আইআইটি খড়গপুরে আত্মহত্যা রুখতে উদ্যোগ: সরানো হচ্ছে ফ্যান

- আপডেট : ১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার
- / 5
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার উদ্বেগজনক বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে আইআইটি খড়গপুর, এক ব্যতিক্রমী কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। হোস্টেলের কক্ষগুলির ছাদের ফ্যানগুলি এমনভাবে পরিবর্তন করা হচ্ছে যাতে এগুলিকে আত্মহত্যার জন্য ব্যবহার করা না যায়।
এই পদক্ষেপ মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ। এর উদ্দেশ্য হল মূহুর্তের আবেগময় বিপর্যয় থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করা। এই প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা সুমন চক্রবর্তী বলেন, “এটি মানসিক স্বাস্থ্যের সমাধান নয়, তবে সংকটের মুহূর্তে হাতের কাছে ক্ষতিকর কোনও উপায় না থাকলে জীবন বেঁচে যেতে পারে।”
এই প্রসিদ্ধ প্রতিষ্ঠানে ২০২৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত চারজন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ আত্মহত্যা করেন ২১ বছর বয়সী ঋতম মণ্ডল। তিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ১৮ জুলাই, ছুটি কাটিয়ে ফেরার কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁকে তাঁর হোস্টেল কক্ষে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এই ঘটনার পরপরই আইআইটি খড়গপুর একটি ১০ সদস্যবিশিষ্ট তথ্য-অন্বেষণ কমিটি গঠন করেছে এবং একগুচ্ছ নতুন উদ্যোগ নিয়েছে, যেমন—
‘ক্যাম্পাস মাদার’: মহিলা শিক্ষক ও কর্মীরা পড়ুয়াদের আবেগ ও মানসিক সহায়ক হিসেবে কাজ করবেন।
সাত দিন, ২৪ ঘন্টা মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা: ক্যাম্পাসে স্থায়ীভাবে নিযুক্ত মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা থাকবেন।
অভিভাবকের সঙ্গে প্রতি মাসে যোগাযোগ: অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়মিত সংযোগ রাখা হবে, যাতে আগেভাগে যে কোনও সতর্কতা অবলম্বন করা যায়।
বারকোডযুক্ত হেল্পলাইন: প্রতিটি হোস্টেল রুমের দরজায় থাকবে স্ক্যান করার মতো হেল্পলাইন নম্বর, যাতে তাৎক্ষণিকভাবে কাউন্সেলিং পরিষেবা পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, খড়গপুর ক্যাম্পাসে ২১টি হোস্টেল রয়েছে, যেখানে প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থী থাকেন। এইসব হোস্টেলেই ছাদের ফ্যান বদলানোর কাজ ধাপে ধাপে শুরু হবে। সুমন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “আমরা এখনই কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা দিতে পারছি না, তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে।”