০১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আমেরিকায় গিয়ে ট্রাম্পের দাবি খণ্ডন বিদেশমন্ত্রীর

দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি সম্পন্ন হয়েছে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 29

দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি সম্পন্ন হয়েছে

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষবিরতির বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের দাবি ফের অস্বীকার করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। বর্তমানে আমেরিকা সফররত জয়শঙ্কর স্পষ্ট করে জানান, এই যুদ্ধবিরতি হয়েছে সম্পূর্ণরূপে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে, কোনো বিদেশি মধ্যস্থতায় নয়।

তিনি বলেন, “মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পাকিস্তানের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করছিলেন, তখন আমি সেখানেই উপস্থিত ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী বরাবরই পরিষ্কার করে দিয়েছেন, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আক্রমণ এলে তার কড়া জবাব দেওয়া হবে।”

জয়শঙ্কর আরও জানান, মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও জানিয়েছিলেন যে পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায়। এরপরই পাকিস্তানের মেজর জেনারেল ভারতীয় সেনার মেজর জেনারেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং দুই দেশের পক্ষ থেকেই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১০ মে ভারত সরকার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়। কিন্তু তার আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি নাকি ভারতকে বাণিজ্য বন্ধের হুমকি দিয়ে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করেছেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রক এই দাবি একবাক্যে অস্বীকার করলেও, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে রাজনৈতিক বিতর্ক দানা বাঁধে। বিরোধী দলগুলো সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়েছে, পহেলগাম হামলার পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আমেরিকায় গিয়ে ট্রাম্পের দাবি খণ্ডন বিদেশমন্ত্রীর

দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি সম্পন্ন হয়েছে

আপডেট : ১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষবিরতির বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের দাবি ফের অস্বীকার করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। বর্তমানে আমেরিকা সফররত জয়শঙ্কর স্পষ্ট করে জানান, এই যুদ্ধবিরতি হয়েছে সম্পূর্ণরূপে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে, কোনো বিদেশি মধ্যস্থতায় নয়।

তিনি বলেন, “মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পাকিস্তানের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করছিলেন, তখন আমি সেখানেই উপস্থিত ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী বরাবরই পরিষ্কার করে দিয়েছেন, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আক্রমণ এলে তার কড়া জবাব দেওয়া হবে।”

জয়শঙ্কর আরও জানান, মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও জানিয়েছিলেন যে পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায়। এরপরই পাকিস্তানের মেজর জেনারেল ভারতীয় সেনার মেজর জেনারেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং দুই দেশের পক্ষ থেকেই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১০ মে ভারত সরকার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়। কিন্তু তার আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি নাকি ভারতকে বাণিজ্য বন্ধের হুমকি দিয়ে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করেছেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রক এই দাবি একবাক্যে অস্বীকার করলেও, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে রাজনৈতিক বিতর্ক দানা বাঁধে। বিরোধী দলগুলো সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়েছে, পহেলগাম হামলার পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য।