স্ত্রীকে খুন করায়, অভিযুক্ত স্বামীকে এনকাউন্টার পুলিশের

- আপডেট : ২৪ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার
- / 201
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : পণের জন্য ৩৬ লক্ষ টাকা চেয়েছিল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। দিতে না পারায়, পুড়িয়ে মারা হল নয়ডার গৃহবধূকে। নিকি ভাটির বাবা অভিযোগ করেছেন, তার মেয়েকে পুড়িয়ে মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আর এটা করেছে তার জামাই। তাই তার জামাইকে ও আর যারা জড়িত এই ঘটনায় তাদের এনকাউন্টার করে মারা হোক অথবা ফাঁসি দেওয়া হোক।
গুরুতর আহত অবস্থায় নিকিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার সফদরজং হাসপাতালে ২৮ বছরের যুবতীর মৃত্যু হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের পুলিশ ধরতে গেলে, পুলিশের হাত থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ভিপিন ভাটি অর্থাৎ নিকির স্বামী। পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশের হাত থেকে পালানোর সময়, পুলিশের গুলিতেই পায়ে গুলি লাগে ভিপিনের ও আহত হয়। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে।
নিকির বোন কাঞ্চনও ভিপিনের ভাই রোহিতের স্ত্রী। কাঞ্চনের অভিযোগ, ভিপিন ও তার মা দয়া ভাটি মিলে প্রথমে নিকির ওপর অকথ্য অত্যাচার করে তারপর নিকির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনার ভিডিও সমেত প্রমাণও ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনায় মা দয়া ভাটি ও ছেলে ভিপিন ভাটিকে গ্রেফতার করা গেলেও বাবা সত্যবীর ও ভাই রোহিত এখনও পলাতক।
নিহত নিকি ও ভিপিনের একটি ছয় বছরের সন্তানও রয়েছে। ছোট্ট বাচ্চাটি জানায়, নিজের চোখে তার মাকে পুড়িয়ে মারতে দেখেছে সে। নিকির বাবা ভিকারি সিং বলেছেন, “ওরা খুনি। ওদের গুলি করে মারা উচিত।”