২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩১ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 39

পুবের কলম প্রতিবেদক: ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান অর্থাৎ, ফেয়ার প্রাইস মেডিসিন শপ থেকে কোনও রোগী যেমন সব ওষুধ পেয়ে যাচ্ছেন। তেমনই কোনও রোগী আবার কোনও ওষুধই পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। এমনই ছবি দেখা গেল বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে। এই বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক।

পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে ২০১২ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্তরের সরকারি হাসপাতালে একের পর এক চালু হয়েছে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান। এই সব দোকানের কোনও কোনওটি থেকে ওষুধের সর্বাধিক বিক্রয়‌ মূল্যের উপর প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। যেমন, নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে ছাড় পাওয়া যায় ৬৬.২৫ শতাংশ।

আরও পড়ুন: দুর্ভিক্ষের গাজায় পার্লে-জি বিস্কুট বিকোচ্ছে ৫০০ গুণ বেশি দামে

তবে, কী অবস্থা, সব সময় সব ওষুধ কি পাওয়া যাচ্ছে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে? মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বাসিন্দা লালন‌ শেখের আড়াই বছরের ছেলে ভর্তি রয়েছে নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। তাঁর কথায়, ‘ছেলের জন্য একটা সিরাপ কিনতে বলে হাসপাতাল থেকে‌। এখানকার ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে এই সিরাপ কিনেছি।’ এক আত্মীয়র চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে এসেছেন গড়িয়ার বাসিন্দা শ্যামল মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘এখানকার ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ পাওয়া যায়।’

আরও পড়ুন: দাম কমল বাণিজ্যিক গ্যাসের, ১ এপ্রলি থেকে দাম কার্যকর

তবে, নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগীর আত্মীয়র এমনই অভিযোগ, ‘সব ওষুধ পাওয়া যায়নি এখানকার ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে।’ কলকাতার পার্ক সার্কাস অঞ্চলে অবস্থিত ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে ছাড় পাওয়া যায়‌ ৫৬.৬ শতাংশ। কী অবস্থা এখানে? সব সময় সব ওষুধ পাওয়া কি যায়?

আরও পড়ুন: ফ্লুর প্রাদুর্ভাব: উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে রোগী, সরকারকে সতর্ক করল বিশেষজ্ঞরা

মহেশতলার বাসিন্দা আবুল বাশার মোল্লা তাঁর ত্বকের সমস্যার জন্য এসেছেন ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। এখানকার ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে কার্যত হতাশ মুখ নিয়ে ফিরছেন তিনি। ডাক্তারবাবু তো দেখলেন আপনাকে, ওষুধও দিয়েছেন, এখানে কি ওষুধ পাওয়া গেল? আবুল বাশার মোল্লার এমনই অভিযোগ, ‘এই ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে আমার কোনও ওষুধই নেই।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘কী আর করব, বাইরে থেকে এখন কিনতে হবে।’

এই রোগীর এমন অভিযোগ যেমন শোনা গেল, তেমনই এই ধরনের অভিযোগের ১৮০ ডিগ্রি অবস্থানে থাকা কথাও শোনা গেল ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। কামালগাজীর বাসিন্দা শ্যামল বিশ্বাস এই হাসপাতালে এসেছেন তাঁর এক আত্মীয়র চিকিৎসার জন্য। তিনি বলেন, ‘এখানকার ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে সব ওষুধ পেয়েছি। কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি।’

সব সময় কি সব ওষুধ পাওয়া যায় না ন্যায্য মূল্যের সব ওষুধের দোকানে? এই বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ স্তরের এক আধিকারিকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এমন হওয়ার কথা নয়। কী হচ্ছে, খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান

আপডেট : ৩১ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান অর্থাৎ, ফেয়ার প্রাইস মেডিসিন শপ থেকে কোনও রোগী যেমন সব ওষুধ পেয়ে যাচ্ছেন। তেমনই কোনও রোগী আবার কোনও ওষুধই পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। এমনই ছবি দেখা গেল বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে। এই বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক।

পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে ২০১২ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্তরের সরকারি হাসপাতালে একের পর এক চালু হয়েছে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান। এই সব দোকানের কোনও কোনওটি থেকে ওষুধের সর্বাধিক বিক্রয়‌ মূল্যের উপর প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। যেমন, নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে ছাড় পাওয়া যায় ৬৬.২৫ শতাংশ।

আরও পড়ুন: দুর্ভিক্ষের গাজায় পার্লে-জি বিস্কুট বিকোচ্ছে ৫০০ গুণ বেশি দামে

তবে, কী অবস্থা, সব সময় সব ওষুধ কি পাওয়া যাচ্ছে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে? মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বাসিন্দা লালন‌ শেখের আড়াই বছরের ছেলে ভর্তি রয়েছে নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। তাঁর কথায়, ‘ছেলের জন্য একটা সিরাপ কিনতে বলে হাসপাতাল থেকে‌। এখানকার ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে এই সিরাপ কিনেছি।’ এক আত্মীয়র চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে এসেছেন গড়িয়ার বাসিন্দা শ্যামল মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘এখানকার ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ পাওয়া যায়।’

আরও পড়ুন: দাম কমল বাণিজ্যিক গ্যাসের, ১ এপ্রলি থেকে দাম কার্যকর

তবে, নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগীর আত্মীয়র এমনই অভিযোগ, ‘সব ওষুধ পাওয়া যায়নি এখানকার ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে।’ কলকাতার পার্ক সার্কাস অঞ্চলে অবস্থিত ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে ছাড় পাওয়া যায়‌ ৫৬.৬ শতাংশ। কী অবস্থা এখানে? সব সময় সব ওষুধ পাওয়া কি যায়?

আরও পড়ুন: ফ্লুর প্রাদুর্ভাব: উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে রোগী, সরকারকে সতর্ক করল বিশেষজ্ঞরা

মহেশতলার বাসিন্দা আবুল বাশার মোল্লা তাঁর ত্বকের সমস্যার জন্য এসেছেন ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। এখানকার ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে কার্যত হতাশ মুখ নিয়ে ফিরছেন তিনি। ডাক্তারবাবু তো দেখলেন আপনাকে, ওষুধও দিয়েছেন, এখানে কি ওষুধ পাওয়া গেল? আবুল বাশার মোল্লার এমনই অভিযোগ, ‘এই ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে আমার কোনও ওষুধই নেই।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘কী আর করব, বাইরে থেকে এখন কিনতে হবে।’

এই রোগীর এমন অভিযোগ যেমন শোনা গেল, তেমনই এই ধরনের অভিযোগের ১৮০ ডিগ্রি অবস্থানে থাকা কথাও শোনা গেল ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। কামালগাজীর বাসিন্দা শ্যামল বিশ্বাস এই হাসপাতালে এসেছেন তাঁর এক আত্মীয়র চিকিৎসার জন্য। তিনি বলেন, ‘এখানকার ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে সব ওষুধ পেয়েছি। কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি।’

সব সময় কি সব ওষুধ পাওয়া যায় না ন্যায্য মূল্যের সব ওষুধের দোকানে? এই বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ স্তরের এক আধিকারিকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এমন হওয়ার কথা নয়। কী হচ্ছে, খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’