৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রয়াত কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চান্ডি, দুদিন শোক ঘোষণা সরকারের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 199

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  প্রয়াত কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা ওমেন চান্ডি। মঙ্গলবার ভোররাতে জীবনাবসান হয় এই প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের। তাঁর তাঁর মৃত্যুর খবর সংবাদ মাধ্যমকে জানান কেরল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে সুধাকরণ। ক্যানসারে ভুগছিলেন এই প্রবীণ নেতা। তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ছেলে চান্ডি উমেন। এক ফেসবুক বার্তায় তিনি লেখেন, ‘আপ্পা মারা গেছেন’।

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। একটি ট্যুইট বার্তায় প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে সুধাকরণ লেখেন, ‘প্রেমের শক্তিতে বিশ্ব জয়ী রাজার গল্পের মর্মান্তিক সমাপ্তি ঘটেছে। আজ ওমেন চান্ডির মতো একজন কিংবদন্তিকে হারিয়ে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তিনি অগণিত ব্যক্তির জীবন স্পর্শ করেছেন। এবং তাঁর স্মৃতি চিরকাল আমাদের মনে থাকবে। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করছি!’

আরও পড়ুন: সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্কলারশিপে শুরু হচ্ছে আবেদন

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণে কেরল সরকার দু’দিনের শোক ঘোষণা করেছে। ঘোষণা করা হয়েছে একদিনের সরকারি ছুটিও।

আরও পড়ুন: শিক্ষকের মারে দৃষ্টিশক্তি হারাল এক খুদে পড়ুয়া, কর্নাটকের সরকারি স্কুলের ঘটনা

কেরলের পুত্থুপপল্লি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রথমবার নির্বাচনে জয়ী হয়ে পরিষদীয় রাজনীতিতে আসেন ওমেন চান্ডি। এই কেন্দ্র থেকে একাধিকবার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৪ সালে প্রথমবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। মাত্র ২ বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন চান্ডি। এরপর ২০১১ সালে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। দ্বিতীয় দফায় ৫ বছর মেয়াদ পূরণ করেছিলেন ওমেন চান্ডি। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে একে অ্যান্টনি এবং কে করুণাকরণ মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন ওমেন চান্ডি। শ্রম, স্বরাষ্ট্রের পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ১৯৪৩ সালে কেরলের কোট্টায়াম জেলায় জন্ম হয়েছিল ওমেন চান্ডির। প্রসঙ্গত, টানা ১১ বার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ওমেন চান্ডি। প্রথমবার ২৭ বছর বয়সে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। কেরলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময়ের জন্য বিধানসভার সদস্য থাকার নজির তাঁরই নামে।

আরও পড়ুন: চুক্তিভিক্তিক শিক্ষক নিয়োগে নতুন নিয়ম, ১০ শতাংশের সীমা প্রত্যাহার ইউজিসির

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রয়াত কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চান্ডি, দুদিন শোক ঘোষণা সরকারের

আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  প্রয়াত কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা ওমেন চান্ডি। মঙ্গলবার ভোররাতে জীবনাবসান হয় এই প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের। তাঁর তাঁর মৃত্যুর খবর সংবাদ মাধ্যমকে জানান কেরল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে সুধাকরণ। ক্যানসারে ভুগছিলেন এই প্রবীণ নেতা। তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ছেলে চান্ডি উমেন। এক ফেসবুক বার্তায় তিনি লেখেন, ‘আপ্পা মারা গেছেন’।

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। একটি ট্যুইট বার্তায় প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে সুধাকরণ লেখেন, ‘প্রেমের শক্তিতে বিশ্ব জয়ী রাজার গল্পের মর্মান্তিক সমাপ্তি ঘটেছে। আজ ওমেন চান্ডির মতো একজন কিংবদন্তিকে হারিয়ে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তিনি অগণিত ব্যক্তির জীবন স্পর্শ করেছেন। এবং তাঁর স্মৃতি চিরকাল আমাদের মনে থাকবে। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করছি!’

আরও পড়ুন: সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্কলারশিপে শুরু হচ্ছে আবেদন

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণে কেরল সরকার দু’দিনের শোক ঘোষণা করেছে। ঘোষণা করা হয়েছে একদিনের সরকারি ছুটিও।

আরও পড়ুন: শিক্ষকের মারে দৃষ্টিশক্তি হারাল এক খুদে পড়ুয়া, কর্নাটকের সরকারি স্কুলের ঘটনা

কেরলের পুত্থুপপল্লি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রথমবার নির্বাচনে জয়ী হয়ে পরিষদীয় রাজনীতিতে আসেন ওমেন চান্ডি। এই কেন্দ্র থেকে একাধিকবার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৪ সালে প্রথমবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। মাত্র ২ বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন চান্ডি। এরপর ২০১১ সালে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। দ্বিতীয় দফায় ৫ বছর মেয়াদ পূরণ করেছিলেন ওমেন চান্ডি। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে একে অ্যান্টনি এবং কে করুণাকরণ মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন ওমেন চান্ডি। শ্রম, স্বরাষ্ট্রের পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ১৯৪৩ সালে কেরলের কোট্টায়াম জেলায় জন্ম হয়েছিল ওমেন চান্ডির। প্রসঙ্গত, টানা ১১ বার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ওমেন চান্ডি। প্রথমবার ২৭ বছর বয়সে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। কেরলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময়ের জন্য বিধানসভার সদস্য থাকার নজির তাঁরই নামে।

আরও পড়ুন: চুক্তিভিক্তিক শিক্ষক নিয়োগে নতুন নিয়ম, ১০ শতাংশের সীমা প্রত্যাহার ইউজিসির