১৫ নভেম্বর ২০২৫, শনিবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জিব্রিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ৮ জন হাফেজ ছাত্রছাত্রীকে পাগড়ি প্রদান

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২, শুক্রবার
  • / 60

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ যারা আল্লাহ তা’আলার কিতাব কুরআন মাজিদকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হৃদয় ও মনে মুখস্থ করে নেয়, তাদেরকে কুরআনের হাফেজ বলা হয়। কুরআন সম্পূর্ণরূপে মুখস্থ করা কোনও তুচ্ছ বিষয় নয়, কুরআন সংরক্ষণের এমন এক বরকতময় ও সুশৃঙ্খল পদ্ধতি যা আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং নিজে প্রতিষ্ঠা করেছেন যাতে কুরআন কিয়ামত পর্যন্ত বুকের মধ্যে সংরক্ষিত থাকে এবং এর একটি অক্ষরও পরিবর্তন করতে কেউ না পারে।

মাদ্রাসা ও স্কুলে ছেলেমেয়েরা কুরআন মুখস্থ করলে সাধারণত তাদের সম্মানে দস্তারবন্দী নামে  অনুষ্ঠান করা হয় যেখানে তাদের আশীর্বাদপূর্ণ প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হয় এবং তাদের মাথায় পাগড়ী পরিয়ে উৎসাহিত করা হয়। আমাদের এই অনুষ্ঠান ঘোষণা করে যে  আল্লাহ তায়ালা তাঁর বাক্য রক্ষা করার জন্য একটি সত্য প্রতিশ্রুতির স্বরূপ।

আরও পড়ুন: হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ী প্রদান ও নুরানী দোওয়ার মজলিস আয়োজিত হল বীরভূমে

জিব্রিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান পরিচালক ডঃ সাবাহ ইসমাইল নাদভী ’তানজীল’ বা দস্তারব¨ী অনুষ্ঠানের  উদ্বোধন করেন।

শিক্ষাবিদ জনাব মোবারক কাপারী বলেন, পবিত্র কোরআন একটি হেদায়েতের গ্রন্থ। তিনি আরো বলেন বর্তমান যুগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ এবং কুরআন যে বিজ্ঞানের পথপ্রদর্শক তাতে কোনও সন্দেহ নেই।বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহকে তার পথপ্রদর্শক বানানোর মধ্যেই মানুষ ও মানবতার প্রকৃত সফলতা নিহিত।

সভার সভাপতিত্ব বক্তব্যে ইমামএঈদাইন ক্বারী ফজলুর রহমান বলেন, আল্লাহর বাণী একজন ব্যক্তির  হৃদয়ে সংরক্ষিত হওয়া এটা পবিত্র কুরআনের অলৌকিক ঘটনার প্রমাণই হতে পারে। জিব্রিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল নতুন প্রজন্মের সর্বোত্তম আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি কুরআন মুখস্ত করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অভিনন্দিত।

শিয়া আলেম মাওলানা সৈয়দ মেহের আব্বাস রিজভী বলেন, কুরআন এমন একটি গ্রন্থ যা নিয়ে প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত উম্মাহর মধ্যে কোনো মতবিরোধ নেই। এই কিতাব আজ যেমন আছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত তেমনই নিরাপদ থাকবে। কিছু মানুষ শিয়াদের কুরআন ভিন্ন বলে ভুল ধারণা ছড়ায়।  তাই যারা বলে তাদের উচিত শিয়াদের বাড়ি বাড়ি মসজিদে মসজিদে গিয়ে দেখা, কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা। কুরআন এক ছিল এক আছে এবং একই থাকবে।  এটা আল্লাহর ওয়াদা এবং নিশ্চয়ই আল্লাহর প্রতিটি ওয়াদা সত্য।

তানজীলের এই চতুর্থ প্রোগ্রামে পশ্চিমবঙ্গ হজ্ব কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ নাদিমউলহক বলেন,  মানুষ কুরআন এবং বিজ্ঞানের তুলনা করে, কিন্তু বাস্তবতা হল যে বিজ্ঞানের পথ কুরআনের মাধ্যমে। যার লক্ষ্য কুরআনের দিকে হবে সে কখনই কুরআন ও বিজ্ঞানের দ্বন্দ্ব দেখতে পাবে না,  কুরআনের জ্ঞানের আলোয় বিজ্ঞান বিকশিত হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জিব্রিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ৮ জন হাফেজ ছাত্রছাত্রীকে পাগড়ি প্রদান

আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ যারা আল্লাহ তা’আলার কিতাব কুরআন মাজিদকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হৃদয় ও মনে মুখস্থ করে নেয়, তাদেরকে কুরআনের হাফেজ বলা হয়। কুরআন সম্পূর্ণরূপে মুখস্থ করা কোনও তুচ্ছ বিষয় নয়, কুরআন সংরক্ষণের এমন এক বরকতময় ও সুশৃঙ্খল পদ্ধতি যা আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং নিজে প্রতিষ্ঠা করেছেন যাতে কুরআন কিয়ামত পর্যন্ত বুকের মধ্যে সংরক্ষিত থাকে এবং এর একটি অক্ষরও পরিবর্তন করতে কেউ না পারে।

মাদ্রাসা ও স্কুলে ছেলেমেয়েরা কুরআন মুখস্থ করলে সাধারণত তাদের সম্মানে দস্তারবন্দী নামে  অনুষ্ঠান করা হয় যেখানে তাদের আশীর্বাদপূর্ণ প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হয় এবং তাদের মাথায় পাগড়ী পরিয়ে উৎসাহিত করা হয়। আমাদের এই অনুষ্ঠান ঘোষণা করে যে  আল্লাহ তায়ালা তাঁর বাক্য রক্ষা করার জন্য একটি সত্য প্রতিশ্রুতির স্বরূপ।

আরও পড়ুন: হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ী প্রদান ও নুরানী দোওয়ার মজলিস আয়োজিত হল বীরভূমে

জিব্রিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান পরিচালক ডঃ সাবাহ ইসমাইল নাদভী ’তানজীল’ বা দস্তারব¨ী অনুষ্ঠানের  উদ্বোধন করেন।

শিক্ষাবিদ জনাব মোবারক কাপারী বলেন, পবিত্র কোরআন একটি হেদায়েতের গ্রন্থ। তিনি আরো বলেন বর্তমান যুগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ এবং কুরআন যে বিজ্ঞানের পথপ্রদর্শক তাতে কোনও সন্দেহ নেই।বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহকে তার পথপ্রদর্শক বানানোর মধ্যেই মানুষ ও মানবতার প্রকৃত সফলতা নিহিত।

সভার সভাপতিত্ব বক্তব্যে ইমামএঈদাইন ক্বারী ফজলুর রহমান বলেন, আল্লাহর বাণী একজন ব্যক্তির  হৃদয়ে সংরক্ষিত হওয়া এটা পবিত্র কুরআনের অলৌকিক ঘটনার প্রমাণই হতে পারে। জিব্রিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল নতুন প্রজন্মের সর্বোত্তম আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি কুরআন মুখস্ত করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অভিনন্দিত।

শিয়া আলেম মাওলানা সৈয়দ মেহের আব্বাস রিজভী বলেন, কুরআন এমন একটি গ্রন্থ যা নিয়ে প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত উম্মাহর মধ্যে কোনো মতবিরোধ নেই। এই কিতাব আজ যেমন আছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত তেমনই নিরাপদ থাকবে। কিছু মানুষ শিয়াদের কুরআন ভিন্ন বলে ভুল ধারণা ছড়ায়।  তাই যারা বলে তাদের উচিত শিয়াদের বাড়ি বাড়ি মসজিদে মসজিদে গিয়ে দেখা, কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা। কুরআন এক ছিল এক আছে এবং একই থাকবে।  এটা আল্লাহর ওয়াদা এবং নিশ্চয়ই আল্লাহর প্রতিটি ওয়াদা সত্য।

তানজীলের এই চতুর্থ প্রোগ্রামে পশ্চিমবঙ্গ হজ্ব কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ নাদিমউলহক বলেন,  মানুষ কুরআন এবং বিজ্ঞানের তুলনা করে, কিন্তু বাস্তবতা হল যে বিজ্ঞানের পথ কুরআনের মাধ্যমে। যার লক্ষ্য কুরআনের দিকে হবে সে কখনই কুরআন ও বিজ্ঞানের দ্বন্দ্ব দেখতে পাবে না,  কুরআনের জ্ঞানের আলোয় বিজ্ঞান বিকশিত হয়েছে।