০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হালাল ট্যুরিজমে নতুন দিগন্ত

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৩ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার
  • / 251

মালয়েশিয়ায় প্রথমবারের মতো মুসলিম ফ্রেন্ডলি ট্রাভেল ফেয়ার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আজকের ভ্রমণ আর কেবল বিনোদনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এখন তা হয়ে উঠছে মূল্যবোধ, অন্তর্ভুক্তি আর সাংস্কৃতিক সংযোগের একটি যাত্রা। এই পরিবর্তিত বাস্তবতায় মালয়েশিয়া নিচ্ছে এক সাহসী পদক্ষেপ। বিশ্বের ক্রমবর্ধমান হালাল ট্যুরিজম বাজারকে সামনে রেখে সেদেশে আয়োজিত হচ্ছে মালয়েশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল এজেন্টস-এর উদ্যোগে এই মহাযজ্ঞ। এটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৮,১৯ অক্টোবর কুয়ালালামপুরের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে।

দু’দিনের এই আয়োজন শুধু একটি ট্রেড শো নয় এটি এক উৎসব, যেখানে মিলবে বিশ্বাসভিত্তিক ভ্রমণের সুযোগ, অনুসন্ধানের বার্তা এবং স্থানীয় অর্থনীতির শক্তি বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি। হালাল সার্টিফায়েড খাবার, সালাত -বান্ধব আবাসন থেকে শুরু করে পারিবারিক ভ্রমণের নানা প্যাকেজ; সবকিছুই এখানে এক ছাদের নিচে পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন: বিশ্ব হালাল পর্যটনের উজ্জ্বল নাম ফিলিপিন্স

হালাল ট্যুরিজম বর্তমানে একটি বৈশ্বিক শক্তি। মুসলিম জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, আয়ও বাড়ছে মধ্যপ্রাচ্য, তুরস্ক বা ইন্দোনেশিয়ার মতো বাজারে। মালয়েশিয়া ইতিমধ্যেই মুসলিম-বান্ধব গন্তব্য হিসেবে স্বীকৃত। প্রতিবছর এই খাত থেকে দেশটির অর্থনীতিতে যুক্ত হয় প্রায় ৯.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, কর্মসংস্থান হয় পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের। স্থানীয় কারিগরদের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প কিংবা প্রাকৃতিক ইকো-ট্যুরও হালাল দৃষ্টিকোণ থেকে নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: রাজনৈতিক স্বার্থ দেশের নিরাপত্তার চেয়ে বড় নয়, মালয়েশিয়ায় মন্তব্য অভিষেকের

এবারের মেলায় থাকবে ১১৫টি স্টল, যেখানে হজ-উমরাহ প্যাকেজ, পরিবারকেন্দ্রিক ভ্রমণ, প্রকৃতি অভিযান;সবকিছুরই অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে। থাকবে ভিসা সহায়তা, বিশেষজ্ঞদের ওয়ার্কশপ, এমনকী ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সাফারির মতো আধুনিক আয়োজন। আন্তর্জাতিক অংশীদাররা যোগ দেবে নেটওয়ার্কিং সেশনে, যেখানে তৈরি হতে পারে বহু মিলিয়ন ডলারের চুক্তি।

আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করল মালয়েশিয়া

মেলার মূল উদ্দেশ্য শুধু ধর্মীয় চাহিদা পূরণ নয়, বরং একটি ন্যায্য অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলা, যা স্থানীয় জনগণ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য সমানভাবে উপকারী। অক্টোবরের এই আয়োজন প্রমাণ করবে; হালাল ট্যুরিজম কেবল ভ্রমণ নয়, এটি সংস্কৃতি, আস্থা এবং উন্নয়নের সেতুবন্ধন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হালাল ট্যুরিজমে নতুন দিগন্ত

আপডেট : ৩ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার

মালয়েশিয়ায় প্রথমবারের মতো মুসলিম ফ্রেন্ডলি ট্রাভেল ফেয়ার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আজকের ভ্রমণ আর কেবল বিনোদনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এখন তা হয়ে উঠছে মূল্যবোধ, অন্তর্ভুক্তি আর সাংস্কৃতিক সংযোগের একটি যাত্রা। এই পরিবর্তিত বাস্তবতায় মালয়েশিয়া নিচ্ছে এক সাহসী পদক্ষেপ। বিশ্বের ক্রমবর্ধমান হালাল ট্যুরিজম বাজারকে সামনে রেখে সেদেশে আয়োজিত হচ্ছে মালয়েশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল এজেন্টস-এর উদ্যোগে এই মহাযজ্ঞ। এটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৮,১৯ অক্টোবর কুয়ালালামপুরের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে।

দু’দিনের এই আয়োজন শুধু একটি ট্রেড শো নয় এটি এক উৎসব, যেখানে মিলবে বিশ্বাসভিত্তিক ভ্রমণের সুযোগ, অনুসন্ধানের বার্তা এবং স্থানীয় অর্থনীতির শক্তি বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি। হালাল সার্টিফায়েড খাবার, সালাত -বান্ধব আবাসন থেকে শুরু করে পারিবারিক ভ্রমণের নানা প্যাকেজ; সবকিছুই এখানে এক ছাদের নিচে পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন: বিশ্ব হালাল পর্যটনের উজ্জ্বল নাম ফিলিপিন্স

হালাল ট্যুরিজম বর্তমানে একটি বৈশ্বিক শক্তি। মুসলিম জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, আয়ও বাড়ছে মধ্যপ্রাচ্য, তুরস্ক বা ইন্দোনেশিয়ার মতো বাজারে। মালয়েশিয়া ইতিমধ্যেই মুসলিম-বান্ধব গন্তব্য হিসেবে স্বীকৃত। প্রতিবছর এই খাত থেকে দেশটির অর্থনীতিতে যুক্ত হয় প্রায় ৯.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, কর্মসংস্থান হয় পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের। স্থানীয় কারিগরদের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প কিংবা প্রাকৃতিক ইকো-ট্যুরও হালাল দৃষ্টিকোণ থেকে নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: রাজনৈতিক স্বার্থ দেশের নিরাপত্তার চেয়ে বড় নয়, মালয়েশিয়ায় মন্তব্য অভিষেকের

এবারের মেলায় থাকবে ১১৫টি স্টল, যেখানে হজ-উমরাহ প্যাকেজ, পরিবারকেন্দ্রিক ভ্রমণ, প্রকৃতি অভিযান;সবকিছুরই অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে। থাকবে ভিসা সহায়তা, বিশেষজ্ঞদের ওয়ার্কশপ, এমনকী ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সাফারির মতো আধুনিক আয়োজন। আন্তর্জাতিক অংশীদাররা যোগ দেবে নেটওয়ার্কিং সেশনে, যেখানে তৈরি হতে পারে বহু মিলিয়ন ডলারের চুক্তি।

আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করল মালয়েশিয়া

মেলার মূল উদ্দেশ্য শুধু ধর্মীয় চাহিদা পূরণ নয়, বরং একটি ন্যায্য অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলা, যা স্থানীয় জনগণ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য সমানভাবে উপকারী। অক্টোবরের এই আয়োজন প্রমাণ করবে; হালাল ট্যুরিজম কেবল ভ্রমণ নয়, এটি সংস্কৃতি, আস্থা এবং উন্নয়নের সেতুবন্ধন।