০২ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওমিক্রনকে বশে আনতে জেনোভার ‘মেসেঞ্জার আরএনএ’ ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৭ জানুয়ারী ২০২২, সোমবার
  • / 21

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ করোনার সঙ্গে দাপট অব্যাহত রেখেছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এখনই আক্রান্তের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই দ্রুত হারে সংক্রমণ ছড়ানোর পিছনে কাজ করছে ওমিক্রন। ভারতে করোনার অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রনকে বশে আনতে দেশটির জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস ‘মেসেঞ্জার আরএনএ’ ভ্যাকসিন আনছে। বর্তমানে এই ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল চলছে। এখানেও বেশ সাফল্য দেখা গেছে। সব  ঠিক থাকলে শীঘ্রই ‘মেসেঞ্জার আরএনএ’ ভ্যাকসিন বাজারে নিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হবে। সেরাম ইনস্টিটিউটের মতোই পুণের জনপ্রিয় টিকা প্রস্ততকারক সংস্থা জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস। মডার্না,  ফাইজারের মতোই আরএনএ (মেসেঞ্জার আরএনএ) সিকুয়েন্সকে কাজে লাগিয়ে টিকা তৈরি করা হয়েছে।

মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কম্পানি এইচডিটি বায়োটেক কর্পোরেশনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে টিকা বানিয়েছে জেনোভা। ল্যাবরেটরিতে এই টিকার প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়ালে সাফল্যের পর তিন পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমতি দেয় ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালেও সাফল্যের পথে এই টিকা। সব ঠিক থাকলে খুব তাড়াতাড়ি এই টিকা নিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হবে।

মেসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএনএ) সিকুয়েন্সকে কাজে লাগিয়ে টিকা ক্যানডিডেট এইচজিসিও১৯ তৈরি করেছে জেনোভা। কোন কোষে কী প্রোটিন তৈরি হচ্ছে, তার জিনগত তথ্য বা জেনেটিক কোড শরীরের নির্দিষ্ট কোষে পৌঁছে দেওয়াই এর কাজ।

আরএনএ ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন দিয়েই এই টিকা তৈরি হয়েছে। এমআরএনএ সিকুয়েন্সকে এমনভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে দেহকোষে ঢুকলে সেটি ভাইরাল  প্রোটিনের মতো প্রোটিন তৈরি করতে কোষকে উদ্দীপিত করতে পারে।

টিকায় থাকা জিনের বিন্যাস দেখে দেহকোষও একই রকম স্পাইক প্রোটিন তৈরি করবে। তখন সেই প্রোটিনকে ঠেকাতে শরীরের ইমিউন কোষ তথা বি-কোষ ও টি-কোষ সক্রিয় হয়ে উঠবে। বি-কোষ থেকে প্লাজমা বা রক্তরসে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে।

ইন্ডিয়ান টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অব কভিড ভ্যাকসিনের চেয়ারম্যান ড. এন কে অরোরা জানান, এই টিকার নিরাপত্তা ট্রায়ালের রিপোর্ট খুঁটিয়ে দেখছে ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। টিকার ছাড়পত্র কবে পাওয়া যাবে তা নিয়ে প্রতীক্ষায় দেশ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ওমিক্রনকে বশে আনতে জেনোভার ‘মেসেঞ্জার আরএনএ’ ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে

আপডেট : ১৭ জানুয়ারী ২০২২, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ করোনার সঙ্গে দাপট অব্যাহত রেখেছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এখনই আক্রান্তের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই দ্রুত হারে সংক্রমণ ছড়ানোর পিছনে কাজ করছে ওমিক্রন। ভারতে করোনার অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রনকে বশে আনতে দেশটির জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস ‘মেসেঞ্জার আরএনএ’ ভ্যাকসিন আনছে। বর্তমানে এই ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল চলছে। এখানেও বেশ সাফল্য দেখা গেছে। সব  ঠিক থাকলে শীঘ্রই ‘মেসেঞ্জার আরএনএ’ ভ্যাকসিন বাজারে নিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হবে। সেরাম ইনস্টিটিউটের মতোই পুণের জনপ্রিয় টিকা প্রস্ততকারক সংস্থা জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস। মডার্না,  ফাইজারের মতোই আরএনএ (মেসেঞ্জার আরএনএ) সিকুয়েন্সকে কাজে লাগিয়ে টিকা তৈরি করা হয়েছে।

মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কম্পানি এইচডিটি বায়োটেক কর্পোরেশনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে টিকা বানিয়েছে জেনোভা। ল্যাবরেটরিতে এই টিকার প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়ালে সাফল্যের পর তিন পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমতি দেয় ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালেও সাফল্যের পথে এই টিকা। সব ঠিক থাকলে খুব তাড়াতাড়ি এই টিকা নিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হবে।

মেসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএনএ) সিকুয়েন্সকে কাজে লাগিয়ে টিকা ক্যানডিডেট এইচজিসিও১৯ তৈরি করেছে জেনোভা। কোন কোষে কী প্রোটিন তৈরি হচ্ছে, তার জিনগত তথ্য বা জেনেটিক কোড শরীরের নির্দিষ্ট কোষে পৌঁছে দেওয়াই এর কাজ।

আরএনএ ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন দিয়েই এই টিকা তৈরি হয়েছে। এমআরএনএ সিকুয়েন্সকে এমনভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে দেহকোষে ঢুকলে সেটি ভাইরাল  প্রোটিনের মতো প্রোটিন তৈরি করতে কোষকে উদ্দীপিত করতে পারে।

টিকায় থাকা জিনের বিন্যাস দেখে দেহকোষও একই রকম স্পাইক প্রোটিন তৈরি করবে। তখন সেই প্রোটিনকে ঠেকাতে শরীরের ইমিউন কোষ তথা বি-কোষ ও টি-কোষ সক্রিয় হয়ে উঠবে। বি-কোষ থেকে প্লাজমা বা রক্তরসে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে।

ইন্ডিয়ান টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অব কভিড ভ্যাকসিনের চেয়ারম্যান ড. এন কে অরোরা জানান, এই টিকার নিরাপত্তা ট্রায়ালের রিপোর্ট খুঁটিয়ে দেখছে ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। টিকার ছাড়পত্র কবে পাওয়া যাবে তা নিয়ে প্রতীক্ষায় দেশ।