ফুরফুরায় তৈরি হবে অফিস ও মুসাফিরখানা, বিধানসভায় বললেন ফিরহাদ

- আপডেট : ৪ অগাস্ট ২০২৩, শুক্রবার
- / 26
আবদুল ওদুদ: বাংলার রাজনীতিতে সমস্ত রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য থাকে ফুরফরা শরীফ। এই ফুরফুরার মন পাওয়ার জন্য ভোট এলেই রাজনৈতিক নেতারা ছুটে যান। ফুরফুরার উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করেছেন ‘ফুরফুরা উন্নয়ন পর্যদ’।
৬ বছরআগে তৈরি হওয়া ফুরফুরা উন্নয়ন পর্যদের কাজ নিয়ে বিধানসভায় আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি জানতে চান —এখন পর্যন্ত ফুরফুরার উন্নয়নের জন্য কত কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে? আর খরচ কত হয়েছে? উত্তর দিতে রাজ্য বিধানসভায় রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, হুগলির ফুরফুরা শরিফের উন্নয়নকল্পে সাড়ে ৫৮ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের মাধ্যমে ওই অর্থ খরচ করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত সে সমস্ত কাজ হয়েছে তার সমস্ত রির্পোট বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান। আই এসএফ বিধায়কের অতিরিক্ত প্রশ্ন ছিল—ফুরফুরা উন্নয়ন পর্যদের অফিস কোথায়? উত্তরে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ফুরফুরা শরিফের গেটের পাশে একটি খাস জমি পাওয়া গেছে। সেই জমিতে তৈরি করা হবে উন্নয়ন পর্ষদের অফিস ও মুসাফিরখানা। যতদিন না তা গড়ে ওঠে ততদিন শ্রীরামপুরে মহকুমা শাসকের অফিস থেকে কাজ চলবে বলে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান।
প্রসঙ্গত রাজ্যে পরিবর্তনের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রথম ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি করেন। ফুরফুরায় শায়িত রয়েছেন দাদা হুজুর পীর আবু বক্কর সিদ্দিকি (রহ.)। দুই বাংলার একাংশের মানুষের কাছে পবিত্র স্থান। প্রথমে ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয়েছিল ফিরহাদ হাকিমকে। পরে সেই জায়গায় আনা হয় সপ্তগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তকে।
ফুরফুরা শরিফেরই পীরজাদা হলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। ফুরফুরার উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বয়ং নিজে উদ্যোগী। আর তিনি নিজেই তৈরি করেছেন এই উন্নয়ন পর্যদ। উন্নয়ন প্রসঙ্গে কাজের খবর তিনি খোঁজখবর নেন।