ওড়িশার ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা: সাসপেন্ড ৭ রেলকর্মী

- আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৩, বুধবার
- / 14
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : ওড়িশার বালোসোরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় সাসপেন্ড করা সাতজন রেলের কর্মীকে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনিল কুমার মিশ্র জানিয়েছেন,বর্তমানে রিমান্ডে থাকা তিন অভিযুক্ত সহ সাতজন কর্মচারিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার দায়ে এই সাতজনকেই সাময়িক বরখাস্ত করা হল।
অনিল কুমার মিশ্র আরও বলেন, ‘সিবিআই বর্তমানে তিনজন রেলের কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। স্টেশন মাস্টার, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর, রক্ষণাবেক্ষণকারীসহ ৭ জনকে ডিউটির সময় সতর্ক না থাকার কারণে সাময়িক বরখাস্ত করা হল। তারা সতর্ক থাকলে এই মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।’
বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের নতুন জেনারেল ম্যানেজার এবং ডিআরএম বাহানাগা বাজার এবং বালাসোর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করার পরেই এই স্থগিতাদেশের আদেশ আসে। সাংসদ প্রতাপ সারঙ্গীর সঙ্গে গোপীনাথপুর রেলস্টেশনও পরিদর্শনও করেন তাঁরা।
এদিকে ইতিমধ্যেই তিন অভিযুক্ত সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার (সিগন্যাল) অরুণ কুমার মহন্ত, সেকশন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আমির খান এবং টেকনিশিয়ান পাপ্পু কুমারকে আরও চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে সিবিআই।
দক্ষিণ পূর্ব সার্কেলের রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনের (সিআরএস) তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাহানাগা স্টেশনে মারাত্মক ট্রেন দুর্ঘটনাটি উত্তর সিগন্যাল স্টেশনের সার্কিট পরিবর্তনের ত্রুটির কারণে ঘটেছে।
উল্লেখ্য, গত ২ জুন ওড়িশার বালাসোরের কাছে মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাণ কেড়ে নেয় ২৯৪ জন যাত্রীর, আহত হয় ১১৭৫ জন। দুর্ঘটনা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, দেহগুলি সম্পূর্ণ দলা পাকিয়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়।
বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং মালগাড়িটি তিনটি আলাদা ট্র্যাকে ছিল। বালোসোর জেলায় বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে এই ভয়ঙ্কর সংঘর্ষের জেরে তিনটি ট্রেন মিলিয়ে মোট ১৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়। জানা যায়, করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল সংশ্লিষ্ট মেনলাইনে যাওয়ার জন্য। এরপর সিগন্যালটি তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু, ট্রেনটি লুপ লাইনে প্রবেশ করে এবং সেখানে দাঁড়ানো মালগাড়িতে ধাক্কা দেয়। ইঞ্জিনটি উঠে যায় মালগাড়ির উপর। সেই সময় ডাউন লাইনে যশবন্তপুর সুপার ফার্স্ট এক্সপ্রেস চলে আসে এবং তার দুটি বগিও লাইনচ্যুত হয়।