পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত গীতাপাঠের আসর রোববার রূপ নিল এক অনন্য দৃশ্যে। সনাতন সংস্কৃতি সংসদের আমন্ত্রণে ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। শুধু উপস্থিতিই নয়, মঞ্চে উঠে নিজেই সংস্কৃত মন্ত্রোচ্চারণে গীতাপাঠ করেন তিনি। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের এই অংশগ্রহণই ছিল দিনের সবচেয়ে নজরকাড়া মুহূর্ত।
যদিও আমন্ত্রণ পেলেও রামদেব-সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট অতিথি এদিন অনুষ্ঠানে আসেননি। ফলে মঞ্চের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন বঙ্গ বিজেপি নেতারা। একসঙ্গে দেখা গেল শমীক ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষদের। শুভেন্দু অধিকারী আবার নিজের আসন ছেড়ে সাধারণ ভক্তদের মাঝে মাটিতে বসে গীতাপাঠ শোনেন।
ছাব্বিশের ভোটের আগে হিন্দুত্বের বার্তা জোরদার করতেই এই কর্মসূচি—এমনটাই রাজনৈতিক মহলের মত। আয়োজক সনাতন সংস্কৃতি সংসদের উদ্যোগে ৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের লক্ষ্য ছিল, যদিও ব্রিগেডের ভিড় দেখে তা পূর্ণ হয়নি বলেই মনে করেছেন অনেকে। অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন বেলডাঙা রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান মহারাজ প্রদীপ্তানন্দ (কার্তিক মহারাজ)। সভাপতিত্ব করেন জ্ঞানানন্দজি মহারাজ। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে বেদ ও গীতাপাঠ, এরপর বক্তব্য রাখেন রাজ্যপাল-সহ অন্যান্য অতিথিরা।
ভোর থেকেই নানা প্রান্ত থেকে ভক্তদের ঢল নামে কলকাতায়। দেশ-বিদেশ থেকেও বহু মানুষ ব্রিগেডে যোগ দেন—নেপাল, বাংলাদেশ থেকে আসা ভক্তদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। কেউ কেউ পথে পথে গীতা বিলি করে মানুষকে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ভোটের আগে এ ধরনের ধর্মীয় কর্মসূচি বিজেপিকে খুব বেশি লাভ দেবে না। তাঁদের কথায়, “শেষ পর্যন্ত লড়াইটা হবে রাজনৈতিক ময়দানে, ধর্মীয় মঞ্চে নয়।”


































