১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নতুন আলোকোজ্জ্বল চেহারায় দেখা যাবে হাওড়া ব্রিজকে! অপেক্ষা সবুজ সংকেতের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 114

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: প্রাণের শহর কলকাতা আর সেই শহরের স্পন্দন হাওড়া ব্রিজ। কলকাতা ও হাওড়া যমজ শহর নামেই পরিচিত। পরবর্তীকালে এশিয়ার প্রথম নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে যার নাম রাখা হয় রবীন্দ্র সেতু।

 

আরও পড়ুন: ভারতে দ্রুত পরিষেবা চালু করতে চলেছে ‘স্টারলিঙ্ক’, সবুজ সংকেত কেন্দ্রের

হুগলি নদীর দুই প্রান্তে পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে ব্যস্ততম দুই শহর কলকাতা ও হাওড়ার প্রধান এবং প্রাচীন সংযোগস্থল হল এই হাওড়া ব্রিজ। সারাদিন ভীষণ ব্যস্ত এই রবীন্দ্র সেতুতে অবিরাম মানুষ এবং গাড়ির যাতায়ায় লেগেই আছে। হাওড়া ব্রিজ সম্ভবত বিশ্বের ব্যস্ততম কান্টিলিভার ব্রিজ। দিনে ১ লক্ষ গাড়ি-ঘোড়া ও দেড় লক্ষ মানুষ হেঁটে এই ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত করে।

আরও পড়ুন: দানবীয় চেহারা ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের, সতর্ক করা হল মৎসজীবীদের

 

আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক লং মার্চের আজ দ্বিতীয় দিনে হাওড়া ব্রিজে অসুস্থ এক আন্দোলনকারী

সিনেমা থেকে উপন্যাস, পর্যটক থেকে বিশ্বের তাবড়রা, সকলেই কলকাতা এলে একবার হলেও হাওড়া ব্রিজ ঘুরে যান। এবার ৮০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী ব্রিজকে নতুন রূপে সাজিয়ে কলকাতাবাসীকে উপহার দিতে চলেছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

 

নতুন রূপে সেজে উঠবে হাওড়া ব্রিজ। ঐতিহ্যবাহী এই ব্রিজের বদলে যাবে ভোল। বসবে স্বচ্ছ এলইডি স্ক্রিন, সন্ধ্যা নামলেই তাতে চলবে লাইট এন্ড সাউন্ড শো। অপেক্ষা শুধু সবুজ সংকেতের।

 

হাওড়া ব্রিজের সৌন্দর্যায়নের জন্য কেন্দ্র সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব দিয়েছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ এমনটাই সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। এই কাজে খরচ হবে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে সবুজ সংকেত মিললেই সন্ধ্যায় আরও দশর্নীয় হয়ে উঠবে ঐতিহ্যবাহী এই ব্রিজটি। আলোর ভেলকির মধ্যে ফুটে উঠবে কলকাতার ইতিহাস।

ইতিমধ্যে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে আলো লাগানো হয়েছে হাওড়া ব্রিজ তথা রবীন্দ্র সেতুতে। এবার কেন্দ্রের ছাড়পত্র মিললে অত্যাধুনিক এলইডি- স্ক্রিনটি লাগানো হবে ব্রিজের একদম মাঝখানে। এটি একদম স্বচ্ছ হবে। আর এই স্ক্রিনটিকে এমনভাবে বানানো হবে যেটি খালি চোখে অতি সহজে দেখা যাবে না এমনটাই জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই স্ক্রিনটির আয়তন হবে কমপক্ষে ১২০০ বর্গমিটার।

 

প্রায় ৮০ বছর পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই ব্রিজটি বহু ইতিহাসের সাক্ষী রয়েছে। কলকাতা ও হাওড়ার সংযোগ স্থাপনের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মাধ্যম এই হাওড়া ব্রিজ যার অন্য আর এক নাম রয়েছে যেটা রবীন্দ্র সেতু নামেও পরিচিত। যেটা হয়তো অনেকের কাছেই অপরিচিত।

 

উল্লেখ্য, আইকনিক এই হাওড়া ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট। ২০০৬ সালে প্রথমবার ভিন্ন ধরনের আলোয় সেজে উঠেছিল বহু ইতিহাসের সাক্ষী এই হাওড়া সেতু। মূলত বিশেষ বিশেষ দিন গুলিতে আলোকোজ্জ্বল হয়ে ওঠতো এই ব্রিজ। এবার থেকে শুধু স্বাধীনতা দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবস নয় প্রতিদিন সন্ধ্যায় হাওড়া ব্রিজে দেখা যাবে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো। সিডনির অপেরার আদলে এবার সেজে উঠতে চলেছে হাওড়া ব্রিজ।

 

শুধু হাওড়া ব্রিজ নয় সৌন্দর্য বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে আর্মেনিয়াম ঘাটও। ঐতিহাসিক এই স্থানকে নতুন করে সাজিয়ে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে চায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেই জন্য আট একর জায়গা জুড়ে পুরোন বিল্ডিং-এর আদলে তৈরি হবে নতুন বিল্ডিং,পার্ক ও রেস্টুরেন্ট। স্ট্যান্ড রোডের পাশের জায়গাগুলিকেও একইভাবে সাজাতে চায় প্রশাসন। গোটা পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে খরচ পড়বে প্রায় ৮০ কোটি টাকা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নতুন আলোকোজ্জ্বল চেহারায় দেখা যাবে হাওড়া ব্রিজকে! অপেক্ষা সবুজ সংকেতের

আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: প্রাণের শহর কলকাতা আর সেই শহরের স্পন্দন হাওড়া ব্রিজ। কলকাতা ও হাওড়া যমজ শহর নামেই পরিচিত। পরবর্তীকালে এশিয়ার প্রথম নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে যার নাম রাখা হয় রবীন্দ্র সেতু।

 

আরও পড়ুন: ভারতে দ্রুত পরিষেবা চালু করতে চলেছে ‘স্টারলিঙ্ক’, সবুজ সংকেত কেন্দ্রের

হুগলি নদীর দুই প্রান্তে পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে ব্যস্ততম দুই শহর কলকাতা ও হাওড়ার প্রধান এবং প্রাচীন সংযোগস্থল হল এই হাওড়া ব্রিজ। সারাদিন ভীষণ ব্যস্ত এই রবীন্দ্র সেতুতে অবিরাম মানুষ এবং গাড়ির যাতায়ায় লেগেই আছে। হাওড়া ব্রিজ সম্ভবত বিশ্বের ব্যস্ততম কান্টিলিভার ব্রিজ। দিনে ১ লক্ষ গাড়ি-ঘোড়া ও দেড় লক্ষ মানুষ হেঁটে এই ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত করে।

আরও পড়ুন: দানবীয় চেহারা ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের, সতর্ক করা হল মৎসজীবীদের

 

আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক লং মার্চের আজ দ্বিতীয় দিনে হাওড়া ব্রিজে অসুস্থ এক আন্দোলনকারী

সিনেমা থেকে উপন্যাস, পর্যটক থেকে বিশ্বের তাবড়রা, সকলেই কলকাতা এলে একবার হলেও হাওড়া ব্রিজ ঘুরে যান। এবার ৮০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী ব্রিজকে নতুন রূপে সাজিয়ে কলকাতাবাসীকে উপহার দিতে চলেছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

 

নতুন রূপে সেজে উঠবে হাওড়া ব্রিজ। ঐতিহ্যবাহী এই ব্রিজের বদলে যাবে ভোল। বসবে স্বচ্ছ এলইডি স্ক্রিন, সন্ধ্যা নামলেই তাতে চলবে লাইট এন্ড সাউন্ড শো। অপেক্ষা শুধু সবুজ সংকেতের।

 

হাওড়া ব্রিজের সৌন্দর্যায়নের জন্য কেন্দ্র সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব দিয়েছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ এমনটাই সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। এই কাজে খরচ হবে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে সবুজ সংকেত মিললেই সন্ধ্যায় আরও দশর্নীয় হয়ে উঠবে ঐতিহ্যবাহী এই ব্রিজটি। আলোর ভেলকির মধ্যে ফুটে উঠবে কলকাতার ইতিহাস।

ইতিমধ্যে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে আলো লাগানো হয়েছে হাওড়া ব্রিজ তথা রবীন্দ্র সেতুতে। এবার কেন্দ্রের ছাড়পত্র মিললে অত্যাধুনিক এলইডি- স্ক্রিনটি লাগানো হবে ব্রিজের একদম মাঝখানে। এটি একদম স্বচ্ছ হবে। আর এই স্ক্রিনটিকে এমনভাবে বানানো হবে যেটি খালি চোখে অতি সহজে দেখা যাবে না এমনটাই জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই স্ক্রিনটির আয়তন হবে কমপক্ষে ১২০০ বর্গমিটার।

 

প্রায় ৮০ বছর পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই ব্রিজটি বহু ইতিহাসের সাক্ষী রয়েছে। কলকাতা ও হাওড়ার সংযোগ স্থাপনের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মাধ্যম এই হাওড়া ব্রিজ যার অন্য আর এক নাম রয়েছে যেটা রবীন্দ্র সেতু নামেও পরিচিত। যেটা হয়তো অনেকের কাছেই অপরিচিত।

 

উল্লেখ্য, আইকনিক এই হাওড়া ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট। ২০০৬ সালে প্রথমবার ভিন্ন ধরনের আলোয় সেজে উঠেছিল বহু ইতিহাসের সাক্ষী এই হাওড়া সেতু। মূলত বিশেষ বিশেষ দিন গুলিতে আলোকোজ্জ্বল হয়ে ওঠতো এই ব্রিজ। এবার থেকে শুধু স্বাধীনতা দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবস নয় প্রতিদিন সন্ধ্যায় হাওড়া ব্রিজে দেখা যাবে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো। সিডনির অপেরার আদলে এবার সেজে উঠতে চলেছে হাওড়া ব্রিজ।

 

শুধু হাওড়া ব্রিজ নয় সৌন্দর্য বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে আর্মেনিয়াম ঘাটও। ঐতিহাসিক এই স্থানকে নতুন করে সাজিয়ে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে চায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেই জন্য আট একর জায়গা জুড়ে পুরোন বিল্ডিং-এর আদলে তৈরি হবে নতুন বিল্ডিং,পার্ক ও রেস্টুরেন্ট। স্ট্যান্ড রোডের পাশের জায়গাগুলিকেও একইভাবে সাজাতে চায় প্রশাসন। গোটা পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে খরচ পড়বে প্রায় ৮০ কোটি টাকা।