২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমেঠিতে হারছে স্মৃতি! ইঙ্গিত সমীক্ষার

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩ জুন ২০২৪, সোমবার
  • / 3

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  ২০১৯-এর দ্বৈরথের পুনরাবৃত্তি আমেঠিতে। এক্সিট পোলের অনুমান অনুযায়ী, এই লোকসভা কেন্দ্রে অনেকটাই ফিকে ‘গেরুয়া শিবির’। আমেঠি কার মোদি ঘনিষ্ঠ ‘স্মৃতির’ নাকি রাজীব ঘনিষ্ঠ  কে এল শর্মা’র? অপেক্ষা শুধু সময়ের।

 

ইউপির এক্সিট পোলের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, সে রাজ্যে ৬২ টি আসন পেতে চলেছে এনডিএ জোট। বাকি ১৮টি আসন পাবে ইন্ডি জোট।  এই সমীকরণের মধ্যেও আমেঠিতে গেরুয়া  হাওয়া ‘হালকা’  হওয়ার ইঙ্গিত দিল ওই সমীক্ষা। যাতে বলা হচ্ছে, এবার স্মৃতির ‘হাত’ থেকে হাতের ‘হাতে’ যেতে চলেছে রাজনীতি ময়দানে হাইভোল্টেজ লোকসভা কেন্দ্র ‘আমেঠি’। শুধু তাই নয়, হারতে চলেছে শক্তিশালী এসপি নেতা রাম গোপাল যাদব ও শিবপাল যাদবের ছেলেরা।  গতবার রাহুল গান্ধিকে হারিয়ে সাংসদ হয়েছেন স্মৃতি ইরানি। এবার রাজীব মিত্র কে এল শর্মা তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী। রিপোর্ট মুতাবিক, দুই হেভিওয়েটের মধ্যে হতে চলেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।যা নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে সময় কাটছে স্মৃতির।

 

আমেঠি লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিন বার জয়ী  হয়ে সাংসদ হয়েছেন রাহুল। তাঁর বাবা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধিও এই আসন  থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরে আমেঠি গান্ধি পরিবারের শক্ত ঘাঁটি বলে   পরিচিত ছিল। সেখানে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে স্মৃতির কাছে ৫৫ হাজার ভোটে পরাজিত হন রাহুল। ওই নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশ থেকে মাত্র একটি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। রায়বরেলীর আসনে জয়ী হয়েছিলেন সনিয়া গান্ধি। এ বার সেই আসন ছেড়ে রাজ্যসভায়  প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তবে স্মৃতির দাবি,  রাহুল গান্ধি আমেঠিতে ১৫ বছরে যা করতে পারেননি   তিনি মাত্র পাঁচ বছরে তার থেকেও বেশি কাজ করেছেন। তবে একাংশের মতে,  ‘স্মৃতি ইরানিকে ভোটে জিতিয়ে আমেঠির মানুষ অনেক বড় ভুল করেছেন। তাই নিজেদের ভুল সংশোধন করতে ফের একবার আমেঠি কংগ্রেস’কে উপহারস্বরূপ দিতে চায় স্থানীয়রা ।

 

অপেক্ষা শুধু সময়ের স্মৃতি ইরানি কি আদেও উত্তরপ্রদেশের আমেঠিকে বিজেপির ঘাঁটিতে পরিণত করতে পারবেন? নাকি রাজীব ‘মিত্র’এর কাছে হেরে যাবেন তিনি?

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আমেঠিতে হারছে স্মৃতি! ইঙ্গিত সমীক্ষার

আপডেট : ৩ জুন ২০২৪, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  ২০১৯-এর দ্বৈরথের পুনরাবৃত্তি আমেঠিতে। এক্সিট পোলের অনুমান অনুযায়ী, এই লোকসভা কেন্দ্রে অনেকটাই ফিকে ‘গেরুয়া শিবির’। আমেঠি কার মোদি ঘনিষ্ঠ ‘স্মৃতির’ নাকি রাজীব ঘনিষ্ঠ  কে এল শর্মা’র? অপেক্ষা শুধু সময়ের।

 

ইউপির এক্সিট পোলের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, সে রাজ্যে ৬২ টি আসন পেতে চলেছে এনডিএ জোট। বাকি ১৮টি আসন পাবে ইন্ডি জোট।  এই সমীকরণের মধ্যেও আমেঠিতে গেরুয়া  হাওয়া ‘হালকা’  হওয়ার ইঙ্গিত দিল ওই সমীক্ষা। যাতে বলা হচ্ছে, এবার স্মৃতির ‘হাত’ থেকে হাতের ‘হাতে’ যেতে চলেছে রাজনীতি ময়দানে হাইভোল্টেজ লোকসভা কেন্দ্র ‘আমেঠি’। শুধু তাই নয়, হারতে চলেছে শক্তিশালী এসপি নেতা রাম গোপাল যাদব ও শিবপাল যাদবের ছেলেরা।  গতবার রাহুল গান্ধিকে হারিয়ে সাংসদ হয়েছেন স্মৃতি ইরানি। এবার রাজীব মিত্র কে এল শর্মা তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী। রিপোর্ট মুতাবিক, দুই হেভিওয়েটের মধ্যে হতে চলেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।যা নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে সময় কাটছে স্মৃতির।

 

আমেঠি লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিন বার জয়ী  হয়ে সাংসদ হয়েছেন রাহুল। তাঁর বাবা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধিও এই আসন  থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরে আমেঠি গান্ধি পরিবারের শক্ত ঘাঁটি বলে   পরিচিত ছিল। সেখানে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে স্মৃতির কাছে ৫৫ হাজার ভোটে পরাজিত হন রাহুল। ওই নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশ থেকে মাত্র একটি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। রায়বরেলীর আসনে জয়ী হয়েছিলেন সনিয়া গান্ধি। এ বার সেই আসন ছেড়ে রাজ্যসভায়  প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তবে স্মৃতির দাবি,  রাহুল গান্ধি আমেঠিতে ১৫ বছরে যা করতে পারেননি   তিনি মাত্র পাঁচ বছরে তার থেকেও বেশি কাজ করেছেন। তবে একাংশের মতে,  ‘স্মৃতি ইরানিকে ভোটে জিতিয়ে আমেঠির মানুষ অনেক বড় ভুল করেছেন। তাই নিজেদের ভুল সংশোধন করতে ফের একবার আমেঠি কংগ্রেস’কে উপহারস্বরূপ দিতে চায় স্থানীয়রা ।

 

অপেক্ষা শুধু সময়ের স্মৃতি ইরানি কি আদেও উত্তরপ্রদেশের আমেঠিকে বিজেপির ঘাঁটিতে পরিণত করতে পারবেন? নাকি রাজীব ‘মিত্র’এর কাছে হেরে যাবেন তিনি?