প্রথম মুসলিম মহিলা, ঝাড়খণ্ড পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় নুসরাত নূরের প্রথম স্থান অর্জন

- আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২২, রবিবার
- / 11
পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ঝাড়খণ্ড পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা ২০২২-এ প্রথম স্থান অর্জন করেছেন নুসরাত নূর ।তিনিই সে রাজ্যে প্রথম মুসলিম মহিলা যিনি পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় প্রথম হলেন। ওই রাজ্যের সব থেকে উঁচু পদের চাকরি এবং সবথেকে কঠিন চাকরির পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা ।সেই পরীক্ষায় ছেলেদের পিছনে ফেলে প্রথম স্থান দখলকারী মেয়ে নুসরাত নূর এক নতুন মাইলস্টোন স্পর্শ করল।
নুসরাত নূরের বয়স ২৭ বছর। তিনি যথাযথ অধ্যবসায়ের সাথে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হন, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার গত মাসে একটি সাক্ষাৎকারের জন্য উপস্থিত হন সরকারি অফিসে। পরীক্ষায় দুর্দান্ত পারফর্ম করেন এবং অবশেষে ঝাড়খণ্ড পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় প্রথম মুসলিম মহিলা হওয়ার জন্য তিনি মহান আল্লাহপাকের কাছে শুকরিয়া আদায় করেছেন।
মুসলিম নারীর প্রশাসনে চাকরি করতে আসা প্রসঙ্গে নুসরাত নূর বলেন, অংশগ্রহণ ও উদ্যোগ নারীর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির চাবিকাঠি। ফলাফল কী হতে পারে তাতে কিছু যায় আসে না, মুসলিম নারীদের সিভিল সার্ভিসে যোগ দিতে এগিয়ে আসা উচিত। এভাবেই আমরা আমাদের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে পারি এবং আমাদের সম্প্রদায় ও জাতিকে ব্যাপকভাবে উপকৃত করতে পারি।
ঝাড়খণ্ড পাবলিক সার্ভিস কমিশন রাজ্যের শিক্ষা, চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যসেবা সহ বিভিন্ন বিভাগে শীর্ষ সরকারি পদে নিয়োগের জন্য রাজ্য-স্তরের সিভিল পরিষেবা পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই মর্যাদাপূর্ণ সরকারি পদে প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়।
সিভিল সার্ভিসে যাওয়ার জন্য তাকে কে অনুপ্রাণিত করেছিল জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি লক্ষ্য করেছি যে সরকারি কর্মক্ষেত্রে মুসলিম নারীদের প্রতিনিধিত্ব নগণ্য। মুসলমানদের উচ্চ শিক্ষিত হওয়ার সময় এসেছে। বিশেষ করে আমাদের মহিলাদের সামনে থাকা উচিত। প্রতিটি সেক্টরে আমাদের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর শহরে জন্মগ্রহণ ও বেড়ে ওঠা নূর একজন চিকিৎসক এবং স্নায়ুবিদ্যায় বিশেষজ্ঞ।জামশেদপুরের সেক্রেড হার্ট কনভেন্ট স্কুলে তার প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার পর তিনি রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে তার ডিগ্রি অর্জনের জন্য রাঁচিতে চলে আসেন।
তিনি ২০২০ সালে তিনি এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। পরে জুনিয়র রেসিডেন্টশিপ হিসাবে প্রাকটিশ করার জন্য তাকে একই মেডিকেল কলেজে পোস্ট করা হয়।এরপর তার বিয়ে হয়। তিনি একটি যৌথ পরিবারে থাকেন । নুসরত বলেন, তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে তার স্বপ্ন এবং লক্ষ্য পূরণ করার পথে বাধা হননি বা নিরুৎসাহিত করেনি।