১২ মে ২০২৫, সোমবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ন্যাটোয় যোগদানের আবেদন করল ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৮ মে ২০২২, বুধবার
  • / 17

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ তুরস্ক ও রাশিয়ার হুমকি উপেক্ষা করেই পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোয় যোগ দিতে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাল ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। বুধবার ন্যাটো জোটের সদর দফতরে আবেদনপত্র হস্তান্তর করা হয়। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশ দু’টি। আনুষ্ঠানিক আবেদনের ফলে তা অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই আবেদনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে অনেকেই আশা করছেন। ব্রাসেলসে ন্যাটো সদর দফতরে আবেদনপত্রের চিঠি জোটের মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের কাছে হস্তান্তর করেন সুইডিশ ও ফিনিশ রাষ্ট্রদূত। এরপর ন্যাটো মহাসচিব বলেন, ‘এটি এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যা আমাদের অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে।’ স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘ন্যাটোতে যোগদানের জন্য ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের আবেদনকে আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। আপনারা আমাদের ঘনিষ্ঠ অংশীদার, এবং ন্যাটোতে আপনার সদস্যপদ আমাদের যৌথ নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে।’ ন্যাটো মনে করে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন জোটভুক্ত হলে বাল্টিক সাগরে নিরাপত্তা জোরদার হবে। দেশ দুইটির এই আবেদন জোটভুক্ত ৩০ দেশের পার্লামেন্টে অনুমোদিত হতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে গত কয়েক দিন ধরে ন্যাটো সদস্য তুরস্ক বলে আসছে তারা ন্যাটো ও সুইডেনকে সদস্যপদ দেওয়াকে সমর্থন দেবে না। এ বিষয়ে স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘আমরা সবসমস্যার মধ্য দিয়ে কাজ করতে এবং দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ অন্য মিত্রদের জোরালো সমর্থন রয়েছে বলে জানান তিনি। ইতিমধ্যেই, এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ এরদোগান। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ রাশিয়ার ক্ষোভকে আরও উসকে দেবে। কারণ, পুতিন আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোয় যোগ দিলে তার ফল হবে ভয়াবহ।

আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ কোনটি? জানুন

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ন্যাটোয় যোগদানের আবেদন করল ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন

আপডেট : ১৮ মে ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ তুরস্ক ও রাশিয়ার হুমকি উপেক্ষা করেই পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোয় যোগ দিতে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাল ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। বুধবার ন্যাটো জোটের সদর দফতরে আবেদনপত্র হস্তান্তর করা হয়। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশ দু’টি। আনুষ্ঠানিক আবেদনের ফলে তা অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই আবেদনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে অনেকেই আশা করছেন। ব্রাসেলসে ন্যাটো সদর দফতরে আবেদনপত্রের চিঠি জোটের মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের কাছে হস্তান্তর করেন সুইডিশ ও ফিনিশ রাষ্ট্রদূত। এরপর ন্যাটো মহাসচিব বলেন, ‘এটি এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যা আমাদের অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে।’ স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘ন্যাটোতে যোগদানের জন্য ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের আবেদনকে আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। আপনারা আমাদের ঘনিষ্ঠ অংশীদার, এবং ন্যাটোতে আপনার সদস্যপদ আমাদের যৌথ নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে।’ ন্যাটো মনে করে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন জোটভুক্ত হলে বাল্টিক সাগরে নিরাপত্তা জোরদার হবে। দেশ দুইটির এই আবেদন জোটভুক্ত ৩০ দেশের পার্লামেন্টে অনুমোদিত হতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে গত কয়েক দিন ধরে ন্যাটো সদস্য তুরস্ক বলে আসছে তারা ন্যাটো ও সুইডেনকে সদস্যপদ দেওয়াকে সমর্থন দেবে না। এ বিষয়ে স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘আমরা সবসমস্যার মধ্য দিয়ে কাজ করতে এবং দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ অন্য মিত্রদের জোরালো সমর্থন রয়েছে বলে জানান তিনি। ইতিমধ্যেই, এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ এরদোগান। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ রাশিয়ার ক্ষোভকে আরও উসকে দেবে। কারণ, পুতিন আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোয় যোগ দিলে তার ফল হবে ভয়াবহ।

আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ কোনটি? জানুন