শামির উপর ক্ষোভ উগরেও হাসিন বললেন, ‘আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি জানু’

- আপডেট : ৫ জুলাই ২০২৫, শনিবার
- / 79
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, খোরপোশ হিসেবে এবার থেকে মুহাম্মদ শামিকে তার প্রাক্তন স্ত্রী হাসিন জাহান এবং কন্যা আয়রার রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বাবদ প্রতি মাসে ৪ লক্ষ টাকা করে দিতে হবে। শুধু তাই নয়, এই অর্থ ৭ বছর আগের একটি তারিখ থেকে হিসাব করে দিতে হবে বলে আদালতের নির্দেশ। আদালত আরও জানিয়েছে, শামি চাইলে তার কন্যার শিক্ষা বা অন্যান্য যৌক্তিক খরচের জন্য চাইলে আরও সহযোগিতা করতে পারেন।’ কোর্টের এই রায়ের পরেই ইনস্টাগ্রামে শামিকে ট্যাগ করে একটি পোস্টে হাসিন জাহান লেখেন, ‘আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি জানু’। লাইনটা ভালোবাসা দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তী অংশে ছিল শুধু ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
ভারতের অন্যতম সেরা পেসার মুহাম্মদ শামির বিরুদ্ধে তার স্ত্রী এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন ২০০৫-এর ‘নারী ও শিশুদের পারিবারিক হিংসা থেকে সুরক্ষা আইন’ আওতায়। সেই মতো আদালত ২০২৩ সালে শামিকে প্রতি মাসে হাসিন জাহান ৫০ হাজার ও কন্যাকে মাসে ৮০ হাজার টাকা করে মাসিক ভরণপোষণ দিতে বলেছিল। সম্প্রতি সেই মামলার রায়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অজয় কুমার মুখার্জি জানান, এবার থেকে শামি তার স্ত্রী হাসিন জাহানকে দেড় লক্ষ টাকা এবং কন্যা আয়রার রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বাবদ প্রতি মাসে আড়াই লক্ষ টাকা করে দেবে। এবং মূল মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শামিকে তার স্ত্রী ও কন্যার আর্থিক স্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
এই আবহে হাসিন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রাক্তন স্বামীকে ‘লোভী’, ও ‘ছোট মানসিকতার’ মানুষ হিসেবে আখ্যা দেন। সেখানে হাসিন জাহান আরও লেখেন, ‘একজন ভুল মানসিকতার মানুষ, যার মনে অপরাধ থাকে, যে নিজের পরিবার, স্ত্রী ও সন্তানকে সমস্যার মধ্যে ঠেলে দেয়। যে আগে কিছুই ছিল না, হঠাৎ করে অনেক কিছু পেয়ে যায়, তারা অহংকারে ভরে ওঠে। সেই অহংকারে তারা নিজেরাই জানে না কোন পথে হাঁটছে? কেন হাঁটছে? কী করছে।’ হাসিন আরও বলেন, ‘শামি এখন পুরোপুরি অহংকারে ভরপুর। যেদিন তার এই অহংকার ভাঙবে, সেদিন নিজের ভুল বুঝবে। এখন এতটাই অহংকারে মত্ত যে সে আমার বা আমাদের মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে না। শেষবার মেয়ের সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল শুধুমাত্র মাননীয় বিচারপতি তীর্থাঙ্কর ঘোষের নির্দেশে, বলা যেতে পারে, তার ভয়েই।’