২৭ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাহি জামা মসজিদে নামাজ বন্ধের আবেদনের শুনানি আগামী ২১ জুলাই

চামেলি দাস
  • আপডেট : ৪ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার
  • / 150

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: শাহি জামা মসজিদে নামাজ পড়া বন্ধের মামলার শুনানি আগামী ২১ জুলাই। উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলার চান্দৌসি আদালতে হবে মামলার পরবর্তী শুনানি। একটি বিতর্কিত জমির উপর জামা মসজিদটি তৈরি করা হয়েছে বলে আবেদনে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাই মসজিদে নামাজ বন্ধ করার আর্জি জানানো হয়েছে আদালতে।

এলাহাবাদ হাইকোর্ট মসজিদ কমিটির দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দেয়। মসজিদে পুনরায় সমীক্ষা চালানোর নির্দেশ দেয় আদালত। ১৯ মে হাইকোর্ট ট্রায়াল কোর্টের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে এবং মামলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সিভিল কোর্টের বিচারক, আদিত্য সিং সিমরান গুপ্তার আবেদনটি গ্রহণ করেন। আবেদনে মসজিদ সিল করে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয় এবং সম্ভল জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের হেফাজতে রাখার আবেদন জানানো হয়।

১৯২০ সালের নভেম্বরে ৮ জন হিন্দু আবেদনকারীর আইনজীবী হরি শঙ্কর জৈন এবং বিষ্ণু শঙ্কর জৈন সহ ৮ জন হিন্দু আবেদনকারীর দ্বারা মূল মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। একই দিনে আদালত মসজিদ প্রাঙ্গণ সমীক্ষার নির্দেশ দেয়। ২৪ নভেম্বর দ্বিতীয় দফা সমীক্ষা চালানোর পর  পর বিষয়টি চান্দৌসি সিভিল কোর্টে যায়। হিন্দু পক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী শ্রী গোপাল শর্মা পিটিআইকে জানিয়েছেন, মুসলিম পক্ষের আবেদনটি খারিজ করে হাইকোর্টের আদেশে সরকারি রেকর্ডের অংশ হিসাবে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে শাহি জামা মসজিদের পক্ষে উপস্থিত আইনজীবী হাসিম জামাল নিশ্চিত করেছেন যে বিরোধী আইনজীবী হাইকোর্টের রায় জমা দিয়েছেন এবং বলেছেন যে মসজিদের আইনি দল আদালত কর্তৃক জারি করা যে কোনও নির্দেশ মেনে চলবে। মসজিদে নামাজ বন্ধ করার জন্য আবেদনকারী অ্যাডভোকেট বাবু লাল সাক্সেনা পিটিআইকে জানিয়েছেন যে তার মক্কেল গুপ্ত বিশ্বাস করেন যে চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত বিতর্কিত স্থানে সমস্ত ধর্মীয় কার্যকলাপ স্থগিত রাখা উচিত।

মসজিদে দ্বিতীয় সমীক্ষা চলাকালীন, ২৪ নভেম্বর সহিংস সংঘর্ষ শুরু হয়। যার ফলে ৪ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৯ জন পুলিশ আহত হন। মামলার পর জাফর আলি এবং বেশ কয়েকজন আইনজীবীসহ ৯৬ জনকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হাজত বাস করা হয়।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শাহি জামা মসজিদে নামাজ বন্ধের আবেদনের শুনানি আগামী ২১ জুলাই

আপডেট : ৪ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: শাহি জামা মসজিদে নামাজ পড়া বন্ধের মামলার শুনানি আগামী ২১ জুলাই। উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলার চান্দৌসি আদালতে হবে মামলার পরবর্তী শুনানি। একটি বিতর্কিত জমির উপর জামা মসজিদটি তৈরি করা হয়েছে বলে আবেদনে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাই মসজিদে নামাজ বন্ধ করার আর্জি জানানো হয়েছে আদালতে।

এলাহাবাদ হাইকোর্ট মসজিদ কমিটির দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দেয়। মসজিদে পুনরায় সমীক্ষা চালানোর নির্দেশ দেয় আদালত। ১৯ মে হাইকোর্ট ট্রায়াল কোর্টের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে এবং মামলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সিভিল কোর্টের বিচারক, আদিত্য সিং সিমরান গুপ্তার আবেদনটি গ্রহণ করেন। আবেদনে মসজিদ সিল করে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয় এবং সম্ভল জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের হেফাজতে রাখার আবেদন জানানো হয়।

১৯২০ সালের নভেম্বরে ৮ জন হিন্দু আবেদনকারীর আইনজীবী হরি শঙ্কর জৈন এবং বিষ্ণু শঙ্কর জৈন সহ ৮ জন হিন্দু আবেদনকারীর দ্বারা মূল মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। একই দিনে আদালত মসজিদ প্রাঙ্গণ সমীক্ষার নির্দেশ দেয়। ২৪ নভেম্বর দ্বিতীয় দফা সমীক্ষা চালানোর পর  পর বিষয়টি চান্দৌসি সিভিল কোর্টে যায়। হিন্দু পক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী শ্রী গোপাল শর্মা পিটিআইকে জানিয়েছেন, মুসলিম পক্ষের আবেদনটি খারিজ করে হাইকোর্টের আদেশে সরকারি রেকর্ডের অংশ হিসাবে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে শাহি জামা মসজিদের পক্ষে উপস্থিত আইনজীবী হাসিম জামাল নিশ্চিত করেছেন যে বিরোধী আইনজীবী হাইকোর্টের রায় জমা দিয়েছেন এবং বলেছেন যে মসজিদের আইনি দল আদালত কর্তৃক জারি করা যে কোনও নির্দেশ মেনে চলবে। মসজিদে নামাজ বন্ধ করার জন্য আবেদনকারী অ্যাডভোকেট বাবু লাল সাক্সেনা পিটিআইকে জানিয়েছেন যে তার মক্কেল গুপ্ত বিশ্বাস করেন যে চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত বিতর্কিত স্থানে সমস্ত ধর্মীয় কার্যকলাপ স্থগিত রাখা উচিত।

মসজিদে দ্বিতীয় সমীক্ষা চলাকালীন, ২৪ নভেম্বর সহিংস সংঘর্ষ শুরু হয়। যার ফলে ৪ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৯ জন পুলিশ আহত হন। মামলার পর জাফর আলি এবং বেশ কয়েকজন আইনজীবীসহ ৯৬ জনকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হাজত বাস করা হয়।