রাজ্যের মাদ্রাসায় চালু হবে হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড, ভাতাও প্রায় দ্বিগুণ
- আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৫, রবিবার
- / 409
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা সকল ছাত্র-ছাত্রীর কাছে আরও বেশি সহজ এবং সরল করার জন্য সরকার একের পর এক ব্যবস্থা নিয়ে চলেছে। তাই এবার সেই পথে হাঁটতে চলেছে মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ। তারাও পুরোনো প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থাকে গুড়িয়ে নয়া শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি নজর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ। আর, সেই লক্ষ্যপূরণে রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে অনুসরণ করছে তারা। জানা গিয়েছে খুব শীঘ্রই ‘হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড’ চালু করতে চলেছে মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ।
আরও পড়ুন: রাজ্যের নয়া মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল
পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ডক্টর আবু তাহের কমরুদ্দীন জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড ব্যবস্থা চালু করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আসলে হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড হল এমন এক ধরনের মূল্যায়নের মাপকাঠি, যার মাধ্যমে প্রত্যেক পড়ুয়ার সমস্ত তথ্য থাকার পাশাপাশি ওই পড়ুয়া পড়াশোনায় প্রত্যেকটি বিষয়ের নিরিখে কতটা এগিয়ে বা পিছিয়ে রয়েছে এবং সামাজিকভাবে নিজেকে কতটা তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছে সেই বিষয়ে আলোচনা করা। এছাড়াও এই রিপোর্ট কার্ডে প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীর সার্বিক উন্নয়ন নিয়েও বেশ কিছু পরিকল্পনা উল্লেখ করা থাকে। অর্থাৎ কোন কোন ক্ষেত্রে তাকে আরও বেশি করে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে, এই সমস্ত তথ্য তুলে ধরা হয়। এবার সেই হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড তৈরি হতে চলেছে মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থায়।আবু তাহের কমরুদ্দীন জানিয়েছেন,চলতি বছরেই প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করা হবে এই রিপোর্ট কার্ড।তিনি আরও বলেন ‘‘ইতিমধ্যেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড নিয়ে কাজ শুরু করেছে। তাই আমরাও ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বিক মূল্যায়নের উপর জোর দিতে চাই। সেক্ষেত্রে তাই এই হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড চালু করতে চলেছি। এর ফলে একদিকে যেমন পড়ুয়াদের সুবিধা হবে ঠিক তেমনই শিক্ষকদেরও পড়ানোর ক্ষেত্রে বেশ উপকার হবে।’’ তবে জানা যাচ্ছে এখনই এই হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড তৈরি করা হবে না। কারণ যেহেতু এই বিষয়টি সম্পূর্ণ নতুন পর্ষদের কাছে তাই এই ব্যবস্থা চালু করার আগে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: শান্তিতে নোবেল পাচ্ছেন ইমরান খান!
জানা গিয়েছে, ইদের ছুটি মিটলেই শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের এই প্রশিক্ষণ হাইব্রিড মোডে করানো হবে। এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে মাদ্রাসা শিক্ষকরা বেশিরভাগই সম্মতি জানালেও একাংশ দের মধ্যে কিছুটা মতবিরোধ রয়েছে। তারা মনে করছেন একটু ধীরগতিতে এগোলে ভালো হতো তবে। অধিকাংশ শিক্ষক মনে করছেন বর্তমানে মধ্যশিক্ষা শিক্ষা পর্ষদের আদলেই এই শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে নিয়ে যেতে এখনই উপযুক্ত সময়। কাজেই দ্রুত এই কাজ শুরু করে দেওয়া উচিত বলেই তারা মনে করছেন। পুস্তিকা আকারে সেই রিপোর্ট কার্ড ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে বিভিন্ন ßুñলে। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির মধ্যে তিনটি পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়ন হবে। এ ছাড়াও, মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এত দিন মাসে যেখানে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হত। সেই টাকা আরও ৮০০ টাকা বৃদ্ধি ১৮০০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এক অন্যতম উদ্যোগ বলে মনে করছেন শিক্ষক মহলের একাংশ।
















































