০২ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তেলেঙ্গনায় গ্রেহাউন্ড বাহিনীর অভিযান, এনকাউন্টারে খতম ৭ মাওবাদী

আবুল খায়ের
  • আপডেট : ২ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার
  • / 65

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে খতম ৭ মাওবাদী। তেলেঙ্গনার মুলুগু জেলার এতুরনগরম মণ্ডলের চালাপাকা জঙ্গলে রবিবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ মাওবাদ বিরোধী বাহিনী গ্রেহাউন্ডদের সঙ্গে মাওবাদীদের গুলি বিনিময় শুরু হয়। নিহতদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন মাও নেতা প্রাণ হারিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

 

জানা গেছে, এ দিন চিরুনি তল্লাশি চালানোর সময় মাওবাদীদের মুখোমুখি হয় নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু নির্দেশ অমান্য করে গুলি চালায় মাওবাদীরা। প্রত্যুত্তরে পাল্টা গুলি নিক্ষেপ করে গ্রেহাউন্ড বাহিনী। পুলিশের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও হতাহতের তথ্য জানানো না হলেও নিহতদের মধ্যে শীর্ষ মাওবাদী নেতা বদরু আছে বলে মনে করা হয়। বদরু সিপিআই (মাওবাদী)-র ইয়েলান্দু-নরসাম্পেটা এরিয়া কমিটির সম্পাদক এবং নিষিদ্ধ সংগঠনের তেলেঙ্গানা রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলেন। নিহত মাওবাদীদের নাম কুরসাম মাঙ্গু ওরফে বদরু ওরফে পাপান্না (৩৫), এগোলাপু মাল্লাইয়া ওরফে মধু (৪৩), মুসাকি দেবল ওরফে করুণাকর (২২), জয় সিং (২৫), কিশোর (২২), কামেশ (২৩) এবং মুসাকি যমুনা (২৩)।

ঘটনাস্থল থেকে দুটি একে-৪৭ রাইফেল এবং অন্যান্য অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে পুলিশ। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। গত কয়েক বছর মুলুগু জেলায় এটি প্রথম বড় এনকাউন্টার। সম্প্রতি মাওবাদীরা এই এলাকায় তৎপরতা বাড়ানোর চেষ্টা করছিল বলে খবর পায় পুলিশ।

 

সম্প্রতি এই জেলায় মাওবাদীদের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। গত ২১ নভেম্বর মুলুগু জেলায় পুলিশের চর সন্দেহে দু’জনকে কুপিয়ে হত্যা করে মাওবাদীরা। মাওবাদীরা ওয়াজেদু মণ্ডলের সদর দপ্তর পেনুগোলু কলোনীতে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন – উয়িকা রমেশ এবং উয়িকা অর্জুন। রমেশ একই মণ্ডলের পেরুরু গ্রাম পঞ্চায়েতের সম্পাদক ছিলেন।

হামলাকারীরা মৃতদেহের কাছে একটি চিরকুট রেখে যায়। যাতে লেখা ছিল, রমেশ ও অর্জুন তথ্য সংগ্রহ করছে এবং মাওবাদী বিরোধী অভিযানে জড়িত রাজ্য পুলিশের একটি সংস্থা স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (এসআইবি)-কে দিচ্ছে।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তেলেঙ্গনায় গ্রেহাউন্ড বাহিনীর অভিযান, এনকাউন্টারে খতম ৭ মাওবাদী

আপডেট : ২ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে খতম ৭ মাওবাদী। তেলেঙ্গনার মুলুগু জেলার এতুরনগরম মণ্ডলের চালাপাকা জঙ্গলে রবিবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ মাওবাদ বিরোধী বাহিনী গ্রেহাউন্ডদের সঙ্গে মাওবাদীদের গুলি বিনিময় শুরু হয়। নিহতদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন মাও নেতা প্রাণ হারিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

 

জানা গেছে, এ দিন চিরুনি তল্লাশি চালানোর সময় মাওবাদীদের মুখোমুখি হয় নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু নির্দেশ অমান্য করে গুলি চালায় মাওবাদীরা। প্রত্যুত্তরে পাল্টা গুলি নিক্ষেপ করে গ্রেহাউন্ড বাহিনী। পুলিশের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও হতাহতের তথ্য জানানো না হলেও নিহতদের মধ্যে শীর্ষ মাওবাদী নেতা বদরু আছে বলে মনে করা হয়। বদরু সিপিআই (মাওবাদী)-র ইয়েলান্দু-নরসাম্পেটা এরিয়া কমিটির সম্পাদক এবং নিষিদ্ধ সংগঠনের তেলেঙ্গানা রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলেন। নিহত মাওবাদীদের নাম কুরসাম মাঙ্গু ওরফে বদরু ওরফে পাপান্না (৩৫), এগোলাপু মাল্লাইয়া ওরফে মধু (৪৩), মুসাকি দেবল ওরফে করুণাকর (২২), জয় সিং (২৫), কিশোর (২২), কামেশ (২৩) এবং মুসাকি যমুনা (২৩)।

ঘটনাস্থল থেকে দুটি একে-৪৭ রাইফেল এবং অন্যান্য অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে পুলিশ। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। গত কয়েক বছর মুলুগু জেলায় এটি প্রথম বড় এনকাউন্টার। সম্প্রতি মাওবাদীরা এই এলাকায় তৎপরতা বাড়ানোর চেষ্টা করছিল বলে খবর পায় পুলিশ।

 

সম্প্রতি এই জেলায় মাওবাদীদের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। গত ২১ নভেম্বর মুলুগু জেলায় পুলিশের চর সন্দেহে দু’জনকে কুপিয়ে হত্যা করে মাওবাদীরা। মাওবাদীরা ওয়াজেদু মণ্ডলের সদর দপ্তর পেনুগোলু কলোনীতে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন – উয়িকা রমেশ এবং উয়িকা অর্জুন। রমেশ একই মণ্ডলের পেরুরু গ্রাম পঞ্চায়েতের সম্পাদক ছিলেন।

হামলাকারীরা মৃতদেহের কাছে একটি চিরকুট রেখে যায়। যাতে লেখা ছিল, রমেশ ও অর্জুন তথ্য সংগ্রহ করছে এবং মাওবাদী বিরোধী অভিযানে জড়িত রাজ্য পুলিশের একটি সংস্থা স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (এসআইবি)-কে দিচ্ছে।