১৭ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ,  জখম ৯, স্থগিত কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ যাত্রা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার
  • / 51

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পুলিশি বর্বরতার অভিযোগ। মাঝপথে ‘দিল্লি অভিযান’ রুখলেন কৃষকরা। জানা গেছে, পঞ্জাব এবং হরিয়ানা সীমানায় কৃষকদের লক্ষ্য করে লাগাতার কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে হরিয়ানা পুলিশ। যার জেরে ৯ জন কৃষক গুরুতর জখম হয়েছেন। ফলত রবিবার মাঝপথেই থমকে গেল তাঁদের রাজধানী অভিযান। বলা বাহুল্য, কৃষকদের আন্দোলনের মূল দাবি হলো,  ন্যূনতম সহায়ক মূল্য  আইনি ভাবে নিশ্চিত করা এবং অন্যান্য কৃষি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান। উক্ত দাবি গুলো নিয়ে রাজধানীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলে কৃষকদের আটকানো হয় সেখানে। শম্ভু সীমানার কাছে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে কৃষকদের । পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আগে থেকেই আঁচ করেছিলেন কৃষকরা। তাই মাস্কে মুখ ঢেকে, চশমায় চোখ ঢেকেই আন্দোলেন নেমেছিলেন তাঁরা। যাতে কাঁদানে গ্যাসের মোকাবিলা করতে পারেন। আবার পুলিশের দাবি, আন্দোলনকারীদের অনেকে কৃষকই নন। তাই তাদের শনাক্ত করতে গেলে বাধা প্রদান করা হয়। যদিও সেই দাবি নস্যাৎ করে দেন কৃষকরা। অভিযোগ, সরকারের নির্দেশে তাঁদের দিল্লি যাওয়া আটকানো হচ্ছে। কৃষকরা অভিযোগ করেন, এদিন শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলেন তারা। অথচ পুলিশরা তাঁদের ওপর চড়াও হয়। ক্ষমতা প্রদর্শন করতে থাকেন। পুলিশ-কৃষক সংঘর্ষে নয়জন কৃষক আহত হয়েছেন।  তারপরেই মিছিল স্থগিত করে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে একটি অভ্যন্তরীণ বৈঠকে করে  সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করা হবে। কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। এটি গণতন্ত্রের পরিপন্থী। তবে আমাদের দমানো যাবে না। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি থাকবে। কৃষকদের এই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা (অরাজনৈতিক) এবং কিসান মজদুর মোর্চা।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ,  জখম ৯, স্থগিত কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ যাত্রা

আপডেট : ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পুলিশি বর্বরতার অভিযোগ। মাঝপথে ‘দিল্লি অভিযান’ রুখলেন কৃষকরা। জানা গেছে, পঞ্জাব এবং হরিয়ানা সীমানায় কৃষকদের লক্ষ্য করে লাগাতার কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে হরিয়ানা পুলিশ। যার জেরে ৯ জন কৃষক গুরুতর জখম হয়েছেন। ফলত রবিবার মাঝপথেই থমকে গেল তাঁদের রাজধানী অভিযান। বলা বাহুল্য, কৃষকদের আন্দোলনের মূল দাবি হলো,  ন্যূনতম সহায়ক মূল্য  আইনি ভাবে নিশ্চিত করা এবং অন্যান্য কৃষি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান। উক্ত দাবি গুলো নিয়ে রাজধানীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলে কৃষকদের আটকানো হয় সেখানে। শম্ভু সীমানার কাছে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে কৃষকদের । পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আগে থেকেই আঁচ করেছিলেন কৃষকরা। তাই মাস্কে মুখ ঢেকে, চশমায় চোখ ঢেকেই আন্দোলেন নেমেছিলেন তাঁরা। যাতে কাঁদানে গ্যাসের মোকাবিলা করতে পারেন। আবার পুলিশের দাবি, আন্দোলনকারীদের অনেকে কৃষকই নন। তাই তাদের শনাক্ত করতে গেলে বাধা প্রদান করা হয়। যদিও সেই দাবি নস্যাৎ করে দেন কৃষকরা। অভিযোগ, সরকারের নির্দেশে তাঁদের দিল্লি যাওয়া আটকানো হচ্ছে। কৃষকরা অভিযোগ করেন, এদিন শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলেন তারা। অথচ পুলিশরা তাঁদের ওপর চড়াও হয়। ক্ষমতা প্রদর্শন করতে থাকেন। পুলিশ-কৃষক সংঘর্ষে নয়জন কৃষক আহত হয়েছেন।  তারপরেই মিছিল স্থগিত করে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে একটি অভ্যন্তরীণ বৈঠকে করে  সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করা হবে। কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। এটি গণতন্ত্রের পরিপন্থী। তবে আমাদের দমানো যাবে না। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি থাকবে। কৃষকদের এই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা (অরাজনৈতিক) এবং কিসান মজদুর মোর্চা।