National e-Governance Awards পেতে চলেছে হাওড়ার বানেশ্বরপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত

- আপডেট : ৪ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার
- / 68
মুহাম্মদ রাকিব, শ্যামপুর: জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র হোক বা আবাসিক শংসাপত্র, সবক্ষেত্রেই সরকারী পোর্টালের ব্যবহার গ্রহণযোগ্য। অর্থাৎ সরকারিস্তরে মানুষকে পরিষেবা দিতেই ই-গভর্নেন্স (National e-Governance Awards) একশো শতাংশ অগ্রগণ্য। আর এই প্রয়োগের ফলস্বরূপ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত হল হাওড়া গ্রামীণের শ্যামপুর-১ নম্বর ব্লকের বানেশ্বরপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত। প্রসঙ্গত, রাজ্যের ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত কেন্দ্রের সরকারের কাছ থেকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে। এরমধ্যে হাওড়া জেলার শ্যামপুর-১ নম্বর ব্লকের বানেশ্বরপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত সেরার জন্য মনোনীত হয়েছে। উল্লেখ্য, হাওড়া জেলায় ১৫৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বানেশ্বরপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এই পুরস্কার পাওয়ায় খুশি সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি থেকে সরকারি আধিকারিকরা। এ প্রসঙ্গে শ্যামপুরের কালীপদ মণ্ডলের বক্তব্য, ‘আমরা তৃণমূলস্তর থেকে মানুষকে সরকারি পরিষেবা দিতে বদ্ধ পরিকর। পঞ্চায়েতগুলি আমাদের পরামর্শ মতো কাজ করে থাকেন।’
আরও পড়ুন: গলে গেল ট্রেনের চাকা! বড় বিপদ থেকে রেহাই পেল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস
স্থানীয় সূত্রে খবর, বানেশ্বরপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে মানুষকে সরকারি পরিষেবা প্রদান করতে ই-গভর্নেন্স (National e-Governance Awards) পোর্টালগুলিকে একশো শতাংশ ব্যবহার করছে। আপাতত তারা ২৮টি পোর্টালকে কাজে লাগিয়ে নাগরিক পরিষেবা প্রদান করছে। সেই পরিষেবার তালিকায় রয়েছে ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম ও মৃত্যু শংসাপত্র প্রদান, রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট, কাস্ট সার্টিফিকেট, কর আদায়, গৃহ নির্মাণ অনুমতি প্রদান সহ একাধিক নাগরিক পরিষেবা। শুধু তাই নয় এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়গুলো জানা এবং তা সমাধান করার ব্যাপারেও অনলাইন মাধ্যমকে কাজে লাগাচ্ছে এই পঞ্চায়েত। এমনকি এলাকার মানুষের অভাব অভিযোগগুলিও অনলাইনের মাধ্যমে নথিভুক্ত করা হচ্ছে। সেইমতো তাদের সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে। এমনকি গৃহ নির্মাণ প্রকল্প থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট সমস্ত ক্ষেত্রেই জিও ট্যাগিংকে যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষায় কেন্দ্রের পক্ষপাত! বাংলা-কেরল-তামিলনাড়ু পেল না কিছুই
বানেশ্বরপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষ্মী মণ্ডল ও উপপ্রধান অশোক সাঁতরা বলেন, ‘আমরা এখন ২৮টি নাগরিক পরিষেবা ই-গভর্নেন্স (National e-Governance Awards) অনলাইনের মাধ্যমে প্রদান করছি। তাদের দাবি আগামীদিনে আমরা এই পঞ্চায়েতকে পুরোপুরি স্মার্ট পঞ্চায়েতে রূপায়িত করব।’ শ্যামপুর-১ নম্বর ব্লকের বিডিও তন্ময় কার্জি বলেন, ‘সরকারিস্তর থেকে আমাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত খুশির খবর। আগামীদিনে যাতে এই পঞ্চায়েত আরও ভালো কাজ করতে পারে সেজন্য ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগিতা করা হবে।’