০৯ মে ২০২৫, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রিটেনে মুসলিম-বিদ্বেষী ঘটনা ২৮ শতাংশ বেড়েছে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩ নভেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 13

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ইসলামোফোবিয়া থেকে মুসলিম বিদ্বেষের বিভিন্ন ঘটনায় ব্রিটিশ সরকারের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সে দেশের রাজনীতিবিদ ও আইনপ্রণেতারা। ইসলামোফোবিয়া অ্যাওয়ারনেস মানথের শুরুতে লেবার পার্টি ও বেশ কয়েকজন এমপি এসব প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা বলেছেন; বিগত বছরে ব্রিটেনে ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যত হেট ক্রাইম হয়েছে; তার মধ্যে ৪২ শতাংশ ঘটনার ভিকটিম মুসলিম।

পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ব্রিটেনে মুসলিম বিদ্বেষী হেট ক্রাইমের ঘটনা ২৮ শতাংশ বেড়েছে বলেও সাংসদরা উল্লেখ করেন। মুসলিম বিদ্বেষের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ব্রিটেনের একদল মানবাকিার ও সামাজিক সংগঠক ২০১২ সাল থেকে ইসলামোফোবিয়া অ্যাওয়ারনেস মানথ পালন করছেন।

আরও পড়ুন: ই-বাইক  ও ই-স্কুটার উৎপাদনে বাংলার ব্রিটেন মউ

ব্রিটেনের লেবার পার্টির নেতারাও এ মাসটিকে সচেতনতা সৃষ্টির উপলক্ষ হিসেবে নিয়েছে।

আরও পড়ুন: ব্রিটেনে শুরু হচ্ছে হালাল খাবার প্রদর্শনী

 

আরও পড়ুন: ব্রিটেনে বাতিল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র শো, মুক্তিতে বিলম্ব

ইসলামোফোবিয়া অ্যাওয়ারনেস মানথ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে লন্ডনের মেয়র সাদিক খান হেট ক্রাইমে আক্রান্তদের সরকারের শরাপন্ন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন; ‘বিশ্বের অন্যতম বৈচিত্র্যপূর্ণ নগরীর মেয়র হিসেবে আমি ইসলামোফোবিয়া ও সব ধরনের হেট ক্রাইমের কঠোর নিন্দা জানাচ্ছি।

 

সব ধরনের হেট ক্রাইমের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে আমি লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখব।’ লেবার পার্টির প্রাক্তন নেতা জেরেমি করবিন বলেন; ‘ইসলামোফোবিয়া আসে মুসলিম সম্প্রদায়কে অবজ্ঞা করে বলা উক্তি থেকে।

 

এবারের ইসলামোফোবিয়া অ্যাওয়ারনেস মানথ হোক কাল-পরিবর্তনের সূচনা।’ লেবার পার্টির এমপি আফজাল খান বলেছেন; ‘ব্রিটিশ সমাজে মুসলমানরাই ধর্মীয় কারণে সবচেয়ে বেশি বিদ্বেষ ও বৈষম্যের শিকার।

 

অনেক সময় সরকারি প্রতিনিধিদের মন্তব্যও মুসলিম বিদ্বেষ উসকে দিচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষের বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ ও বিভিন্ন ইস্যুতে অবস্থান জানতে চেয়ে বা অভিযোগ জানিয়ে বিগত বছরগুলোতে প্রাধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বেশ কয়েকটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন; মুসলিম বিদ্বেষের বিষয়টি ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি মোটেই গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না।

ব্রিটেনে যত হেট ক্রাইম সংঘটিত হচ্ছে; বছরের পর বছর রে তার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ভিকটিম হয়ে আসছেন মুসলিমরা। ২০১৮ সাল থেকে একের পর এক প্রাধানমন্ত্রী আসছেন। কিন্তু ইসলামোফোবিয়া ইস্যুতে আমার চিঠিগুলোর কোনও জবাব দেওয়া হচ্ছে না।’ ব্রিটেনের আরও অনেকেই বলছেন; ইসলামোফোবিয়ার বিদ্বেষ প্রতিদিনই বাড়ছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ব্রিটেনে মুসলিম-বিদ্বেষী ঘটনা ২৮ শতাংশ বেড়েছে

আপডেট : ৩ নভেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ইসলামোফোবিয়া থেকে মুসলিম বিদ্বেষের বিভিন্ন ঘটনায় ব্রিটিশ সরকারের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সে দেশের রাজনীতিবিদ ও আইনপ্রণেতারা। ইসলামোফোবিয়া অ্যাওয়ারনেস মানথের শুরুতে লেবার পার্টি ও বেশ কয়েকজন এমপি এসব প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা বলেছেন; বিগত বছরে ব্রিটেনে ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যত হেট ক্রাইম হয়েছে; তার মধ্যে ৪২ শতাংশ ঘটনার ভিকটিম মুসলিম।

পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ব্রিটেনে মুসলিম বিদ্বেষী হেট ক্রাইমের ঘটনা ২৮ শতাংশ বেড়েছে বলেও সাংসদরা উল্লেখ করেন। মুসলিম বিদ্বেষের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ব্রিটেনের একদল মানবাকিার ও সামাজিক সংগঠক ২০১২ সাল থেকে ইসলামোফোবিয়া অ্যাওয়ারনেস মানথ পালন করছেন।

আরও পড়ুন: ই-বাইক  ও ই-স্কুটার উৎপাদনে বাংলার ব্রিটেন মউ

ব্রিটেনের লেবার পার্টির নেতারাও এ মাসটিকে সচেতনতা সৃষ্টির উপলক্ষ হিসেবে নিয়েছে।

আরও পড়ুন: ব্রিটেনে শুরু হচ্ছে হালাল খাবার প্রদর্শনী

 

আরও পড়ুন: ব্রিটেনে বাতিল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র শো, মুক্তিতে বিলম্ব

ইসলামোফোবিয়া অ্যাওয়ারনেস মানথ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে লন্ডনের মেয়র সাদিক খান হেট ক্রাইমে আক্রান্তদের সরকারের শরাপন্ন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন; ‘বিশ্বের অন্যতম বৈচিত্র্যপূর্ণ নগরীর মেয়র হিসেবে আমি ইসলামোফোবিয়া ও সব ধরনের হেট ক্রাইমের কঠোর নিন্দা জানাচ্ছি।

 

সব ধরনের হেট ক্রাইমের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে আমি লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখব।’ লেবার পার্টির প্রাক্তন নেতা জেরেমি করবিন বলেন; ‘ইসলামোফোবিয়া আসে মুসলিম সম্প্রদায়কে অবজ্ঞা করে বলা উক্তি থেকে।

 

এবারের ইসলামোফোবিয়া অ্যাওয়ারনেস মানথ হোক কাল-পরিবর্তনের সূচনা।’ লেবার পার্টির এমপি আফজাল খান বলেছেন; ‘ব্রিটিশ সমাজে মুসলমানরাই ধর্মীয় কারণে সবচেয়ে বেশি বিদ্বেষ ও বৈষম্যের শিকার।

 

অনেক সময় সরকারি প্রতিনিধিদের মন্তব্যও মুসলিম বিদ্বেষ উসকে দিচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষের বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ ও বিভিন্ন ইস্যুতে অবস্থান জানতে চেয়ে বা অভিযোগ জানিয়ে বিগত বছরগুলোতে প্রাধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বেশ কয়েকটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন; মুসলিম বিদ্বেষের বিষয়টি ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি মোটেই গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না।

ব্রিটেনে যত হেট ক্রাইম সংঘটিত হচ্ছে; বছরের পর বছর রে তার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ভিকটিম হয়ে আসছেন মুসলিমরা। ২০১৮ সাল থেকে একের পর এক প্রাধানমন্ত্রী আসছেন। কিন্তু ইসলামোফোবিয়া ইস্যুতে আমার চিঠিগুলোর কোনও জবাব দেওয়া হচ্ছে না।’ ব্রিটেনের আরও অনেকেই বলছেন; ইসলামোফোবিয়ার বিদ্বেষ প্রতিদিনই বাড়ছে।