০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবৈধ নির্মাণ!মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই মাটিতে মিশে যাবে আকাশচুম্বী “টুইন টাওয়ার”

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৬ অগাস্ট ২০২২, শুক্রবার
  • / 102

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ অবৈধ নির্মাণ! অপেক্ষার আর দু’ই দিন মাত্র। আর তারপরেই আকাশচুম্বী “টুইন টাওয়ার” মিশে যাবে মাটিতে।আগামী রবিবার দুপুর ২.৩০ নাগাদ এই “টুইন টাওয়ার” গুঁড়িয়ে দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে নয়ডা প্রশাসন।আকাশচুম্বী দু’ই টাওয়ার এর নাম অ্যাপেক্স ও সিয়েন।অ্যাপেক্স টাওয়ারের উচ্চতা কমপক্ষে ১০২ মিটার অন্যদিকে সিয়েনের উচ্চতা ৯২ মিটার।সিয়েন ও অ্যাপেক্স টাওয়ার মিলিয়ে মোট ১০০০ টি ফ্লাট রয়েছে।

 

আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে বেআইনি নির্মাণ, পুকুর বাঁচাতে রাত জেগে পাহারা স্থানীয়দের

কিন্তু ‘টুইন টাওয়ার’ ধূলিসাৎ করার কারণ কি ?

আরও পড়ুন: বেআইনী নির্মাণের উপর মোবাইল টাওয়ার, পুলিশ কে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ

 

আরও পড়ুন: দাঙ্গাবাজদের রুখতে সাধারণ মানুষকে ময়দানে নামার আহ্বান বুদ্ধিজীবীদের

এই দুই টাওয়ার নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক বহু পুরানো।আর সেই কারণেই এই পরিণতি।বিতর্কিত দুই টাওয়ার ভাঙার জন্য তৈরি করা হয়েছে ৩৫০০ কেজির বিস্ফোরক।মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এই ‘টুইন-টাওয়ারের’ নাম ও নিশান মাটিতে মিশে যাবে। এই কাজের জন্য প্রায় ৪৬ জন ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে,তাঁরা ১২ ঘণ্টা কাজ করছেন।

 

উল্লেখ্য,উচ্চতার নিরিখে কুতুব মিনারকে ছাড়িয়ে যাওয়া এই দুই টাওয়ারের মধ্যকার দূরুত্ব মাত্র ৯ মিটার।যেখানে একটি টাওয়ার থেকে অন্য আর একটি টাওয়ারের দুরুত্ব হওয়া উচিৎ প্রায় ১৬ মিটার।কিন্তু নয়ডার এই টুইন টাওয়ারের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি।

 

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের উত্তরপ্রদেশ অ্যাপার্টমেন্টস আইন না-মেনেই ট্যুইন টাওয়ারটি বানানো হয়েছিল। দুই টাওয়ারের মধ্যে যে ন্যূনতম দূরত্ব থাকা উচিত, তা  রাখা হয়নি। এই সব দিক খতিয়ে দেখে গত বছরেই ওই জোড়া টাওয়ার ধ্বংস করার নির্দেশ দিয়ে শীর্ষ আদালত জানায় যে, উত্তরপ্রদেশ অ্যাপার্টমেন্টস আইনের আওতায় প্রতিটা ফ্ল্যাটের মালিকের সম্মতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু এ-ক্ষেত্রে সেই সম্মতি না-নিয়ে বেআইনি ভাবে তৈরি করা হয়েছে ট্যুইন টাওয়ার।

 

ইতিমধ্যেই ৫০০০ হাজার পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।এবং এই সকল পরিবারকে তাঁদের ১৪ শতাংশ সুদ সমেত টাকা ফেরত দিতে হবে।

 

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অবৈধ নির্মাণ!মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই মাটিতে মিশে যাবে আকাশচুম্বী “টুইন টাওয়ার”

আপডেট : ২৬ অগাস্ট ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ অবৈধ নির্মাণ! অপেক্ষার আর দু’ই দিন মাত্র। আর তারপরেই আকাশচুম্বী “টুইন টাওয়ার” মিশে যাবে মাটিতে।আগামী রবিবার দুপুর ২.৩০ নাগাদ এই “টুইন টাওয়ার” গুঁড়িয়ে দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে নয়ডা প্রশাসন।আকাশচুম্বী দু’ই টাওয়ার এর নাম অ্যাপেক্স ও সিয়েন।অ্যাপেক্স টাওয়ারের উচ্চতা কমপক্ষে ১০২ মিটার অন্যদিকে সিয়েনের উচ্চতা ৯২ মিটার।সিয়েন ও অ্যাপেক্স টাওয়ার মিলিয়ে মোট ১০০০ টি ফ্লাট রয়েছে।

 

আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে বেআইনি নির্মাণ, পুকুর বাঁচাতে রাত জেগে পাহারা স্থানীয়দের

কিন্তু ‘টুইন টাওয়ার’ ধূলিসাৎ করার কারণ কি ?

আরও পড়ুন: বেআইনী নির্মাণের উপর মোবাইল টাওয়ার, পুলিশ কে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ

 

আরও পড়ুন: দাঙ্গাবাজদের রুখতে সাধারণ মানুষকে ময়দানে নামার আহ্বান বুদ্ধিজীবীদের

এই দুই টাওয়ার নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক বহু পুরানো।আর সেই কারণেই এই পরিণতি।বিতর্কিত দুই টাওয়ার ভাঙার জন্য তৈরি করা হয়েছে ৩৫০০ কেজির বিস্ফোরক।মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এই ‘টুইন-টাওয়ারের’ নাম ও নিশান মাটিতে মিশে যাবে। এই কাজের জন্য প্রায় ৪৬ জন ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে,তাঁরা ১২ ঘণ্টা কাজ করছেন।

 

উল্লেখ্য,উচ্চতার নিরিখে কুতুব মিনারকে ছাড়িয়ে যাওয়া এই দুই টাওয়ারের মধ্যকার দূরুত্ব মাত্র ৯ মিটার।যেখানে একটি টাওয়ার থেকে অন্য আর একটি টাওয়ারের দুরুত্ব হওয়া উচিৎ প্রায় ১৬ মিটার।কিন্তু নয়ডার এই টুইন টাওয়ারের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি।

 

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের উত্তরপ্রদেশ অ্যাপার্টমেন্টস আইন না-মেনেই ট্যুইন টাওয়ারটি বানানো হয়েছিল। দুই টাওয়ারের মধ্যে যে ন্যূনতম দূরত্ব থাকা উচিত, তা  রাখা হয়নি। এই সব দিক খতিয়ে দেখে গত বছরেই ওই জোড়া টাওয়ার ধ্বংস করার নির্দেশ দিয়ে শীর্ষ আদালত জানায় যে, উত্তরপ্রদেশ অ্যাপার্টমেন্টস আইনের আওতায় প্রতিটা ফ্ল্যাটের মালিকের সম্মতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু এ-ক্ষেত্রে সেই সম্মতি না-নিয়ে বেআইনি ভাবে তৈরি করা হয়েছে ট্যুইন টাওয়ার।

 

ইতিমধ্যেই ৫০০০ হাজার পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।এবং এই সকল পরিবারকে তাঁদের ১৪ শতাংশ সুদ সমেত টাকা ফেরত দিতে হবে।