০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্টের কারাদণ্ড

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৮ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 11

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ দুর্নীতির অভিযোগে আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ ডি কির্চনারকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। ৬৯ বছর বয়সী ফার্নান্দেজ, একজন বন্ধুকে কাজ পাইয়ে দিতে গিয়ে দুর্নীতির আশ্রয় নেন। আর্জেন্টিনার ইতিহাসে তিনিই প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট যিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কারাদণ্ড পেলেন। মঙ্গলবার ৩ বিচারকের প্যানেল ক্রিস্টিনার বিরুদ্ধে এ রায় দেয়। তবে তার জেলে থাকার প্রয়োজন নেই।

 

ফার্নান্দেজ তার সরকারি ভূমিকার জন্য কিছুটা ছাড় পেয়েছেন এবং তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আদালত তাকে আজীবনের জন্য পাবলিক অফিস থেকেও নিষিদ্ধ করেছে। তবে উচ্চ আদালতে মামলা চলাকালীন ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। জানা গেছে, দুর্নীতির মামলায় প্রসিকিউটররা ফার্নান্দেজের ১২ বছরের কারাদণ্ড চেয়েছিলেন। প্রসিকিউটরা জানান, ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। তবে, ফার্নান্দেজ বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

 

রায়ের আগে, তিনি প্রসিকিউটরদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অপবাদ দেওয়ার অভিযোগও করেছিলেন। আদালত জানিয়েছে, তিনি যখন দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, সে সময় ক্রিস্টিনা ১০০ কোটি ডলারের একটি প্রকল্পের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৯ সাল থেকে তার বিচার চলছিল। ২০০৭ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ছিলেন সিএফকে। তিনিই আর্জেন্টিনার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। এরপর ২০১৯ সালে জোট সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হন ক্রিস্টিনা।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্টের কারাদণ্ড

আপডেট : ৮ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ দুর্নীতির অভিযোগে আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ ডি কির্চনারকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। ৬৯ বছর বয়সী ফার্নান্দেজ, একজন বন্ধুকে কাজ পাইয়ে দিতে গিয়ে দুর্নীতির আশ্রয় নেন। আর্জেন্টিনার ইতিহাসে তিনিই প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট যিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কারাদণ্ড পেলেন। মঙ্গলবার ৩ বিচারকের প্যানেল ক্রিস্টিনার বিরুদ্ধে এ রায় দেয়। তবে তার জেলে থাকার প্রয়োজন নেই।

 

ফার্নান্দেজ তার সরকারি ভূমিকার জন্য কিছুটা ছাড় পেয়েছেন এবং তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আদালত তাকে আজীবনের জন্য পাবলিক অফিস থেকেও নিষিদ্ধ করেছে। তবে উচ্চ আদালতে মামলা চলাকালীন ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। জানা গেছে, দুর্নীতির মামলায় প্রসিকিউটররা ফার্নান্দেজের ১২ বছরের কারাদণ্ড চেয়েছিলেন। প্রসিকিউটরা জানান, ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। তবে, ফার্নান্দেজ বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

 

রায়ের আগে, তিনি প্রসিকিউটরদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অপবাদ দেওয়ার অভিযোগও করেছিলেন। আদালত জানিয়েছে, তিনি যখন দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, সে সময় ক্রিস্টিনা ১০০ কোটি ডলারের একটি প্রকল্পের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৯ সাল থেকে তার বিচার চলছিল। ২০০৭ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ছিলেন সিএফকে। তিনিই আর্জেন্টিনার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। এরপর ২০১৯ সালে জোট সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হন ক্রিস্টিনা।