০২ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চা-রুটি ছাড়া আফগানবাসীদের ইফতারের জুটছে না কিছুই

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৩, সোমবার
  • / 84

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: অথর্নীতির বেহাল অবস্থা। আফগানিস্তানে দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। খাবার কিনে খাওয়ার ক্ষমতা পর্যন্ত অনেকেরই নেই। তারই মাঝে এসেছে সংযমের মাস পবিত্র রমযান। এমনিতেই সেখানে বহু মানুষের দিন কাটছে প্রায় অনাহারে কিংবা অর্ধাহারে। যারা দুবেলা ভালো করে খেতে পাচ্ছেন না, তারা ভালো করে সেহরি বা ইফতার করবেন কীভাবে? ফলে কেবল চা আর রুটি দিয়ে ইফতার সারছেন রোযা রাখা মানুষগুলো।

কাবুলের একটি কিন্ডারগার্টেনের প্রধান ও সাবেক নারী মানবাধিকার কর্মী শামসিয়া হাসানজাদা আরব নিউজকে বলেন, ‘আগে আমরা ইফতার ও সেহরি তৈরি করতাম একসঙ্গে । শুধু নিজেদের জন্য নয়। নিরাপত্তাকর্মী ও আমাদের আশেপাশে বসবাসকারী লোকজনকে নিয়েও ইফতারের আয়োজন করা হতো। কিন্তু গ্রিন-টি ও শুকনো রুটি ছাড়া এখন আমাদের কিছুই নেই ’ তিনি জানান, তাঁর পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন। সবাই আগে কাজ করতো। কিন্তু এখন একজন কাজ করেন। এই একজনের আয় পুরো পরিবারের খরচ চালানোর জন্য যথেষ্ট নয়।

কাবুলের এক বাসিন্দা মুহাম্মদ নাঈম বলেন  ‘২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা  প্রত্যাহারের পর থেকে দেশটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সেই আনন্দ উপভোগ করতে দেয়নি। বাড়িতে অনেক আর্থিক সমস্যার কারণে গত দু’বছরে নিজের জন্য একটি কাপড় পর্যন্ত কিনতে পারিনি । গত কয়েক মাস ধরে পেনশন পাচ্ছি না। ’

আগে ইফতারে অনেক খাবারের আয়োজন থাকতো। সেহরিতেও থাকতো কয়েক ধরনের খাবার। কিন্তু এখন আমাদের কোনো খাবার নেই। বাজার থেকে মাংস কেনার সার্মথ্যও নেই। মানবাধিকারকর্মী কারিশমা নাজারি বলেন, ‘সারাদিন রোজা রাখা ও তারপরে ইফতার ও সেহরির জন্য কিছুই নেই।  এটা আমাদের অধিকাংশ আফগান পরিবারের জন্য বেদনাদায়ক। আমাদের বেশিরভাগেরই গ্রিন টি ছাড়া আর কিছুই নেই।’

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চা-রুটি ছাড়া আফগানবাসীদের ইফতারের জুটছে না কিছুই

আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: অথর্নীতির বেহাল অবস্থা। আফগানিস্তানে দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। খাবার কিনে খাওয়ার ক্ষমতা পর্যন্ত অনেকেরই নেই। তারই মাঝে এসেছে সংযমের মাস পবিত্র রমযান। এমনিতেই সেখানে বহু মানুষের দিন কাটছে প্রায় অনাহারে কিংবা অর্ধাহারে। যারা দুবেলা ভালো করে খেতে পাচ্ছেন না, তারা ভালো করে সেহরি বা ইফতার করবেন কীভাবে? ফলে কেবল চা আর রুটি দিয়ে ইফতার সারছেন রোযা রাখা মানুষগুলো।

কাবুলের একটি কিন্ডারগার্টেনের প্রধান ও সাবেক নারী মানবাধিকার কর্মী শামসিয়া হাসানজাদা আরব নিউজকে বলেন, ‘আগে আমরা ইফতার ও সেহরি তৈরি করতাম একসঙ্গে । শুধু নিজেদের জন্য নয়। নিরাপত্তাকর্মী ও আমাদের আশেপাশে বসবাসকারী লোকজনকে নিয়েও ইফতারের আয়োজন করা হতো। কিন্তু গ্রিন-টি ও শুকনো রুটি ছাড়া এখন আমাদের কিছুই নেই ’ তিনি জানান, তাঁর পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন। সবাই আগে কাজ করতো। কিন্তু এখন একজন কাজ করেন। এই একজনের আয় পুরো পরিবারের খরচ চালানোর জন্য যথেষ্ট নয়।

কাবুলের এক বাসিন্দা মুহাম্মদ নাঈম বলেন  ‘২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা  প্রত্যাহারের পর থেকে দেশটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সেই আনন্দ উপভোগ করতে দেয়নি। বাড়িতে অনেক আর্থিক সমস্যার কারণে গত দু’বছরে নিজের জন্য একটি কাপড় পর্যন্ত কিনতে পারিনি । গত কয়েক মাস ধরে পেনশন পাচ্ছি না। ’

আগে ইফতারে অনেক খাবারের আয়োজন থাকতো। সেহরিতেও থাকতো কয়েক ধরনের খাবার। কিন্তু এখন আমাদের কোনো খাবার নেই। বাজার থেকে মাংস কেনার সার্মথ্যও নেই। মানবাধিকারকর্মী কারিশমা নাজারি বলেন, ‘সারাদিন রোজা রাখা ও তারপরে ইফতার ও সেহরির জন্য কিছুই নেই।  এটা আমাদের অধিকাংশ আফগান পরিবারের জন্য বেদনাদায়ক। আমাদের বেশিরভাগেরই গ্রিন টি ছাড়া আর কিছুই নেই।’