০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনে মাছ ধরায় জট! অনুমতি পত্র না মেলায় চরম সঙ্কটে শতাধিক মৎস্যজীবী

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 21

কুতুব উদ্দিন মোল্লা, ক্যানিং : মাছ ধরার মরশুম শুরু হয়েছে মাসখানেক আগে, অথচ এখনও সুন্দরবনের নদীতে যেতে পারছেন না বহু মৎস্যজীবী। কারণ, মাছ ধরার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি পত্র (বিএলসি) নিয়ে জটিলতা। এই পরিস্থিতি বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদাকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি, এমনই অভিযোগ মৎস্যজীবী সংগঠনের।

অভিযোগ, বিএলসি অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু করেছে বনদপ্তর। যাদের নামে অনুমতি, তাদেরই থাকতে হবে নৌকায়। বহু ক্ষেত্রে নিহত মৎস্যজীবীদের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা সেই অনুমতি পত্র ভাড়া দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। নতুন নিয়মে তারাও বিপাকে।

আরও পড়ুন: সুমনা এন্ড ফ্রেন্ডস-এর উদ্যোগে ঝড়খালিতে গড়ে উঠছে সবুজের দেওয়াল

যার ফলে, ঝড়খালি, ক্যানিং, মৌখালী, বাসন্তী, কুলতলির শতাধিক মৎস্যজীবী বুধবার ক্যানিং বাসস্ট্যান্ডে জমায়েত হয়ে মিছিল করেন। পরে তাঁরা ব্যাঘ্র প্রকল্প অফিসে গণডেপুটেশন জমা দেন। দাবি, অবিলম্বে মাছ ধরার অনুমতি চালু করতে হবে। না হলে শুরু হবে অনির্দিষ্টকালীন অবস্থান-বিক্ষোভ।

আরও পড়ুন: বাঘ বাঁচানোর বার্তা দিয়ে ঝড়খালিতে পালিত হল আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস

আর বিষয়ে ব্যাঘ্র প্রকল্পের দাবি, অনেকেই রয়েছেন যারা অনুমতি নিয়ে নিজেরা মাছ ধরতে যান না, বরং ভাড়া দেন অন্যকে। প্রকৃত মৎস্যজীবীরাই যাতে জঙ্গলে যান, তাই এই পদক্ষেপ। আর এই অবস্থায় চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা। কেউ কেউ ইতিমধ্যেই অন্য রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে পাড়ি দিয়েছেন জীবিকার খোঁজে।

আরও পড়ুন: সুন্দরবন সবুজায়ন করতে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সুন্দরবনে মাছ ধরায় জট! অনুমতি পত্র না মেলায় চরম সঙ্কটে শতাধিক মৎস্যজীবী

আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার

কুতুব উদ্দিন মোল্লা, ক্যানিং : মাছ ধরার মরশুম শুরু হয়েছে মাসখানেক আগে, অথচ এখনও সুন্দরবনের নদীতে যেতে পারছেন না বহু মৎস্যজীবী। কারণ, মাছ ধরার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি পত্র (বিএলসি) নিয়ে জটিলতা। এই পরিস্থিতি বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদাকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি, এমনই অভিযোগ মৎস্যজীবী সংগঠনের।

অভিযোগ, বিএলসি অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু করেছে বনদপ্তর। যাদের নামে অনুমতি, তাদেরই থাকতে হবে নৌকায়। বহু ক্ষেত্রে নিহত মৎস্যজীবীদের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা সেই অনুমতি পত্র ভাড়া দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। নতুন নিয়মে তারাও বিপাকে।

আরও পড়ুন: সুমনা এন্ড ফ্রেন্ডস-এর উদ্যোগে ঝড়খালিতে গড়ে উঠছে সবুজের দেওয়াল

যার ফলে, ঝড়খালি, ক্যানিং, মৌখালী, বাসন্তী, কুলতলির শতাধিক মৎস্যজীবী বুধবার ক্যানিং বাসস্ট্যান্ডে জমায়েত হয়ে মিছিল করেন। পরে তাঁরা ব্যাঘ্র প্রকল্প অফিসে গণডেপুটেশন জমা দেন। দাবি, অবিলম্বে মাছ ধরার অনুমতি চালু করতে হবে। না হলে শুরু হবে অনির্দিষ্টকালীন অবস্থান-বিক্ষোভ।

আরও পড়ুন: বাঘ বাঁচানোর বার্তা দিয়ে ঝড়খালিতে পালিত হল আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস

আর বিষয়ে ব্যাঘ্র প্রকল্পের দাবি, অনেকেই রয়েছেন যারা অনুমতি নিয়ে নিজেরা মাছ ধরতে যান না, বরং ভাড়া দেন অন্যকে। প্রকৃত মৎস্যজীবীরাই যাতে জঙ্গলে যান, তাই এই পদক্ষেপ। আর এই অবস্থায় চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা। কেউ কেউ ইতিমধ্যেই অন্য রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে পাড়ি দিয়েছেন জীবিকার খোঁজে।

আরও পড়ুন: সুন্দরবন সবুজায়ন করতে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি