১৯ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উচ্চমাধ্যমিকে সাঁওতালি ভাষায় প্রথম বাঁকুড়ার বিবেক সরেন

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ মে ২০২৩, বুধবার
  • / 47

কার্তিক ঘোষ, বাঁকুড়া:-এবার উচ্চমাধ্যমিকে সাঁওতালি ভাষায় ৪৭২ নম্বর পেয়ে তিনজন প্রথম হয়েছেন।  যার মধ্যে আছেন বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের রায়পুরের পণ্ডিত রঘুনাথ মুরমু আবাসিক বিদ্যালয়ের ছাত্র বিবেক সরেন।

বিবেকের বিষয়ভিত্তিক নাম্বার হলো সাঁওতালি ভাষাতে ৯৮, ইংরেজিতে ৮৫, ভূগোলে ৯৩ ,ফিজিক্যাল এডুকেশনে ১০০, এডুকেশনে ৯০, সংস্কৃতে ৯১। বিবেক জানালেন ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছি, দিদি বড় তার বিয়ে হয়ে গেছে। আমি ছোট, পঞ্চম শ্রেণী থেকে এই স্কুলের হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করেছি।

স্কুলের শিক্ষক মশাইরা আমাকে সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। স্কুল ক্যাম্পাসের ভিতরে কোচিং ক্লাসে সামান্য পয়সার বিনিময়ে পড়াশোনা করতাম। বিবেকের মা অঞ্জলি সরেন জানালেন, আমাদের বিঘা পাঁচেক চাষের জমি আছে। সেই জমি চাষ করে সংসার চালাই। ছেলের সাফল্যের জন্য ওকে কোনদিন মাঠে চাষ কাজ করতে বলিনি। ছেলেই আমার ভবিষ্যৎ। বিবেক জানালেন দিন গড়ে প্রায় ছ ঘন্টা পড়াশোনা করেছি। গান গাইতে ভালোবাসি। স্কুলের স্যারদের পরামর্শ মত বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করব। স্কুলের প্রধান শিক্ষিক শিক্ষারত্ন পুরস্কারপ্রাপ্ত কৌশিক চ্যাটার্জী জানালেন, এই নিয়ে পরপর চার বছর আমার স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম স্থান পেল। আমরা বিবেককে সব ধরনের সাহায্য করার জন্য তৈরি আছি।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

উচ্চমাধ্যমিকে সাঁওতালি ভাষায় প্রথম বাঁকুড়ার বিবেক সরেন

আপডেট : ২৪ মে ২০২৩, বুধবার

কার্তিক ঘোষ, বাঁকুড়া:-এবার উচ্চমাধ্যমিকে সাঁওতালি ভাষায় ৪৭২ নম্বর পেয়ে তিনজন প্রথম হয়েছেন।  যার মধ্যে আছেন বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের রায়পুরের পণ্ডিত রঘুনাথ মুরমু আবাসিক বিদ্যালয়ের ছাত্র বিবেক সরেন।

বিবেকের বিষয়ভিত্তিক নাম্বার হলো সাঁওতালি ভাষাতে ৯৮, ইংরেজিতে ৮৫, ভূগোলে ৯৩ ,ফিজিক্যাল এডুকেশনে ১০০, এডুকেশনে ৯০, সংস্কৃতে ৯১। বিবেক জানালেন ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছি, দিদি বড় তার বিয়ে হয়ে গেছে। আমি ছোট, পঞ্চম শ্রেণী থেকে এই স্কুলের হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করেছি।

স্কুলের শিক্ষক মশাইরা আমাকে সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। স্কুল ক্যাম্পাসের ভিতরে কোচিং ক্লাসে সামান্য পয়সার বিনিময়ে পড়াশোনা করতাম। বিবেকের মা অঞ্জলি সরেন জানালেন, আমাদের বিঘা পাঁচেক চাষের জমি আছে। সেই জমি চাষ করে সংসার চালাই। ছেলের সাফল্যের জন্য ওকে কোনদিন মাঠে চাষ কাজ করতে বলিনি। ছেলেই আমার ভবিষ্যৎ। বিবেক জানালেন দিন গড়ে প্রায় ছ ঘন্টা পড়াশোনা করেছি। গান গাইতে ভালোবাসি। স্কুলের স্যারদের পরামর্শ মত বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করব। স্কুলের প্রধান শিক্ষিক শিক্ষারত্ন পুরস্কারপ্রাপ্ত কৌশিক চ্যাটার্জী জানালেন, এই নিয়ে পরপর চার বছর আমার স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম স্থান পেল। আমরা বিবেককে সব ধরনের সাহায্য করার জন্য তৈরি আছি।