০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এসসিও-র যৌথ বিবৃতিতে সই করল না ভারত? ব্যাখ্যা দিলেন জয়শঙ্কর

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৭ জুন ২০২৫, শুক্রবার
  • / 99

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: চলছে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) বৈঠক। এই বৈঠকে যোগ দিয়েছে সদস্যভুক্ত দেশগুলি। নিয়ম অনুযায়ী, বৈঠকের আলোচ্য বিষয়গুলি নিয়ে কাজাখস্তান, চিন, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, রাশিয়া, ভারত, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, ইরান ও বেলারুশ সদস্যভুক্ত দেশগুলি যৌথ বিবৃতি জারি করে।

কিন্তু এবারের বিবৃতি জারি অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। এসসিও-র যৌথ বিবৃতিতে সই করতে অস্বীকার করল ভারত? কিন্তু কেনো সই করল নয়াদিল্লি! এবিষয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানালেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উদ্দেশ্যে এসসিও। কিন্তু এসসিও-র একটি দেশ যৌথ বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদের কোনও উল্লেখ করতে চায়নি।

বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা যখন মূল উদ্দেশ্য তখন সন্ত্রাসবাদের কোনও উল্লেখ করতে দিচ্ছেন না। তখন তিনি (রাজনাথ সিং) তা গ্রহণ করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এসসিও সর্বসম্মতিক্রমে চলে। তাই রাজনাথজি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদের উল্লেখ না থাকলে আমরা তাতে সই করব না।” নাম না করে পড়শি দেশকো কটাক্ষ করে জয়শঙ্কর বলেন, “আপনি কোনটি অনুমান করতে পারেন”।

যৌথ বিবৃতিতে পহেলগাঁও হামলার উল্লেখ না থাকলেও তাতে ১১ মার্চ পাকিস্তানে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির জাফর এক্সপ্রেস ছিনতাইয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রাজনাথ সিংয়ের এই পদক্ষেপের সঙ্গে এসসিও-র প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকে কোনও যৌথ বিবৃতি জারি করা যায়নি।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বালুচিস্তানের ঘটনাকে ওই ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পাকিস্তান চাপ দিয়েছিল। কারণ দেশটি ভারতের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছিল। চিনে রাজনাথ সিং সন্ত্রাসবাদের অপরাধী, সংগঠক, অর্থদাতা এবং মদতদাতাদের জবাবদিহি করার আহ্বান জানিয়েছেন।

সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন করার জন্য পাকিস্তানকেও তিরস্কার করেছেন। কিংডাওয়ের কনক্লেভে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “কিছু দেশ আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদকে নীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এবং সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়। এই ধরনের দ্বিচারিতার কোনও জায়গা থাকা উচিত নয়। এসসিও-র এই ধরনের দেশের সমালোচনা করতে দ্বিধা করা উচিত নয়,”

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এবং চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডং জুন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পহেলগাঁও হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ভারতের অপারেশন সিন্দুরের কথা তুলে ধরেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

রাজনাথের কথায়, “পহেলগাঁও হামলার ধরন ভারতে লস্কর-ই-তৈয়বার আগের জঙ্গি হামলার সঙ্গে মিলে যায়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স তার কাজের মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়েছে।” এসসিও-র খসড়া বিবৃতিতে শুধু পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার উল্লেখ করা হয়নি তাই নয়, ভারতের কঠোর সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানের কথাও বলা হয়নি।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এসসিও-র যৌথ বিবৃতিতে সই করল না ভারত? ব্যাখ্যা দিলেন জয়শঙ্কর

আপডেট : ২৭ জুন ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: চলছে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) বৈঠক। এই বৈঠকে যোগ দিয়েছে সদস্যভুক্ত দেশগুলি। নিয়ম অনুযায়ী, বৈঠকের আলোচ্য বিষয়গুলি নিয়ে কাজাখস্তান, চিন, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, রাশিয়া, ভারত, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, ইরান ও বেলারুশ সদস্যভুক্ত দেশগুলি যৌথ বিবৃতি জারি করে।

কিন্তু এবারের বিবৃতি জারি অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। এসসিও-র যৌথ বিবৃতিতে সই করতে অস্বীকার করল ভারত? কিন্তু কেনো সই করল নয়াদিল্লি! এবিষয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানালেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উদ্দেশ্যে এসসিও। কিন্তু এসসিও-র একটি দেশ যৌথ বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদের কোনও উল্লেখ করতে চায়নি।

বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা যখন মূল উদ্দেশ্য তখন সন্ত্রাসবাদের কোনও উল্লেখ করতে দিচ্ছেন না। তখন তিনি (রাজনাথ সিং) তা গ্রহণ করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এসসিও সর্বসম্মতিক্রমে চলে। তাই রাজনাথজি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদের উল্লেখ না থাকলে আমরা তাতে সই করব না।” নাম না করে পড়শি দেশকো কটাক্ষ করে জয়শঙ্কর বলেন, “আপনি কোনটি অনুমান করতে পারেন”।

যৌথ বিবৃতিতে পহেলগাঁও হামলার উল্লেখ না থাকলেও তাতে ১১ মার্চ পাকিস্তানে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির জাফর এক্সপ্রেস ছিনতাইয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রাজনাথ সিংয়ের এই পদক্ষেপের সঙ্গে এসসিও-র প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকে কোনও যৌথ বিবৃতি জারি করা যায়নি।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বালুচিস্তানের ঘটনাকে ওই ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পাকিস্তান চাপ দিয়েছিল। কারণ দেশটি ভারতের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছিল। চিনে রাজনাথ সিং সন্ত্রাসবাদের অপরাধী, সংগঠক, অর্থদাতা এবং মদতদাতাদের জবাবদিহি করার আহ্বান জানিয়েছেন।

সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন করার জন্য পাকিস্তানকেও তিরস্কার করেছেন। কিংডাওয়ের কনক্লেভে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “কিছু দেশ আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদকে নীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এবং সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়। এই ধরনের দ্বিচারিতার কোনও জায়গা থাকা উচিত নয়। এসসিও-র এই ধরনের দেশের সমালোচনা করতে দ্বিধা করা উচিত নয়,”

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এবং চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডং জুন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পহেলগাঁও হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ভারতের অপারেশন সিন্দুরের কথা তুলে ধরেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

রাজনাথের কথায়, “পহেলগাঁও হামলার ধরন ভারতে লস্কর-ই-তৈয়বার আগের জঙ্গি হামলার সঙ্গে মিলে যায়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স তার কাজের মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়েছে।” এসসিও-র খসড়া বিবৃতিতে শুধু পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার উল্লেখ করা হয়নি তাই নয়, ভারতের কঠোর সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানের কথাও বলা হয়নি।