রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকে মোদির প্রশংসায় আপ্লুত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট

- আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, বুধবার
- / 18
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় আপ্লুত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ। মঙ্গলবার তিনি রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৭ তম সাধারণ সভার মঞ্চে বক্তব্য পেশ করতে উঠে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একদম সঠিক কথা বলেছিলেন। যখন তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলেছিলেন যে এই সময় যুদ্ধের জন্য নয়।”
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে প্রথম থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি উজবেকিস্তানে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যখন দেখা হয় তখনও প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, এটি যুদ্ধের সঠিক সময় নয়।
গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই যুদ্ধ শুরু হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। রাশিয়ার আগ্রাসী মনোভাবের নিন্দা করে একাধিক দেশই ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছিল। কিন্তু সেক্ষেত্রে ভোটদানে বিরত থাকে ভারত। যুদ্ধ নিয়ে ভারত কোনও দিনই রাশিয়ার নিন্দা করেনি। উল্টে ভারতকে সব সময় ব্যালেন্স করে চলতে দেখা গেছে।
সেই সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টও বলেছিলেন, “ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে আপনাদের অবস্থান সম্পর্কে আমি জানি। আপনার উদ্বেগও বুঝতে পারছি। পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি আমরা সকলেই চাই।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে ভাষণ দিতে গিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একদম সঠিক বলেছিলেন যে এই সময়টা যুদ্ধের জন্য নয়। এটা পশ্চিমী দেশের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার সময় নয়। এই সময়টা হল মিলিতভাবে সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার, একসঙ্গে মিলিত হয়ে সমস্ত প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়াই করার।”
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এই কারণেই উত্তর ও দক্ষিণের দুনিয়ার মধ্যে একটি নতুন চুক্তি হওয়ার প্রয়োজন যা খাদ্য, শিক্ষাকে নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।
উল্লেখ্য, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বন্ধুত্বের কেমিস্ট্রি কারুর অজানা নয়। দ্বিতীয় বার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ গদিতে বসার পরেই তাঁকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বন্ধু মোদির জন্য বহুদিনের ফ্রান্সের রাজনীতিতে থাকা একটি অলিখিত রীতিও ভেঙে ফেলেন ম্যাক্রোঁ। সেই সময় ইউরোপে প্যারিস সফরে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পুননির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম আন্তর্জাতিক নেতা হিসেবে মোদির সঙ্গেই দেখা করেন ম্যাক্রোঁ।