২৯ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সবাইকে নিরামিশভোজী হওয়ার নিদান দিলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 123

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ গোমাংস, শূকরের মাংস নিয়ে উসকানি দিয়ে এবার সকলকে নিরামিশভোজী হওয়ার নিদান দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। বুধবার ধুবড়িতে সাংবাদিকদের সামনে হিমন্ত বলেন, কেউ গোমাংস মন্দিরে ফেললে মসজিদে শূকরের মাংস ফেলা হবে। তাতে সমস্যা বাড়বে। তাই মাছ-মাংস খাওয়া একেবারে ছেড়ে দেওয়া উচিত। মাছ-মাংস কাটা হলে এর বর্জ্য মন্দির, মসজিদে ফেলে কেউ কেউ অশান্তি সৃষ্টি করবে। এজন্য মাছ-মাংস খওয়া বাদ দিয়ে সকলে নিরামিষ খান। নিরামিষ খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে বলেও তিনি দাবি করেন।

প্রসঙ্গত, এ বছর কুরবানি ঈদের পর থেকে মাংস রাজনীতি নিয়ে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে অসম। এই আগুনে ঘৃতাহুতি ঢালছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। ঈদের পরদিন ধুবড়ি শহরের একটি মন্দিরের সামনে পশুর কাটা মুণ্ডু উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ধুবড়ি জেলা। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ায়। হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গা বাধাবার চেষ্টা করে বিভেদকামী শক্তি। মন্দিরের সামনে থাকা কয়েকজন গরিব মুসলমানের দোকান ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। তবে ধুবড়ির সাধারণ মানুষ অপশক্তির চক্রান্তের ফাঁদে পা দেয়নি। সব সম্প্রদায়ের মানুষ মিলে সম্প্রীতি অটুট রাখার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬৩ ধারার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় পুলিশ। কিন্তু ঘটনার ৫ দিন পর মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ধুবড়িতে গিয়ে উসকানি দিয়ে বলেন, মন্দিরে গোমাংস ফেলা হলে মসজিদে শূকরের মাংস ফেলে আসা উচিত। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের পর পুলিশ এক তরফাভাবে কিছু মুসলিম যুবককে গ্রেফতার করে। পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন স্থানীয় ও বিরোধীরা।

ধুবড়ির উত্তেজনার মধ্যেই উজান অসমের লখিমপুর জেলার একটি নামঘরের সামনে পশুর মাংস উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ সাতজনকে গ্রেফতরা করেছে। এরমধ্যে একজন স্থানীয় বিজেপি নেতা। এদিকে, মাংস নিয়ে সাম্প্রদায়িক রাজানীতি চাঙ্গা করার চেষ্টা করে বিজেপি। বুধবার ফের ধুবড়ি সফলে যান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত। এখন সেখানে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে গেলেও তিনি সেখানে গিয়ে মাংসের কথাই তোলেন। রাজ্যে গোমাংসের ব্যবসা বন্ধ করবেন বলে হুমকি দেন। এছাড়া আগামী কুরবানি ঈদে ধুবড়িতে কুরবানি বন্ধ করারও হুমকি দেন। মাংস নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে নিরামিষ খাওয়ার নিদান দেন।

বিরোধীদের অভিযোগ, আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই নির্বাচনের আগে বিভাজনের রাজনীতি চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সবাইকে নিরামিশভোজী হওয়ার নিদান দিলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

আপডেট : ২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ গোমাংস, শূকরের মাংস নিয়ে উসকানি দিয়ে এবার সকলকে নিরামিশভোজী হওয়ার নিদান দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। বুধবার ধুবড়িতে সাংবাদিকদের সামনে হিমন্ত বলেন, কেউ গোমাংস মন্দিরে ফেললে মসজিদে শূকরের মাংস ফেলা হবে। তাতে সমস্যা বাড়বে। তাই মাছ-মাংস খাওয়া একেবারে ছেড়ে দেওয়া উচিত। মাছ-মাংস কাটা হলে এর বর্জ্য মন্দির, মসজিদে ফেলে কেউ কেউ অশান্তি সৃষ্টি করবে। এজন্য মাছ-মাংস খওয়া বাদ দিয়ে সকলে নিরামিষ খান। নিরামিষ খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে বলেও তিনি দাবি করেন।

প্রসঙ্গত, এ বছর কুরবানি ঈদের পর থেকে মাংস রাজনীতি নিয়ে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে অসম। এই আগুনে ঘৃতাহুতি ঢালছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। ঈদের পরদিন ধুবড়ি শহরের একটি মন্দিরের সামনে পশুর কাটা মুণ্ডু উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ধুবড়ি জেলা। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ায়। হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গা বাধাবার চেষ্টা করে বিভেদকামী শক্তি। মন্দিরের সামনে থাকা কয়েকজন গরিব মুসলমানের দোকান ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। তবে ধুবড়ির সাধারণ মানুষ অপশক্তির চক্রান্তের ফাঁদে পা দেয়নি। সব সম্প্রদায়ের মানুষ মিলে সম্প্রীতি অটুট রাখার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬৩ ধারার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় পুলিশ। কিন্তু ঘটনার ৫ দিন পর মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ধুবড়িতে গিয়ে উসকানি দিয়ে বলেন, মন্দিরে গোমাংস ফেলা হলে মসজিদে শূকরের মাংস ফেলে আসা উচিত। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের পর পুলিশ এক তরফাভাবে কিছু মুসলিম যুবককে গ্রেফতার করে। পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন স্থানীয় ও বিরোধীরা।

ধুবড়ির উত্তেজনার মধ্যেই উজান অসমের লখিমপুর জেলার একটি নামঘরের সামনে পশুর মাংস উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ সাতজনকে গ্রেফতরা করেছে। এরমধ্যে একজন স্থানীয় বিজেপি নেতা। এদিকে, মাংস নিয়ে সাম্প্রদায়িক রাজানীতি চাঙ্গা করার চেষ্টা করে বিজেপি। বুধবার ফের ধুবড়ি সফলে যান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত। এখন সেখানে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে গেলেও তিনি সেখানে গিয়ে মাংসের কথাই তোলেন। রাজ্যে গোমাংসের ব্যবসা বন্ধ করবেন বলে হুমকি দেন। এছাড়া আগামী কুরবানি ঈদে ধুবড়িতে কুরবানি বন্ধ করারও হুমকি দেন। মাংস নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে নিরামিষ খাওয়ার নিদান দেন।

বিরোধীদের অভিযোগ, আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই নির্বাচনের আগে বিভাজনের রাজনীতি চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।