তমানে ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা বাড়ছে। তাই এই চুক্তির গুরুত্ব হল, এটি ইসরাইলকে ভূমধ্যসাগরীয় গ্যাসক্ষেত্র খননে আরও বিনিয়োগে করবে। ইউরোপ এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক বার্তাও পাঠাচ্ছে, কারণ তাদের লক্ষ্য রাশিয়ার গ্যাস এবং তেলের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা কমাতে ইইউ-ইসরাইল-মিশর গ্যাস চুক্তি

আপডেট : ১৮ জুন ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপ জ্বালানি সমস্যার মুখোমুখি। এই সংকট নিরসনে ইসরাইল, মিশর এবং ইইউ-র মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তিতে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে এই তিন পক্ষ পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল থেকে ইইউ এলাকায় প্রাকৃতিক গ্যাসের স্থিতিশীল সরবরাহের বিষয়ে কাজ করবে।

 

আরও পড়ুন: গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪১, মোট প্রাণহানি ৫৮ হাজার ৬৬০ ছাড়াল

চুক্তিটি আমাদের জ্বালানি সুরক্ষায় অবদান রাখবে এবং ভবিষ্যৎ জ্বালানির জন্য উপযোগী অবকাঠামো তৈরি করবে।’ এ দিকে ওই চুক্তির ফলে ইসরাইল-তুরস্কের চলমান সম্পর্কে কোনও বাধা আসতে পারে কি না, তা নিয়ে কথা উঠেছে। ইসরাইলি ইন্সটিটিউট ফর রিজিওনাল ফরেন পলিসির ফেলো মাইকেল হারারি বলছেন, ইইউ ও মিশরের সঙ্গে গ্যাস চুক্তি তুরস্ক- ইসরাইল আলোচনার ক্ষেত্রে বাধা হবে না। চুক্তির মাধ্যমে ইসরাইলি প্রাকৃতিক গ্যাস মিশরে পাঠানো হবে। সেখানে তা তরল করে এলএনজি আকারে ইউরোপে পাঠানো হবে। ইউরোপে যে গ্যাস যাবে, তা সীমিত। এটি তুরস্ক ও ইসরাইলের আলোচনার সঙ্গে বিরোধপূর্ণ নয়। হারারি বলছেন, গ্যাস চুক্তিটি এমন কোনও চুক্তি নয় যা তুরস্ক-ইসরাইল সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

আরও পড়ুন: তালিবান সরকারকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া, আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বার্তা

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলকে ৪৩৬৫ কোটি টাকার অস্ত্র দিচ্ছে আমেরিকা, দেওয়া হবে ‘বম্ব গাইডেন্স কিট’ও

বর্তমানে ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা বাড়ছে। তাই এই চুক্তির গুরুত্ব হল, এটি ইসরাইলকে ভূমধ্যসাগরীয় গ্যাসক্ষেত্র খননে আরও বিনিয়োগে করবে। ইউরোপ এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক বার্তাও পাঠাচ্ছে, কারণ তাদের লক্ষ্য রাশিয়ার গ্যাস এবং তেলের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করা।