মধ্যপ্রদেশের ঘটনায় অধরা অভিযুক্ত
horror in mp hospital: প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে তরুণীকে কুপিয়ে খুন যুবকের

- আপডেট : ১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 191
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: (horror in mp hospital) বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে লোমহর্ষক ঘটনা। সরকারি হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে ঢুকে তরুণীকে কুপিয়ে খুন যুবকের। প্রকাশ্য দিবালোকে এহেন ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। ঘটনাটি ঘটেছে ২৭ জুন। তবে সম্প্রতি ওই ঘটনার ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম সন্ধ্যা চৌধুরী। বয়স ১৯। দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া ছিলেন। এদিন রাজ্যের নরশিংপুর জেলার সরকারি হাসপাতালে বান্ধবীর আত্মীয়কে দেখতে আসেন মৃতা। ম্যাটারনিটি ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই সন্ধ্যাকে খুন করে অভিযুক্ত অভিষেক কোষ্টি।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তরুণীর প্রতি ‘আনহেলদি অবসেশন’( সঙ্গিন প্রনয়াসক্তি) ভুগছিলেন অভিযুক্ত। বহুবার প্রমের প্রস্তাবও পাঠায়। তবে প্রতিবারেই সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সন্ধ্যা। ২৭ জুন দুপুর ২ টো নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন তরুণী। বাড়িতে বলে যান, এক বন্ধুর আত্মীয় নরসিুংহপুরের জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁকে দেখতে যাচ্ছেন। অভিষেক খবর পেয়েছিলেন সন্ধ্যা হাসপাতালে যাচ্ছেন। তাই আগে থেকেই তিনি হাসপাতাল চত্বরে হাজির হয়েছিলেন। সেখানেও সন্ধ্যার সঙ্গে একদণ্ড তর্কাতর্কি হয় উভয়ের।
তার পর হাসপাতালে ভিতরে ঢুকে যান সন্ধ্যা। মহিলা ওয়ার্ডে বন্ধুর আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে যান। অভিষেকও তাঁর পিছু নিয়ে মহিলা ওয়ার্ডে পৌঁছোন। ওই সময় ট্রমা কেয়ারের ভিতরে কয়েক জন নার্স ছিলেন। কয়েক মিটার দূরে চিকিৎসকেরাও ছিলেন। আর বাইরে দু’জন নিরাপত্তারক্ষী। অথচ সবাইকে উপেক্ষা করে সন্ধ্যাকে এলোপাতারি মারতে থাকে অভিযুক্ত (horror in mp hospital)। তারপর একের পর এক চড় মারতে মারতে মেঝেতে ফেলে দেয়। হঠাৎ করে পকেট থেকে ছুরি বার করে গলায় কোপ চালিয়ে যেতে থাকে।
টানা ১০ মিনিট যাবত এহেন কাণ্ড ঘটায় অভিযুক্ত। অথচ অত মানুষের ভিড়ে কেউ অভিযুক্তকে থামাতে আসেনি। মেয়েটিকে বাঁচানোর চেষ্টা পর্যন্ত করেনি। মেঝেতে মরতে দেয় অনায়াসে। এমনকি নিরাপত্তারক্ষীরাও নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন বলে অভিযোগ। সন্ধ্যাকে খুন করার পর অভিষেক নিজের গলাতেও ছুরি চালানের চেষ্টা করেন। তবে ব্যর্থ হয়। তার পরই বিনা বাধায় বাইক নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যান। তরুণীর রক্তাক্ত দেহ হাসপাতালের ভিতরেই পড়ে ছিল।
দুপুর সাড়ে ৩ টে নাগাদ তাঁদের কাছে খবর যায়। তাঁর বাড়ির লোক আসার পর দেহ সরানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরই তরুণীর আত্মীয়রা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী আসে। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে একের পর এক রোগী হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ হয়ে যায়। ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।