০৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামিনে মুক্তি পেয়েছে স্বামীর খুনি, হতাশায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় নিহত তৃণমূল নেতা অনুপম দত্তের স্ত্রী

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩০ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 48

ফাইল চিত্র

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ পানহাটি পুরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনের মূল অভিযুক্ত জামিনে ছাড়া পেয়েছে।এই ঘটনা শোনার পর পরই দু’ই সন্তান নিয়ে গামছা দিয়ে গলায় পেঁচ লাগিয়ে আত্মহত্যা  করার চেষ্টা করেন নিহত অনুপম দত্তের স্ত্রী।ঘটনাটি পরিবারের চোখে পড়তেই তাঁদেরকে তড়িঘড়ি করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানও হয়।

 

আরও পড়ুন: উচ্চবর্ণের মতো পোশাক পরায় দলিতকে মারধর, অপমানে আত্মহত্যা যুবকের

এই প্রসঙ্গে নিহত কাউন্সিলরের পরিবার জানিয়েছেন, অনুপম দত্ত খুনের মূল অভিযুক্ত বাপি পণ্ডিত জামিনে মুক্তি পেয়েছে শুনে মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়েন। তার পরেই এই চরম সিদ্ধান্ত  নিতে যান তিনি।খবর পেয়েই নিজের ঘরে ঢুকে যান মীনাক্ষী দেবী।তারপর গলায় গামছার প্যাঁচ লাগিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করতে থাকেন।এটা দেখা মাত্রই চেঁচামেচি শুরু করেন বাড়ির লোকজন।সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী হাসপাতালের সিসিইউ ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।এবং অনুপম দত্ত খুনের পরই বর্তমানে তিনি পানিহাটি পুরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।

আরও পড়ুন: কৃষক আত্মহত্যা: মহারাষ্ট্রে ৩ মাসে আত্মঘাতী ৭৬৭ জন

 

আরও পড়ুন: ফের আমেরিকায় মৃত্যু ভারতীয়র, আত্মহত্যা অনুমান পুলিশের

এদিন নিহত কাউন্সিলরের দাদা সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, আমার ভাই খুন হওয়ার পর থেকে আমার ভাবী অর্থাৎ মীনাক্ষী দেবী মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়েছেন।তিনি আরও জানান, আমরা রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের ওপর আস্থা রেখেছিলাম। এখনও রয়েছে। কিন্তু ওরা জামিন পেল কি করে।আমার ভাইকে যে মারল সে এত তাড়াতাড়ি জামিন পেয়ে গেল।মানুষ খুনের সাজা এত সহজ।

 

বাপি পণ্ডিতের জামিনের কথা শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।রাস্তায় রাস্তায় দেখাতে থাকে বিক্ষোভ।রাতভর রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ করতে থাকে স্থানীয়রা।আগরপাড়া তেঁতুলতলা মোড়ে বিটি রোড অবরোধ করে রাখা হয় দীর্ঘ সময়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

এদিন স্থানীয়রা দাবি করেন, বাপি পণ্ডিতকে যদি ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতে তাঁরা দীর্ঘ আন্দোলনে নামবেন।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জামিনে মুক্তি পেয়েছে স্বামীর খুনি, হতাশায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় নিহত তৃণমূল নেতা অনুপম দত্তের স্ত্রী

আপডেট : ৩০ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ পানহাটি পুরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনের মূল অভিযুক্ত জামিনে ছাড়া পেয়েছে।এই ঘটনা শোনার পর পরই দু’ই সন্তান নিয়ে গামছা দিয়ে গলায় পেঁচ লাগিয়ে আত্মহত্যা  করার চেষ্টা করেন নিহত অনুপম দত্তের স্ত্রী।ঘটনাটি পরিবারের চোখে পড়তেই তাঁদেরকে তড়িঘড়ি করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানও হয়।

 

আরও পড়ুন: উচ্চবর্ণের মতো পোশাক পরায় দলিতকে মারধর, অপমানে আত্মহত্যা যুবকের

এই প্রসঙ্গে নিহত কাউন্সিলরের পরিবার জানিয়েছেন, অনুপম দত্ত খুনের মূল অভিযুক্ত বাপি পণ্ডিত জামিনে মুক্তি পেয়েছে শুনে মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়েন। তার পরেই এই চরম সিদ্ধান্ত  নিতে যান তিনি।খবর পেয়েই নিজের ঘরে ঢুকে যান মীনাক্ষী দেবী।তারপর গলায় গামছার প্যাঁচ লাগিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করতে থাকেন।এটা দেখা মাত্রই চেঁচামেচি শুরু করেন বাড়ির লোকজন।সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী হাসপাতালের সিসিইউ ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।এবং অনুপম দত্ত খুনের পরই বর্তমানে তিনি পানিহাটি পুরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।

আরও পড়ুন: কৃষক আত্মহত্যা: মহারাষ্ট্রে ৩ মাসে আত্মঘাতী ৭৬৭ জন

 

আরও পড়ুন: ফের আমেরিকায় মৃত্যু ভারতীয়র, আত্মহত্যা অনুমান পুলিশের

এদিন নিহত কাউন্সিলরের দাদা সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, আমার ভাই খুন হওয়ার পর থেকে আমার ভাবী অর্থাৎ মীনাক্ষী দেবী মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়েছেন।তিনি আরও জানান, আমরা রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের ওপর আস্থা রেখেছিলাম। এখনও রয়েছে। কিন্তু ওরা জামিন পেল কি করে।আমার ভাইকে যে মারল সে এত তাড়াতাড়ি জামিন পেয়ে গেল।মানুষ খুনের সাজা এত সহজ।

 

বাপি পণ্ডিতের জামিনের কথা শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।রাস্তায় রাস্তায় দেখাতে থাকে বিক্ষোভ।রাতভর রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ করতে থাকে স্থানীয়রা।আগরপাড়া তেঁতুলতলা মোড়ে বিটি রোড অবরোধ করে রাখা হয় দীর্ঘ সময়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

এদিন স্থানীয়রা দাবি করেন, বাপি পণ্ডিতকে যদি ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতে তাঁরা দীর্ঘ আন্দোলনে নামবেন।