চাকরিহারাদের আন্দোলনকে ‘নাটক’ কটাক্ষ ফিরহাদ হাকিমের

- আপডেট : ১৭ মে ২০২৫, শনিবার
- / 222
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: চাকরিহারাদের আন্দোলনকে ‘নাটক’ কটাক্ষ ফিরহাদ হাকিমের। শনিবার এমন মন্তব্য করলেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ববি হাকিম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরিহারাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তাঁর উপর ভরসা রাখলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। অনেকেই তা করেছেন। কিছু মানুষ এখনও আন্দোলন করে যাচ্ছেন। সুপ্রিম কোর্টের রায় আন্দোলন করে বদলানো যাবে না বলে জানান তিনি।
দুর্নীতির অভিযোগে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার ফলে চাকরি গিয়েছে ২৫,৭৩৫ জনের। আদালতের রায়ের পর থেকেই চাকরিহারা এই শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের একাংশ পথে নেমেছেন। বৃহস্পতিবার থেকে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থানে বসেছেন চাকরিহারাদের ওই অংশ। ওই দিন রাতেই বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। শনিবার তাঁদের এই অবস্থানের তৃতীয় দিন। ফিরহাদ বলেন, ‘‘নেতাজি ইন্ডোরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, যা ব্যবস্থা করার করবেন। সেই বিশ্বাসটা রাখলেই হয়ে যেত। এত গোলমালের দরকার ছিল না। বেশির ভাগ মানুষই বাড়ি চলে গিয়েছেন। যাঁরা টিভিতে মুখ দেখাতে চান, তাঁরাই এখনও বসে আছেন। এটা নাটক হচ্ছে।’’
আন্দোলনের ফলে আইনি প্রক্রিয়ায় সমস্যা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘‘যখন সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন যাবে, তখন যদি কেউ বলেন, শিক্ষকেরা আন্দোলন করছেন, তখন তো তাঁদেরই বিপদ বাড়বে। বিকাশ ভবনে কর্মীদের আটকে রাখা হয়েছিল। এ ভাবে মানুষের উপর অত্যাচার করে তো আন্দোলন চলতে পারে না। দুর্নীতির বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট দেখছে। তারা যা বিচার করেছে, সেটা তারাই বদলাতে পারে। বিকাশ ভবনে আন্দোলন করে তা বদলানো যাবে না।’’
বিকাশ ভবনের সামনে যাঁরা বসে আছেন, তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী বা শিক্ষামন্ত্রীকে সশরীরে এসে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হবে। আশ্বস্ত করতে হবে। তাঁরা কোনও ভাবেই নতুন করে পরীক্ষায় বসবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। এই দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে বিকাশ ভবন ঘেরাও করেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। সন্ধ্যার পর বিকাশ ভবনের কর্মচারীদের ছুটি হলেও তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারছিলেন না। কাউকে বেরোতে দেওয়া হচ্ছিল না। এর পরেই লাঠিচার্জ করে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। বাইরে বার করে আনা হয় আটক কর্মীদের। পুলিশ পরে সাংবাদিক বৈঠক করেও জানায়, চাকরিহারাদের আন্দোলনের প্রতি তারা সহানুভূতিশীল।