০২ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শহরে ফের ডেঙ্গুতে মৃত ২৪ বছরের যুবক, নাগরিক অসচেতনতায় ক্ষুব্ধ ফিরহাদ

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২২, শনিবার
  • / 7

পুবের কলম প্রতিবেদক: ফের ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল শহরে। মৃতের নাম সায়ন ঘোষ চৌধুরী। ২৪ বছর বয়সী ওই যুবক ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি।

পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে শয্যা ফাঁকা না থাকায় ফিরিয়ে দেওয়া হয় রোগীকে। ওইদিনই বেহালার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই যুবককে। এরপর ২৪ ঘন্টা না পেরতেই শুক্রবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। এই নিয়ে কলকাতায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৩।

যুবকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার বিক্ষোভ দেখায় ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। কলকাতা পুরসভার গাফিলতিকেই তুলে ধরা হয় এদিন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকায় কোনওরকম পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর রাখে না পুরসভা। চারিদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আবর্জনা, জল জমে রয়েছে। বারবার জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি।

 

যদিও এই ঘটনায় মানুষের অসচেতনতার দিকেও আঙুল তুলেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বক্তব্য, মানুষ যতক্ষণ না সচেতন হবে পরিস্থিতি ঠিক হওয়ার নয়। পুরসভা প্রাণপণ প্রচেষ্টা করছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্প্রে করছে, মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছে। ফিবার ক্লিনিক গুলো সারাদিন রাত্রি খোলা আছে। তবে আমার বাড়ির ছাদে জল জমে থাকবে, আর আমি পুরসভাকে দোষারোপ করব এটা হতে পারে না। আমার বাড়ির ছাদে জমা জল পরিষ্কার করার দায়িত্ব আমার। আইন সবার জন্য এক, কিন্তু মানুষকে সচেতন হতে হবে। বহু জায়গায় বাড়ির ছাদে থেকে প্রচুর লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। মানুষের ব্যবহার যদি এরকম হয় তবে পুরসভার কিছু করার নেই। মানুষকে বলছি সচেতন হতে। কলকাতায় কয়েক লক্ষ ছাদ রয়েছে সব ছাদে পুরসভার ওঠা সম্ভব না, এগুলো মানুষকেই পরিষ্কার করতে হবে।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শহরে ফের ডেঙ্গুতে মৃত ২৪ বছরের যুবক, নাগরিক অসচেতনতায় ক্ষুব্ধ ফিরহাদ

আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: ফের ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল শহরে। মৃতের নাম সায়ন ঘোষ চৌধুরী। ২৪ বছর বয়সী ওই যুবক ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি।

পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে শয্যা ফাঁকা না থাকায় ফিরিয়ে দেওয়া হয় রোগীকে। ওইদিনই বেহালার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই যুবককে। এরপর ২৪ ঘন্টা না পেরতেই শুক্রবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। এই নিয়ে কলকাতায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৩।

যুবকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার বিক্ষোভ দেখায় ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। কলকাতা পুরসভার গাফিলতিকেই তুলে ধরা হয় এদিন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকায় কোনওরকম পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর রাখে না পুরসভা। চারিদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আবর্জনা, জল জমে রয়েছে। বারবার জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি।

 

যদিও এই ঘটনায় মানুষের অসচেতনতার দিকেও আঙুল তুলেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বক্তব্য, মানুষ যতক্ষণ না সচেতন হবে পরিস্থিতি ঠিক হওয়ার নয়। পুরসভা প্রাণপণ প্রচেষ্টা করছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্প্রে করছে, মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছে। ফিবার ক্লিনিক গুলো সারাদিন রাত্রি খোলা আছে। তবে আমার বাড়ির ছাদে জল জমে থাকবে, আর আমি পুরসভাকে দোষারোপ করব এটা হতে পারে না। আমার বাড়ির ছাদে জমা জল পরিষ্কার করার দায়িত্ব আমার। আইন সবার জন্য এক, কিন্তু মানুষকে সচেতন হতে হবে। বহু জায়গায় বাড়ির ছাদে থেকে প্রচুর লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। মানুষের ব্যবহার যদি এরকম হয় তবে পুরসভার কিছু করার নেই। মানুষকে বলছি সচেতন হতে। কলকাতায় কয়েক লক্ষ ছাদ রয়েছে সব ছাদে পুরসভার ওঠা সম্ভব না, এগুলো মানুষকেই পরিষ্কার করতে হবে।’