১২ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হিন্দু নারী হত্যা: হাথরসের ভিডিয়োকে বাংলাদেশের বলে প্রচার, সরব ঢাকার ছাত্রনেতা মেঘমল্লার

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ৭ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার
  • / 57

(মেঘমল্লার বসু)

ঢাকা: বাংলাদেশ নিয়ে নানা ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে তথাকথিত বিগ মিডিয়া হাউসগুলি। সেখানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে, এমন বয়ানকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে পশ্চিম বাংলার বেশ কয়েকটি স্যাটেলাইট নিউজ চ্যানেল। এই ভুয়ো খবর প্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, কলকাতার মিডিয়া একটা হিন্দু গণহত্যা মেনিফেস্ট করছে। মানে, যতক্ষণ পর্যন্ত সেটা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা এই আলাপ চালিয়েই যাবে।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গণমাধ্যমগুলোতে বাংলাদেশের বিষয় নিয়ে ছড়ানো হচ্ছে একের পর এক গুজব। রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে, রাষ্ট্র ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর ১২ আগস্ট থেকে ০৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত অন্তত ১৩টি ভুয়ো খবর পাওয়া গেছে। এমনকি ভারতের ভিডিয়োকে বাংলাদেশের হিন্দু নারী ধর্ষণ ও হত্যার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করেছে মিডিয়া। রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি মুসলিম কর্তৃক হিন্দু নারী ও শিশুদের ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার নয়। এমনকি দৃশ্যটি বাংলাদেশেরও নয় বরং, গত জুলাইয়ে উত্তর প্রদেশে একটি ধর্মীয় উৎসবে পদদলিত হয়ে শতাধিক নারী ও শিশু নিহতের ঘটনার ভিডিও এটি। অনুসন্ধানে অভিনন্দন কুমার নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ০৩ জুলাই প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর দৃশ্যের সঙ্গে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে। সুতরাং, ভারতে পদদলিত হয়ে নারী ও শিশু নিহতের দৃশ্যকে বাংলাদেশে মুসলিম কর্তৃক হিন্দু নারী ও শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

দিনকয়েক থেকে একটি মিডিয়ার নিউজ কার্ড ছড়িয়েছে যে— ‘মহিলারা শাখা সিঁদুর পরে বেরোতে পারছে না, হিন্দু বুঝে গেলে সমস্যা বাংলাদেশে!’ এই ভুয়ো খবরের প্রেক্ষিতে ছাত্রনেতা মেঘমল্লার বসু জানান, ‘ওগোরে কে বুঝাবে, যে বাংলাদেশে অবিবাহিত মুসলমান মেয়েরাও স্রেফ এস্থেটিক্সের ঠেলায় শাখা-সিঁদূর পরে ঘুরে। ওগোরে কে বুঝাবে, আমি মেঘমল্লার বসু, একটু বাদে জহুরি মহল্লার একটা মাদ্রাসার ভেন্যুতে মোহাম্মদপুর কমিউনিটি এলায়েন্সের সভায় বক্তব্য দিব। ওদের কে বুঝাবে, গতকাল আলিয়াস ফ্রঁসেতে অনিন্দ্য বিশ্বাস, মুইজ মাহফুজ ছাড়াও ভারতীয় ‘হিন্দু’ অর্জুন করের গান শুনে আসলাম। কলকাতার মিডিয়া একটা হিন্দু গণহত্যা মেনিফেস্ট করতেসে। মানে, যতক্ষণ পর্যন্ত সেটা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা এই আলাপ চালায়েই যাবে।’

Tag :

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হিন্দু নারী হত্যা: হাথরসের ভিডিয়োকে বাংলাদেশের বলে প্রচার, সরব ঢাকার ছাত্রনেতা মেঘমল্লার

আপডেট : ৭ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার

ঢাকা: বাংলাদেশ নিয়ে নানা ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে তথাকথিত বিগ মিডিয়া হাউসগুলি। সেখানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে, এমন বয়ানকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে পশ্চিম বাংলার বেশ কয়েকটি স্যাটেলাইট নিউজ চ্যানেল। এই ভুয়ো খবর প্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, কলকাতার মিডিয়া একটা হিন্দু গণহত্যা মেনিফেস্ট করছে। মানে, যতক্ষণ পর্যন্ত সেটা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা এই আলাপ চালিয়েই যাবে।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গণমাধ্যমগুলোতে বাংলাদেশের বিষয় নিয়ে ছড়ানো হচ্ছে একের পর এক গুজব। রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে, রাষ্ট্র ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর ১২ আগস্ট থেকে ০৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত অন্তত ১৩টি ভুয়ো খবর পাওয়া গেছে। এমনকি ভারতের ভিডিয়োকে বাংলাদেশের হিন্দু নারী ধর্ষণ ও হত্যার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করেছে মিডিয়া। রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি মুসলিম কর্তৃক হিন্দু নারী ও শিশুদের ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার নয়। এমনকি দৃশ্যটি বাংলাদেশেরও নয় বরং, গত জুলাইয়ে উত্তর প্রদেশে একটি ধর্মীয় উৎসবে পদদলিত হয়ে শতাধিক নারী ও শিশু নিহতের ঘটনার ভিডিও এটি। অনুসন্ধানে অভিনন্দন কুমার নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ০৩ জুলাই প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর দৃশ্যের সঙ্গে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে। সুতরাং, ভারতে পদদলিত হয়ে নারী ও শিশু নিহতের দৃশ্যকে বাংলাদেশে মুসলিম কর্তৃক হিন্দু নারী ও শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

দিনকয়েক থেকে একটি মিডিয়ার নিউজ কার্ড ছড়িয়েছে যে— ‘মহিলারা শাখা সিঁদুর পরে বেরোতে পারছে না, হিন্দু বুঝে গেলে সমস্যা বাংলাদেশে!’ এই ভুয়ো খবরের প্রেক্ষিতে ছাত্রনেতা মেঘমল্লার বসু জানান, ‘ওগোরে কে বুঝাবে, যে বাংলাদেশে অবিবাহিত মুসলমান মেয়েরাও স্রেফ এস্থেটিক্সের ঠেলায় শাখা-সিঁদূর পরে ঘুরে। ওগোরে কে বুঝাবে, আমি মেঘমল্লার বসু, একটু বাদে জহুরি মহল্লার একটা মাদ্রাসার ভেন্যুতে মোহাম্মদপুর কমিউনিটি এলায়েন্সের সভায় বক্তব্য দিব। ওদের কে বুঝাবে, গতকাল আলিয়াস ফ্রঁসেতে অনিন্দ্য বিশ্বাস, মুইজ মাহফুজ ছাড়াও ভারতীয় ‘হিন্দু’ অর্জুন করের গান শুনে আসলাম। কলকাতার মিডিয়া একটা হিন্দু গণহত্যা মেনিফেস্ট করতেসে। মানে, যতক্ষণ পর্যন্ত সেটা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা এই আলাপ চালায়েই যাবে।’