১২ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের অপপ্রচার অবিলম্বে বন্ধ হোক: দাবি পদ্মপারের বিশিষ্টদের

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ৭ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার
  • / 53

National flag of Bangladesh flying from a flagpole

ঢাকা: আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়ব। আপনারাও আপনাদের দেশে রুখে দাঁড়ান। ‘ভারতের জনগণের কাছে আমাদের আবেদন’ শিরোনামে একটি বিবৃতি জারি করেছে পদ্মপারের ১৪৫ বিশিষ্ট নাগরিক।  তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম যে হারে অপপ্রচারের চালাচ্ছে তা অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। ওদের মিথ্যাচার দেশের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করছে। একশ্রেণীর মানুষ হাসিনা সরকারের পতন মেনে নিতে পারেনি। তাই তারা দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। নানারকম উস্কানিমূলক কাজ করছে ।  ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের অপপ্রচার সেই সব বিষয়ে ঘি ঢালার মতো কাজ করছে। তবে ‘সাধারণ জনগণের জীবনের সংকট বিচার করলে দুই দেশের মধ্যে মূলত কোনো পার্থক্য নেই। ভারতের জনগণ ও ভারত সরকারকে আমরা কখনোই এক করে দেখি না। আমরা জানি, ভারতের জনগণও উগ্র হিন্দুত্ববাদী শক্তি ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়ছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন লড়াই করে তার পতন ঘটিয়েছি আমরা। জুলাই-আগস্টের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের সময় আপনারা আমাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে কর্মসূচি পালন করেছেন। সেই সময়ও ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিথ্যাচার করেছিল। তবে গণ-অভ্যুত্থানের প্রেরণায় অনেক রাজনৈতিক দল হিন্দু ঘরবাড়ি ও মন্দিরা পাহারায় এগিয়ে আসে এবং সম্প্রীতির নতুন নতুন নজির স্থাপন করে। এ ছাড়া ভারতের জাতীয় পতাকা মাড়ানোর ঘটনায়ও এ দেশের গণতন্ত্রমনা মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু ভারতের অনেকগুলো সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশ সম্পর্কে আসল তথ্য প্রচার করেনি, এখনো করছে না। চিন্ময় কৃষ্ণ প্রসঙ্গে বলেন,  ওনার বিচার পাওয়ার অধিকারকে আমরা সমর্থন করি, সেটা সবারই সছে। তাঁকে কেন্দ্র করে ভারতীয় মিডিয়া যা করছে তা নিন্দনীয়। এ দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে এবং সকল ধরনের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে হিন্দু জনগোষ্ঠীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানেও হিন্দু জনসাধারণের অনেকেই  লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন, প্রাণ দিয়েছেন৷ প্রসঙ্গত, গণঅভ্যূথানে হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর একসময়ের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কয়েক মাস ধরে ফুঁসতে থাকা উত্তেজনা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনার সূত্রপাত হিন্দু পুরোহিত চিন্ময় কৃষ্ণের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে। জাতীয় পতাকা অবমাননা করার জন্য রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর তাকে আদালতে উপস্থিত করার দিন ব্যাপক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সেদেশে।

Tag :

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের অপপ্রচার অবিলম্বে বন্ধ হোক: দাবি পদ্মপারের বিশিষ্টদের

আপডেট : ৭ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার

ঢাকা: আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়ব। আপনারাও আপনাদের দেশে রুখে দাঁড়ান। ‘ভারতের জনগণের কাছে আমাদের আবেদন’ শিরোনামে একটি বিবৃতি জারি করেছে পদ্মপারের ১৪৫ বিশিষ্ট নাগরিক।  তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম যে হারে অপপ্রচারের চালাচ্ছে তা অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। ওদের মিথ্যাচার দেশের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করছে। একশ্রেণীর মানুষ হাসিনা সরকারের পতন মেনে নিতে পারেনি। তাই তারা দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। নানারকম উস্কানিমূলক কাজ করছে ।  ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের অপপ্রচার সেই সব বিষয়ে ঘি ঢালার মতো কাজ করছে। তবে ‘সাধারণ জনগণের জীবনের সংকট বিচার করলে দুই দেশের মধ্যে মূলত কোনো পার্থক্য নেই। ভারতের জনগণ ও ভারত সরকারকে আমরা কখনোই এক করে দেখি না। আমরা জানি, ভারতের জনগণও উগ্র হিন্দুত্ববাদী শক্তি ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়ছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন লড়াই করে তার পতন ঘটিয়েছি আমরা। জুলাই-আগস্টের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের সময় আপনারা আমাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে কর্মসূচি পালন করেছেন। সেই সময়ও ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিথ্যাচার করেছিল। তবে গণ-অভ্যুত্থানের প্রেরণায় অনেক রাজনৈতিক দল হিন্দু ঘরবাড়ি ও মন্দিরা পাহারায় এগিয়ে আসে এবং সম্প্রীতির নতুন নতুন নজির স্থাপন করে। এ ছাড়া ভারতের জাতীয় পতাকা মাড়ানোর ঘটনায়ও এ দেশের গণতন্ত্রমনা মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু ভারতের অনেকগুলো সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশ সম্পর্কে আসল তথ্য প্রচার করেনি, এখনো করছে না। চিন্ময় কৃষ্ণ প্রসঙ্গে বলেন,  ওনার বিচার পাওয়ার অধিকারকে আমরা সমর্থন করি, সেটা সবারই সছে। তাঁকে কেন্দ্র করে ভারতীয় মিডিয়া যা করছে তা নিন্দনীয়। এ দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে এবং সকল ধরনের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে হিন্দু জনগোষ্ঠীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানেও হিন্দু জনসাধারণের অনেকেই  লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন, প্রাণ দিয়েছেন৷ প্রসঙ্গত, গণঅভ্যূথানে হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর একসময়ের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কয়েক মাস ধরে ফুঁসতে থাকা উত্তেজনা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনার সূত্রপাত হিন্দু পুরোহিত চিন্ময় কৃষ্ণের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে। জাতীয় পতাকা অবমাননা করার জন্য রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর তাকে আদালতে উপস্থিত করার দিন ব্যাপক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সেদেশে।