০৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অন্যান্য সমস্যায় জর্জরিত মধু সংগ্রহকারীরা

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২২, বুধবার
  • / 19

 

আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব

ইনামুল হক– বসিরহাট­ সুন্দরবনের এলাকার প্রান্তিক মানুষের অন্যতম পেশা মৌ পালন ও মধু সংগ্রহ। এখানকার ব্যাপক সংখ্যক মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সুন্দরবনের জঙ্গলে যায় মধু  সংগ্রহ করতে। পাশাপাশি মোটা টাকা ব্যায় করে মৌমাছি– বাক্স ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম ক্রম করে মৌমাছি পালন করেন। আশা একটাই— যাতে বেশি পরিমাণে মধু পাওয়া যায়। এই মধু ব্যবসায়ীদের কাছে জোগান দিয়ে জীবিকা-নির্বাহ করেন বহু মানুষ। উল্লেখ্য– উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট সীমান্ত থেকে সুrদরবন এলাকায় প্রায় ১০ হাজার বি-কিপার রয়েছে। তাদের উপরই নির্ভরশীল পরিবারের লক্ষাধিক সদস্য। এর আছে সঙ্গে যুক্ত ছোট– ক্ষুদ্র– বড় ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে নেপাল সহ সিকিম, আটকে বহু পর্যটক, তেষ্টা নিবারণে ভরসা ঝর্ণার জল

সুrদরবনের মৌ পালক উৎপল মণ্ডল বলেন– ‘মুর্শিদাবাদ থেকে মৌ পালন করার জন্য ১০০ বাক্স আনতে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা খরচ হত। এখন বেড়ে তা দ্বিগুণ হয়েছে। মৌমাছি পালনের কাঁচামাল– চিনি– মোম– জাল (নেট)-সহ অন্যান্য সামগ্রীর দামও বেড়ে চলেছে। পাশাপাশি রাস্তায় চাঁদা জুলুম– গাড়িতে মৌমাছির বাক্স আনতে দেরি হলে প্রচুর সংখ্যক মৌমাছি মারা যায়। ইত্যাদি একাধিক সমস্যায় জর্জরিত সুন্দরবনের মৌ পালকরা পড়েছেন মহা-বিপাকে।’ মৌ-পালকরা জানাচ্ছেন— প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার প্রভাব পড়ছে সুrদরবনের বাস্তুতন্ত্রের উপর। এদিকে– অসময়ে ঝড়-বৃষ্টির কারণে জঙ্গলে বাক্স পাতা হলে রানি ও পুরুষ মৌমাছি মিলিত হতে সময় লাগছে– তাই মৌমাছির বাক্স সেই এলাকায় দীর্ঘদিন রাখতে আরও খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া মৌমাছিদের খাদ্যাভাবে চড়া দামে চিনিও কিনতে হয়। সব মিলিয়ে মৌমাছি পালন করে জীবিকা-নির্বাহকারীদের প্রটক হচ্ছে সমস্যা।

আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস ভারতের

উত্তর ২৪ পরগনার অন্যতম মধু রফতানিকারক সংস্থার কর্ণধার হারুণ মণ্ডল বলেন– ‘গত দু’বছর করোনা মহামারির জন্য সেভাবে মধু বিদেশের বাজারে রফতানি করতে পারেনি ব্যবসায়ীরা। তাই মধু ঠিক মতো মৌ-পালকদের কাছ থেকে তারা কিনতে পারেনি। যার কারণে জোগান থাকলেও সেগুলো রফতানি হয়নি।’ তিনি আরও জানান– ‘স্বাভাবিকভাবেই মধুর লাভজনক দামও পাওয়া যায়নি। ফলে চরম দুরবস্থায় পড়তে হচ্ছে রাজ্যের বি-কিপার এবং মধু ব্যবসায়ীদের।’

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অন্যান্য সমস্যায় জর্জরিত মধু সংগ্রহকারীরা

আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২২, বুধবার

 

আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব

ইনামুল হক– বসিরহাট­ সুন্দরবনের এলাকার প্রান্তিক মানুষের অন্যতম পেশা মৌ পালন ও মধু সংগ্রহ। এখানকার ব্যাপক সংখ্যক মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সুন্দরবনের জঙ্গলে যায় মধু  সংগ্রহ করতে। পাশাপাশি মোটা টাকা ব্যায় করে মৌমাছি– বাক্স ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম ক্রম করে মৌমাছি পালন করেন। আশা একটাই— যাতে বেশি পরিমাণে মধু পাওয়া যায়। এই মধু ব্যবসায়ীদের কাছে জোগান দিয়ে জীবিকা-নির্বাহ করেন বহু মানুষ। উল্লেখ্য– উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট সীমান্ত থেকে সুrদরবন এলাকায় প্রায় ১০ হাজার বি-কিপার রয়েছে। তাদের উপরই নির্ভরশীল পরিবারের লক্ষাধিক সদস্য। এর আছে সঙ্গে যুক্ত ছোট– ক্ষুদ্র– বড় ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে নেপাল সহ সিকিম, আটকে বহু পর্যটক, তেষ্টা নিবারণে ভরসা ঝর্ণার জল

সুrদরবনের মৌ পালক উৎপল মণ্ডল বলেন– ‘মুর্শিদাবাদ থেকে মৌ পালন করার জন্য ১০০ বাক্স আনতে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা খরচ হত। এখন বেড়ে তা দ্বিগুণ হয়েছে। মৌমাছি পালনের কাঁচামাল– চিনি– মোম– জাল (নেট)-সহ অন্যান্য সামগ্রীর দামও বেড়ে চলেছে। পাশাপাশি রাস্তায় চাঁদা জুলুম– গাড়িতে মৌমাছির বাক্স আনতে দেরি হলে প্রচুর সংখ্যক মৌমাছি মারা যায়। ইত্যাদি একাধিক সমস্যায় জর্জরিত সুন্দরবনের মৌ পালকরা পড়েছেন মহা-বিপাকে।’ মৌ-পালকরা জানাচ্ছেন— প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার প্রভাব পড়ছে সুrদরবনের বাস্তুতন্ত্রের উপর। এদিকে– অসময়ে ঝড়-বৃষ্টির কারণে জঙ্গলে বাক্স পাতা হলে রানি ও পুরুষ মৌমাছি মিলিত হতে সময় লাগছে– তাই মৌমাছির বাক্স সেই এলাকায় দীর্ঘদিন রাখতে আরও খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া মৌমাছিদের খাদ্যাভাবে চড়া দামে চিনিও কিনতে হয়। সব মিলিয়ে মৌমাছি পালন করে জীবিকা-নির্বাহকারীদের প্রটক হচ্ছে সমস্যা।

আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস ভারতের

উত্তর ২৪ পরগনার অন্যতম মধু রফতানিকারক সংস্থার কর্ণধার হারুণ মণ্ডল বলেন– ‘গত দু’বছর করোনা মহামারির জন্য সেভাবে মধু বিদেশের বাজারে রফতানি করতে পারেনি ব্যবসায়ীরা। তাই মধু ঠিক মতো মৌ-পালকদের কাছ থেকে তারা কিনতে পারেনি। যার কারণে জোগান থাকলেও সেগুলো রফতানি হয়নি।’ তিনি আরও জানান– ‘স্বাভাবিকভাবেই মধুর লাভজনক দামও পাওয়া যায়নি। ফলে চরম দুরবস্থায় পড়তে হচ্ছে রাজ্যের বি-কিপার এবং মধু ব্যবসায়ীদের।’