০৫ মে ২০২৫, সোমবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওসির নির্দেশেই গিয়েছিলাম আনিসের বাড়িতে, চাঞ্চল্যকর দাবি ধৃত হোম গার্ড ও সিভিক  ভলেন্টিয়ারের  

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 11

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ  আনিস খান তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড়। আজ ধৃত হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্যকে পেশ করা হবে উলুবেড়িয়া আদালতে। প্রিজন ভ্যানের নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সামনে তারা জানায়, তাদের বলির পাঁঠা করা হচ্ছে। আমতার থানার ওসির নির্দেশেই আনিসে বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিভাবে খুন হয়েছে কিছু জানি না।

আনিস খান হত্যারহস্যের ঘটনায় নিহতের পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আমরা আগেই বলেছিলাম এই ঘটনায় পুলিশের হাত রয়েছে। তার আমাদের সিট-এর প্রতি আমাদের ভরসা নেই।

আরও পড়ুন: মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ মেনেই প্রথম দিনের পরীক্ষা সম্পন্ন

বুধবার নবান্ন থেকে প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওই ঘটনায় পুলিশের দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। আর এর ঠিক পরপরই রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য জানান, আমতা থানার হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার দিন রাতে তাঁদের কী ভূমিকা ছিল, তা নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি ডিজি।

আরও পড়ুন: নুহের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিহত হোম গার্ড নীরজ খান, দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভালোবাসার জন্য ভাইয়ের হিন্দু নাম রেখেছিলাম

ডিজি মনোজ মালব্য বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখনই সমস্ত কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সব তথ্য বের হবে।

আরও পড়ুন: ভোটের পরেও দশদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বাংলায়, নির্দেশ হাইকোর্টের

এম মালব্য এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে আনিসের পরিবারের প্রতি আবেদন জানিয়ে বলেন, সিট নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করছে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের আবেদন জানিয়েছে সিট। যারা সেদিন গিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কি হয়েছিল পরে সব জানানো হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে ফের ময়নাতদন্ত চায় পুলিশ। কিন্তু পুলিশকে দেহ তুলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। সিটকে কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মোবাইল ফোনও দেওয়া হয়নি। কিছু রাজনৈতিক দলও তদন্তের কাজে বাধা দিচ্ছে।

আনিসের পরিবারকে তদন্তে সহযোগিতার আবেদন জানান ডিজি। এদিন রাজ্য পুলিশের ডিজি, আনিসের পরিবারকে আশ্বস্থ করে বলেন, আনিসের পরিবার সুবিচার পাবেন।

সিটের প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ মিলেছে আনিস খুনের ঘটনার সময় আমতা থানার একটি আরটি ভ্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিল। দুজন পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চারজনকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আরও দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।

সাসপেন্ড হওয়া পুলিশ কর্মীদের মধ্যে ছিলেন এএসআই নির্মল দাস), কনস্টেবল জিতেন্দ্র হেমব্রমও। আগেই কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল হোমগার্ড কাশীনাথ বেরাকে। তিন জনই শুক্রবার রাতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সঙ্গে নিয়ে রাউন্ডে বেরিয়েছিলেন। আর ওই রাতেই আমতায় নিজের বাড়ির তিনতলার ছাদ থেকে পড়ে মারা যান ছাত্রনেতা আনিস খান।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ওসির নির্দেশেই গিয়েছিলাম আনিসের বাড়িতে, চাঞ্চল্যকর দাবি ধৃত হোম গার্ড ও সিভিক  ভলেন্টিয়ারের  

আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ  আনিস খান তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড়। আজ ধৃত হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্যকে পেশ করা হবে উলুবেড়িয়া আদালতে। প্রিজন ভ্যানের নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সামনে তারা জানায়, তাদের বলির পাঁঠা করা হচ্ছে। আমতার থানার ওসির নির্দেশেই আনিসে বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিভাবে খুন হয়েছে কিছু জানি না।

আনিস খান হত্যারহস্যের ঘটনায় নিহতের পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আমরা আগেই বলেছিলাম এই ঘটনায় পুলিশের হাত রয়েছে। তার আমাদের সিট-এর প্রতি আমাদের ভরসা নেই।

আরও পড়ুন: মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ মেনেই প্রথম দিনের পরীক্ষা সম্পন্ন

বুধবার নবান্ন থেকে প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওই ঘটনায় পুলিশের দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। আর এর ঠিক পরপরই রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য জানান, আমতা থানার হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার দিন রাতে তাঁদের কী ভূমিকা ছিল, তা নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি ডিজি।

আরও পড়ুন: নুহের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিহত হোম গার্ড নীরজ খান, দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভালোবাসার জন্য ভাইয়ের হিন্দু নাম রেখেছিলাম

ডিজি মনোজ মালব্য বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখনই সমস্ত কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সব তথ্য বের হবে।

আরও পড়ুন: ভোটের পরেও দশদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বাংলায়, নির্দেশ হাইকোর্টের

এম মালব্য এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে আনিসের পরিবারের প্রতি আবেদন জানিয়ে বলেন, সিট নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করছে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের আবেদন জানিয়েছে সিট। যারা সেদিন গিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কি হয়েছিল পরে সব জানানো হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে ফের ময়নাতদন্ত চায় পুলিশ। কিন্তু পুলিশকে দেহ তুলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। সিটকে কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মোবাইল ফোনও দেওয়া হয়নি। কিছু রাজনৈতিক দলও তদন্তের কাজে বাধা দিচ্ছে।

আনিসের পরিবারকে তদন্তে সহযোগিতার আবেদন জানান ডিজি। এদিন রাজ্য পুলিশের ডিজি, আনিসের পরিবারকে আশ্বস্থ করে বলেন, আনিসের পরিবার সুবিচার পাবেন।

সিটের প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ মিলেছে আনিস খুনের ঘটনার সময় আমতা থানার একটি আরটি ভ্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিল। দুজন পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চারজনকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আরও দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।

সাসপেন্ড হওয়া পুলিশ কর্মীদের মধ্যে ছিলেন এএসআই নির্মল দাস), কনস্টেবল জিতেন্দ্র হেমব্রমও। আগেই কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল হোমগার্ড কাশীনাথ বেরাকে। তিন জনই শুক্রবার রাতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সঙ্গে নিয়ে রাউন্ডে বেরিয়েছিলেন। আর ওই রাতেই আমতায় নিজের বাড়ির তিনতলার ছাদ থেকে পড়ে মারা যান ছাত্রনেতা আনিস খান।