০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আয়া সোফিয়ায় গিয়ে আন্তোনিও থেকে মুহাম্মদ হলেন এক মার্কিনি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 54

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ তুরস্কের ঐতিহাসিক আয়া  সোফিয়া  মসজিদে তখন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের অনুষ্ঠান চলছিল। আর ঠিক সেই সময়ই সেই মসজিদে প্রবেশ করেন মার্কিন পর্যটক আন্তোনিও। কুরআন তোলাওয়াত ও দোয়ার অনুষ্ঠানের দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হন তিনি এবং তখনই ইসলাম গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এক লহমায় খ্রিস্টান থেকে মুসলিম হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। এরপর কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করে আন্তোনিও ইসলামের ছায়ায় আসেন।

 

আরও পড়ুন: ইসলামে সামাজিক বন্ধনের গুরুত্ব

শুধু তাই নয়, মুসলিম হওয়ার পর তিনি ইস্তান্বুল বিজেতা উসমানীয় সুলতান মুহাম্মদ আলফাতিহের নামে নিজের নাম রাখেন। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামে প্রবেশের সময় আয়া সোফিয়ায় উপস্থিত অন্যরা তাকবির ধ্বনি দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান। ইতিমধ্যে একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়েছে। তুর্কি মিডিয়া জানায়, সেই দিন আয়া সোফিয়ায় বার্তিন প্রদেশের কয়লার খনিতে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় পবিত্র কুরআন পাঠ ও একটি দোয়া অনুষ্ঠান চলছিল। এমন সময় আন্তোনিও সেখানে প্রবেশ করেন।

আরও পড়ুন: অমুসলিমদের প্রতি মহানবী সা.-এর আচরণ

 

আরও পড়ুন: ‘নরখাদক’ বাবা-মাকে খুন করল মার্কিন তরুণ

উল্লেখ্য, সুলতান মুহাম্মদ আলফাতিহ ১৪৫৩ সালে ইস্তাম্বুল বিজয় করেন। এর আগে পর্যন্ত ৯১৬ বছর আয়া সোফিয়া খ্রিস্টানদের গির্জা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এরপর ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫০০ বছর তা মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এরপর থেকে ৮৬ বছর ঐতিহাসিক এ স্থাপনাকে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ১৯৮৫ সালে ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত হয় এই স্থাপনা। ২০২০ সালে তা পুনরায় মসজিদের রূপান্তরিত হয়।

 

মসজিদ হলেও তা সব ধর্মের পর্যটকের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। দীর্ঘ ৮৬ বছর পর ২০২০ সালের ২৪ জুলাই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের উপস্থিতিতে তাতে প্রথম জুমার নামায অনুষ্ঠিত হয়। তুরস্কের দর্শনীয় স্থাপনাগুলোর মধ্যে ১,৫০০ বছরের পুরনো এ স্থানটি অন্যতম।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আয়া সোফিয়ায় গিয়ে আন্তোনিও থেকে মুহাম্মদ হলেন এক মার্কিনি

আপডেট : ১ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ তুরস্কের ঐতিহাসিক আয়া  সোফিয়া  মসজিদে তখন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের অনুষ্ঠান চলছিল। আর ঠিক সেই সময়ই সেই মসজিদে প্রবেশ করেন মার্কিন পর্যটক আন্তোনিও। কুরআন তোলাওয়াত ও দোয়ার অনুষ্ঠানের দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হন তিনি এবং তখনই ইসলাম গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এক লহমায় খ্রিস্টান থেকে মুসলিম হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। এরপর কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করে আন্তোনিও ইসলামের ছায়ায় আসেন।

 

আরও পড়ুন: ইসলামে সামাজিক বন্ধনের গুরুত্ব

শুধু তাই নয়, মুসলিম হওয়ার পর তিনি ইস্তান্বুল বিজেতা উসমানীয় সুলতান মুহাম্মদ আলফাতিহের নামে নিজের নাম রাখেন। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামে প্রবেশের সময় আয়া সোফিয়ায় উপস্থিত অন্যরা তাকবির ধ্বনি দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান। ইতিমধ্যে একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়েছে। তুর্কি মিডিয়া জানায়, সেই দিন আয়া সোফিয়ায় বার্তিন প্রদেশের কয়লার খনিতে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় পবিত্র কুরআন পাঠ ও একটি দোয়া অনুষ্ঠান চলছিল। এমন সময় আন্তোনিও সেখানে প্রবেশ করেন।

আরও পড়ুন: অমুসলিমদের প্রতি মহানবী সা.-এর আচরণ

 

আরও পড়ুন: ‘নরখাদক’ বাবা-মাকে খুন করল মার্কিন তরুণ

উল্লেখ্য, সুলতান মুহাম্মদ আলফাতিহ ১৪৫৩ সালে ইস্তাম্বুল বিজয় করেন। এর আগে পর্যন্ত ৯১৬ বছর আয়া সোফিয়া খ্রিস্টানদের গির্জা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এরপর ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫০০ বছর তা মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এরপর থেকে ৮৬ বছর ঐতিহাসিক এ স্থাপনাকে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ১৯৮৫ সালে ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত হয় এই স্থাপনা। ২০২০ সালে তা পুনরায় মসজিদের রূপান্তরিত হয়।

 

মসজিদ হলেও তা সব ধর্মের পর্যটকের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। দীর্ঘ ৮৬ বছর পর ২০২০ সালের ২৪ জুলাই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের উপস্থিতিতে তাতে প্রথম জুমার নামায অনুষ্ঠিত হয়। তুরস্কের দর্শনীয় স্থাপনাগুলোর মধ্যে ১,৫০০ বছরের পুরনো এ স্থানটি অন্যতম।