১৪ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘উচ্চ প্রাথমিকে শর্তসাপেক্ষে নিয়োগ শুরু হতে পারে’, বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, শুক্রবার
  • / 88

মোল্লা জসিমউদ্দিন: শুক্রবার শিক্ষক নিয়োগে আশার আলো দেখালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী। ৯ বছর ধরে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতে। এবার সেই সমস্যা সমাধানের আশার আলো দেখালেন বিচারপতি। ‘শর্তসাপেক্ষে উচ্চ প্রাথমিকে শুরু হতে পারে নিয়োগ। মামলাকারীদের সমসংখ্যক আসন ফাঁকা রেখে বাকি শূন্যপদে নিয়োগ শুরু করা যেতে পারে’ বলে মনে করছে আদালত।উচ্চ প্রাথমিকের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর পর্যবেক্ষণ, -‘ নিয়োগের জন্য সুপারিশ পত্র দেওয়ার কাজ এখন থেকেই শুরু হতে পারে’। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই হয়েছিল কাউন্সেলিং। তবে সুপারিশপত্র দেওয়ার ওপর বহাল আছে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। গত ২০১৬ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ।শুক্রবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এজলাসে জানান , ”কিছু সংখ্যক মামলাকারীর জন্য কি প্রায় ১৩ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ আটকে রাখা সম্ভব?”

 

আরও পড়ুন: মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট

একই সঙ্গে তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছেন, ‘এই মামলায় মামলাকারির সংখ্যা কত?’ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। এদিন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে দাবি করেন যে, ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে সিংহভাগ প্রার্থীরা পাস করেনি, তাও মামলা করেছে। তাই এই মামলা ব্যক্তিগত না জনস্বার্থ? তা দেখা উচিত আদালতের’। এরপরই মামলাকারীর সংখ্যার তথ্য চান বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী। শুক্রবার সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বলেন, “মামলাকারীদের সমসংখ্যক আসন ফাঁকা রেখে, বাকি শূন্যপদে শুরু করা যেতে পারে নিয়োগ। শুরু করা যেতে পারে সুপারিশ পত্র দেওয়ার কাজও।”

আরও পড়ুন: সিএএ রশিদ SIR এ গ্রাহ্য করা হোক, নতুন মামলা হাইকোর্টে

 

আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি এসআইআর কেন? কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কাউন্সেলিং সম্পন্ন হলেও সুপারিশপত্র দেওয়ার ওপর বহাল আছে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। স্কুল সার্ভিস কমিশন এবার শর্তসাপেক্ষে নিয়োগ করতে চায়। এদিন মামলার শুনানি পর্বে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর উদ্দেশে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপনার কাছে যে মামলাগুলি আছে, সেখানে যদি সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখেন তাহলে ঠিক আছে, আর আপনি যদি তার বিপক্ষে যান তাহলেই আপনাকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে যাবে।” সেসময় মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী বলেন, “অসাংবিধানিক ভাবে কেউ চাকরি পেতে পারে না।” তখন বিচারপতি বলেন, “আপনার মূল লক্ষ্য চাকরি পাওয়া। আমরা এখুনি কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। প্রয়োজনে তাদের বিষয়টি আলাদা করে শোনা হবে।” আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘উচ্চ প্রাথমিকে শর্তসাপেক্ষে নিয়োগ শুরু হতে পারে’, বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী

আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, শুক্রবার

মোল্লা জসিমউদ্দিন: শুক্রবার শিক্ষক নিয়োগে আশার আলো দেখালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী। ৯ বছর ধরে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতে। এবার সেই সমস্যা সমাধানের আশার আলো দেখালেন বিচারপতি। ‘শর্তসাপেক্ষে উচ্চ প্রাথমিকে শুরু হতে পারে নিয়োগ। মামলাকারীদের সমসংখ্যক আসন ফাঁকা রেখে বাকি শূন্যপদে নিয়োগ শুরু করা যেতে পারে’ বলে মনে করছে আদালত।উচ্চ প্রাথমিকের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর পর্যবেক্ষণ, -‘ নিয়োগের জন্য সুপারিশ পত্র দেওয়ার কাজ এখন থেকেই শুরু হতে পারে’। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই হয়েছিল কাউন্সেলিং। তবে সুপারিশপত্র দেওয়ার ওপর বহাল আছে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। গত ২০১৬ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ।শুক্রবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এজলাসে জানান , ”কিছু সংখ্যক মামলাকারীর জন্য কি প্রায় ১৩ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ আটকে রাখা সম্ভব?”

 

আরও পড়ুন: মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট

একই সঙ্গে তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছেন, ‘এই মামলায় মামলাকারির সংখ্যা কত?’ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। এদিন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে দাবি করেন যে, ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে সিংহভাগ প্রার্থীরা পাস করেনি, তাও মামলা করেছে। তাই এই মামলা ব্যক্তিগত না জনস্বার্থ? তা দেখা উচিত আদালতের’। এরপরই মামলাকারীর সংখ্যার তথ্য চান বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী। শুক্রবার সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বলেন, “মামলাকারীদের সমসংখ্যক আসন ফাঁকা রেখে, বাকি শূন্যপদে শুরু করা যেতে পারে নিয়োগ। শুরু করা যেতে পারে সুপারিশ পত্র দেওয়ার কাজও।”

আরও পড়ুন: সিএএ রশিদ SIR এ গ্রাহ্য করা হোক, নতুন মামলা হাইকোর্টে

 

আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি এসআইআর কেন? কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কাউন্সেলিং সম্পন্ন হলেও সুপারিশপত্র দেওয়ার ওপর বহাল আছে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। স্কুল সার্ভিস কমিশন এবার শর্তসাপেক্ষে নিয়োগ করতে চায়। এদিন মামলার শুনানি পর্বে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর উদ্দেশে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপনার কাছে যে মামলাগুলি আছে, সেখানে যদি সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখেন তাহলে ঠিক আছে, আর আপনি যদি তার বিপক্ষে যান তাহলেই আপনাকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে যাবে।” সেসময় মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী বলেন, “অসাংবিধানিক ভাবে কেউ চাকরি পেতে পারে না।” তখন বিচারপতি বলেন, “আপনার মূল লক্ষ্য চাকরি পাওয়া। আমরা এখুনি কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। প্রয়োজনে তাদের বিষয়টি আলাদা করে শোনা হবে।” আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।