১৫ জুন ২০২৫, রবিবার, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরাইলি হানায় নিহত হামাস নেতা মুহাম্মদ সিনাওয়ার!

সুস্মিতা
  • আপডেট : ১৮ মে ২০২৫, রবিবার
  • / 309

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মুহাম্মদ সিনওয়ারের লাশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। গত সপ্তাহে খান ইউনিসে মুহাম্মদ সিনওয়ারকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় দখলদার সেনারা। মুহাম্মদ সিনওয়ারের সঙ্গে তার আরও ১০ সঙ্গীর লাশ পাওয়া গেছে। হামাসের সাবেক প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছোটভাই ছিলেন মুহাম্মদ সিনওয়ার।

গত বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝিতে গাজার রাফার তেল সুলতানে দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে প্রাণ হারান ইয়াহিয়া। তার মৃত্যুর পর মুহাম্মদ সিনওয়ার হামাসের নেতৃবৃন্দের শীর্ষস্থানে চলে আসেন। তিনি হামাসের সামরিক শাখা ছাড়াও গাজার প্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

আরও পড়ুন: ইসরাইল গাজায় “যুদ্ধের কৌশল হিসেবে অনাহারকে” ব্যবহার করছে। গাজার ৭০ শতাংশ এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ

গত সপ্তাহের হামলায় হামাসের রাফা ব্রিগেডের প্রধান মুহাম্মদ শাবানাও প্রাণ হারিয়েছেন। দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এক বৈঠকে জানিয়েছেন, তাদের বিশ্বাস মুহাম্মদ সিনওয়ার গত সপ্তাহে নিহত হয়েছেন। দীর্ঘদিন হামাসের সামরিক শাখার প্রধান ছিলেন মুহাম্মদ দেইফ। গত বছরের জুলাইয়ে দেইফ নিহত হওয়ার পর প্রথমে সামরিক শাখার দায়িত্ব পান মুহাম্মদ সিনওয়ার। এরপর তার ভাই ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর তিনি পুরো গাজার দায়িত্ব পান। দখলদার ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের দাবি, মুহাম্মদ সিনওয়ারের কারণে জিম্মিচুক্তি ও যুদ্ধবিরতি আটকে ছিল।

আরও পড়ুন: হুতি আক্রমণে স্তব্ধ ইসরাইলি বিমান বন্দর, উড়ান বাতিল একাধিক সংস্থার

মুহাম্মদ সিনওয়ার ১৯৯০ সালের দিকে ইসরায়েলি কারাগারে ৯ মাস বন্দি ছিলেন। এরপর রামাল্লাহতে ফিলিস্তিনি অথরিটির কারাগারে তাকে আরও তিন বছর আটকে রাখা হয়। ২০০০ সালে তিনি ওই কারাগার থেকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হন। ২০০৬ সালে ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিতকে ধরে আনেন হামাসের যোদ্ধারা। এতে মুহাম্মদ সিনওয়ার জড়িত ছিলেন বলে ধারণা করা হয়।

আরও পড়ুন: ইসরাইলি অবরোধে মৃত্যুর দ্বার প্রান্তে গাজার ২,৯০,০০০ শিশু

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইসরাইলি হানায় নিহত হামাস নেতা মুহাম্মদ সিনাওয়ার!

আপডেট : ১৮ মে ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মুহাম্মদ সিনওয়ারের লাশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। গত সপ্তাহে খান ইউনিসে মুহাম্মদ সিনওয়ারকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় দখলদার সেনারা। মুহাম্মদ সিনওয়ারের সঙ্গে তার আরও ১০ সঙ্গীর লাশ পাওয়া গেছে। হামাসের সাবেক প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছোটভাই ছিলেন মুহাম্মদ সিনওয়ার।

গত বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝিতে গাজার রাফার তেল সুলতানে দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে প্রাণ হারান ইয়াহিয়া। তার মৃত্যুর পর মুহাম্মদ সিনওয়ার হামাসের নেতৃবৃন্দের শীর্ষস্থানে চলে আসেন। তিনি হামাসের সামরিক শাখা ছাড়াও গাজার প্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

আরও পড়ুন: ইসরাইল গাজায় “যুদ্ধের কৌশল হিসেবে অনাহারকে” ব্যবহার করছে। গাজার ৭০ শতাংশ এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ

গত সপ্তাহের হামলায় হামাসের রাফা ব্রিগেডের প্রধান মুহাম্মদ শাবানাও প্রাণ হারিয়েছেন। দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এক বৈঠকে জানিয়েছেন, তাদের বিশ্বাস মুহাম্মদ সিনওয়ার গত সপ্তাহে নিহত হয়েছেন। দীর্ঘদিন হামাসের সামরিক শাখার প্রধান ছিলেন মুহাম্মদ দেইফ। গত বছরের জুলাইয়ে দেইফ নিহত হওয়ার পর প্রথমে সামরিক শাখার দায়িত্ব পান মুহাম্মদ সিনওয়ার। এরপর তার ভাই ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর তিনি পুরো গাজার দায়িত্ব পান। দখলদার ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের দাবি, মুহাম্মদ সিনওয়ারের কারণে জিম্মিচুক্তি ও যুদ্ধবিরতি আটকে ছিল।

আরও পড়ুন: হুতি আক্রমণে স্তব্ধ ইসরাইলি বিমান বন্দর, উড়ান বাতিল একাধিক সংস্থার

মুহাম্মদ সিনওয়ার ১৯৯০ সালের দিকে ইসরায়েলি কারাগারে ৯ মাস বন্দি ছিলেন। এরপর রামাল্লাহতে ফিলিস্তিনি অথরিটির কারাগারে তাকে আরও তিন বছর আটকে রাখা হয়। ২০০০ সালে তিনি ওই কারাগার থেকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হন। ২০০৬ সালে ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিতকে ধরে আনেন হামাসের যোদ্ধারা। এতে মুহাম্মদ সিনওয়ার জড়িত ছিলেন বলে ধারণা করা হয়।

আরও পড়ুন: ইসরাইলি অবরোধে মৃত্যুর দ্বার প্রান্তে গাজার ২,৯০,০০০ শিশু