৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে বিজেপির দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হাইকোর্টে

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৩, সোমবার
  • / 55

পারিজাত মোল্লা:  সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করা আবেদন। মামলাটি গ্রহণ করেছে আদালত,  তবে দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

গত ২১ শে জুলাই কলকাতাত তৃণমূলের শহীদ দিবস পালন মঞ্চ থেকে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ঘেরাও-এর ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে  থাকে বিজেপি। এদিন মামলা করার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তবে এই সংক্রান্ত মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছিল বিজেপি। সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে  প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে থানায় ইমেলে এফআইআর দায়ের করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন: ফাঁসি নয় যাবজ্জীবন, ৪০ বছর জেল প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর

গত শুক্রবার ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে ‘বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও’- এর ডাক দিয়েছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে মঞ্চে উঠে সেই কর্মসূচি কিছুটা বদল করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে রাজ্যের করা মামলা খারিজ, ‘অধিকার নেই’ বলল হাইকোর্ট

তৃণমূলের সেই কর্মসূচির জেরেই এফআইআর করেন শুভেন্দু। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূল নেত্রী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্যের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিজেপি।

আরও পড়ুন: মানিকের স্ত্রী- পুত্র মামলায় হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে ইডি

এদিন মামলাকারীদের আইনজীবী এজলাসে  বলেন,  এই ধরনের কর্মসূচি একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করবে’। এই মর্মে তিনি মামলা রুজু করার অনুমতি চাইলে, তা দেওয়া হয়।

তবে মামলার দ্রুত শুনানির অনুরোধ খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

গত শুক্রবার তৃণমূল সমর্থকদের উদ্দেশে অভিষেক বলেছিলেন,  ‘আগামী ৫ অগাস্ট থেকে সমস্ত বুথ, অঞ্চল, ব্লক, জেলা থেকে রাজ্য স্তরের বড় মোজো ছোট সব বিজেপি নেতাদের বাড়ি শান্তিপূর্ণভাবে ঘেরাও করতে হবে। তবে বাড়িতে কোনও বৃদ্ধ মানুষ থাকলে তাঁকে ছেড়ে দেবেন। বিজেপি নেতা বাড়ি থেকে বেরোবেনও না, ঢুকবেনও না।’

তবে তাঁর সাফ নির্দেশ ছিল, ‘কারও গায়ে হাত দেবেন না। প্রথমে এখানে গণঘেরাও কর্মসূচি হবে। তারপর দিল্লি ঘেরাও হবে।”

পরে অবশ্য সেই কর্মসূচি কিছুটা পরিবর্তন করেন মমতা। তিনি বলেন, ”কর্মসূচি হবে ব্লক স্তরে। ঘেরাও হবে বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে, প্রতীকী ভাবে। যাতে কেউ বলতে না পারেন, বাধা দেওয়া হচ্ছে।”

গত শনিবার রাতে কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায় মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপধ্যায়ের বিরুদ্ধে ই-মেলে অভিযোগ দায়ের করেন শুভেন্দু। এর পর হাইকোর্টে মমলা দায়ের করা হয়। আগামী ৫ আগস্টের আগে এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে বিজেপির দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হাইকোর্টে

আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৩, সোমবার

পারিজাত মোল্লা:  সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করা আবেদন। মামলাটি গ্রহণ করেছে আদালত,  তবে দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

গত ২১ শে জুলাই কলকাতাত তৃণমূলের শহীদ দিবস পালন মঞ্চ থেকে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ঘেরাও-এর ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে  থাকে বিজেপি। এদিন মামলা করার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তবে এই সংক্রান্ত মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছিল বিজেপি। সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে  প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে থানায় ইমেলে এফআইআর দায়ের করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন: ফাঁসি নয় যাবজ্জীবন, ৪০ বছর জেল প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর

গত শুক্রবার ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে ‘বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও’- এর ডাক দিয়েছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে মঞ্চে উঠে সেই কর্মসূচি কিছুটা বদল করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে রাজ্যের করা মামলা খারিজ, ‘অধিকার নেই’ বলল হাইকোর্ট

তৃণমূলের সেই কর্মসূচির জেরেই এফআইআর করেন শুভেন্দু। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূল নেত্রী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্যের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিজেপি।

আরও পড়ুন: মানিকের স্ত্রী- পুত্র মামলায় হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে ইডি

এদিন মামলাকারীদের আইনজীবী এজলাসে  বলেন,  এই ধরনের কর্মসূচি একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করবে’। এই মর্মে তিনি মামলা রুজু করার অনুমতি চাইলে, তা দেওয়া হয়।

তবে মামলার দ্রুত শুনানির অনুরোধ খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

গত শুক্রবার তৃণমূল সমর্থকদের উদ্দেশে অভিষেক বলেছিলেন,  ‘আগামী ৫ অগাস্ট থেকে সমস্ত বুথ, অঞ্চল, ব্লক, জেলা থেকে রাজ্য স্তরের বড় মোজো ছোট সব বিজেপি নেতাদের বাড়ি শান্তিপূর্ণভাবে ঘেরাও করতে হবে। তবে বাড়িতে কোনও বৃদ্ধ মানুষ থাকলে তাঁকে ছেড়ে দেবেন। বিজেপি নেতা বাড়ি থেকে বেরোবেনও না, ঢুকবেনও না।’

তবে তাঁর সাফ নির্দেশ ছিল, ‘কারও গায়ে হাত দেবেন না। প্রথমে এখানে গণঘেরাও কর্মসূচি হবে। তারপর দিল্লি ঘেরাও হবে।”

পরে অবশ্য সেই কর্মসূচি কিছুটা পরিবর্তন করেন মমতা। তিনি বলেন, ”কর্মসূচি হবে ব্লক স্তরে। ঘেরাও হবে বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে, প্রতীকী ভাবে। যাতে কেউ বলতে না পারেন, বাধা দেওয়া হচ্ছে।”

গত শনিবার রাতে কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায় মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপধ্যায়ের বিরুদ্ধে ই-মেলে অভিযোগ দায়ের করেন শুভেন্দু। এর পর হাইকোর্টে মমলা দায়ের করা হয়। আগামী ৫ আগস্টের আগে এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।